হাইভোল্টেজ ম্যাচে ভারতকে ফিল্ডিংয়ে পাঠাল পাকিস্তান
Published: 23rd, February 2025 GMT
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির হাইভোল্টেজ ম্যাচে মুখোমুখি হচ্ছে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারত-পাকিস্তান। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আয়োজক পাকিস্তান হলেও রাজনৈতিক কারণে দেশটিতে খেলতে যায়নি ভারত। হাইব্রিড মডেলের আসরে ভারতের সঙ্গে খেলতে স্বাগতিকদের উড়াল দিতে হয়েছে দুবাইয়ে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস ভাগ্যে হেসেছে পাকিস্তান। টসে জিতে ভারতকে ফিল্ডিংয়ে পাঠিয়েছে পাকিস্তান। অর্থাৎ আগে ব্যাট করবে পাকিস্তান।
সাম্প্রতিক সময়ে ভারতের কাছে বারবার হারলেও ওয়ানডেতে মুখোমুখি লড়াইয়ে এগিয়ে পাকিস্তান। ১৩৫ বারের দেখায় তারা জিতেছে ৭৩ ম্যাচ, ভারত জিতেছে ৫৭ বার। পাঁচ ম্যাচে কোন ফল হয়নি। কিন্তু সর্বশেষ ১৫ ম্যাচ বিবেচনায় এগিয়ে ভারত। ১০টিতে জিতেছে টিম ইন্ডিয়া। পাকিস্তানের জয় ৪টিতে। একটি ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়। এছাড়া সর্বশেষ ৬ ম্যাচের মধ্যে ৫টিতে জয় আছে ভারত।
কিন্তু মিনি বিশ্বকাপ বলে পরিচিত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে অবশ্য ছবিটা অন্য। মহারণে নামার আগে পাকিস্তানকে অক্সিজেন দিচ্ছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারতের বিপক্ষে তাদের রেকর্ড। ২০০৪ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারত-পাকিস্তান মুখোমুখি হয়েছে মোট ৫ বার। যারমধ্যে পাকিস্তান জিতেছে তিন বার ও ভারত মাত্র দুবার। এরমধ্যে রয়েছে ২০১৭ সালে ফাইনালও, যেটা পাকিস্তান ১৮০ রানে জেতে।
বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচের জয়ী একাদশটাই অপরিবর্তিত রেখেছে ভারত। পাকিস্তানের একাদশে এক পরিবর্তন। ফখরের বদলি ইমাম-উল-হক।
পাকিস্তান দল: মোহাম্মদ রিজওয়ান (অধিনায়ক), আগা সালমান, বাবর আজম, ইমাম-উল-হক, তৈয়ব তাহির, সৌদ শাকিল, খুশদিল শাহ, আবরার আহমেদ, শাহিন শাহ আফ্রিদি, নাসিম শাহ, হারিস রউফ।
ভারতের একাদশ: রোহিত শর্মা (অধিনায়ক), বিরাট কোহলি, শুবমান গিল (সহ-অধিনায়ক), শ্রেয়াস আইয়ার, লোকেশ রাহুল, হার্দিক পান্ডিয়া, অক্ষর প্যাটেল, কুলদীপ যাদব, হর্ষিত রানা, মোহাম্মদ শামি, রবীন্দ্র জাদেজা।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
বিশ্বে সামরিক ব্যয় রেকর্ড বেড়ে ২.৭ ট্রিলিয়ন ডলার
২০২৪ সালে বিশ্বজুড়ে সামরিক ব্যয় রেকর্ড পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২.৭ ট্রিলিয়ন ডলারে। স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (সিপরি) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। ইউক্রেন, গাজা যুদ্ধসহ বৈশ্বিক উত্তেজনা বৃদ্ধির মধ্যেই সামরিক ব্যয়ে এ ঊর্ধ্বগতি দেখা গেছে।
গবেষণা প্রতিষ্ঠানটি বলছে, ২০২৩ সালের তুলনায় ২০২৪ সালে বিশ্বজুড়ে সামরিক ব্যয় বেড়েছে ৯.৪ শতাংশ। এটিই টানা দশম বছর, যখন সামরিক খরচ বৃদ্ধি পেয়েছে।
ইউক্রেন যুদ্ধ ও ন্যাটো জোটে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতিকে ঘিরে সংশয়ের প্রভাবে ইউরোপে সামরিক ব্যয় নজিরবিহীন হারে বেড়েছে। সিপরির তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে ইউরোপীয় দেশগুলোর সামরিক ব্যয় ১৭ শতাংশ বেড়েছে, যা শীতল যুদ্ধের সমাপ্তির পর সর্বোচ্চ।
বৈশ্বিক ভূরাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে সামরিক শক্তি বৃদ্ধিতে এগিয়ে আছে যুক্তরাষ্ট্র, চীন, রাশিয়া, ভারত ও সৌদি আরব। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ৮৯৫ বিলিয়ন ডলার, চীন ২৬৬.৮৫ বিলিয়ন ডলার, রাশিয়া ১২৬ বিলিয়ন ডলার, ভারত ৭৫ বিলিয়ন ডলার এবং সৌদি আরব ৭৪.৭৬ বিলিয়ন ডলার।
সিপরি সতর্ক করে বলেছে, সামরিক নিরাপত্তাকে অগ্রাধিকার দেওয়ার ফলে অন্যান্য খাতের বাজেট কমে যাচ্ছে, যা সামাজিক ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদি নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
রাশিয়ার সামরিক ব্যয় ২০২৪ সালে দাঁড়িয়েছে ১৪৯ বিলিয়ন ডলারে, যা ২০২৩ সালের তুলনায় ৩৮ শতাংশ বেশি। এ খরচ দেশটির মোট জিডিপির ৭.১ শতাংশ এবং সরকারি ব্যয়ের ১৯ শতাংশ। অন্যদিকে, ইউক্রেনের সামরিক ব্যয় বেড়ে ৬৪.৭ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে, যা তাদের জিডিপির ৩৪ শতাংশ। খবর এনডিটিভির।