প্রেমিকা বিট্রে করেছে, বেঈমানী করেছে; তার বিয়েবাড়ির সামনে এসে তার ছবিতে এভাবে প্রেমিকের প্রস্রাব করে যাওয়া- এমন পাগলামী বাংলাদেশী সিনেমায় দেখা যায়নি আগে। পুরোপুরি এমন  ‘ম্যাডনেস’ দেখা গেল নায়ক সিয়ামের বেলায়। এর আগে ‘দহন’ সিনেমার ‘মাতাল হয়ে হিসু করব দেয়ালে’ গানেও এমন কাণ্ড করেছিলেন সিয়াম। এবার সেই পাগলাটে দৃশ্য দেখা গেল জংলি সিনেমার  প্রি-টিজে। 

গতকাল হুট করেই জংলি টিম প্রকাশ করে একটি ট্রিজার। সিনমাটির টিম দাবি করছে এটা  প্রি-টিজ। মানে টিজারের পূর্ববর্তী ভার্ষন। সিনেমাটির কো প্রডিউসার মুক্তার ইবনে রফিক দাবি করেন,  বাংলাদেশে ঈদের সিনেমায় যেখানে এখন টিজার আর ট্রেলারই দেয় না সিনেমাগুলো, দুটো মিলিয়ে দেয় ফোরটেস্ট টাইপের কিছু। সেখানে জংলি টিম প্রি-টিজও ছাড়ছে! নিঃসন্দেহে এটা আমাদের ইন্ডাস্ট্রির জন্য দারুণ সংযোজন।

প্রি-টিজে দারুণ এক সিয়ামকে দেখা গেছে। যে সিয়াম জংলি, প্রেমিকাকে না পেয়ে মানুষ কতটা জংলি হয়ে উঠে তারই আভাস পাওয়া গিয়েছে এতে। 

সিনেমাটিতে নায়িকা মূলথ দুইজন। একজন শবনম বুবলী অন্যজন দীঘি। জংলি টিম এখন পর্যন্ত প্রচার-প্রচালণায় কেবল দীঘিকেই টানছেন । বুবলীকে কৌশলগত কারণে আড়ালে রেখেছেন বলেই জানালেন তারা। 

গতকাল প্রকাশিত প্রি টিজ নিয়ে পরিচালক এম রাহিম বললেন, জংলি সিনেমায় ভারপুর অ্যাকশন, ও রোমান্স থাকবে সেটা আগেই বলেছিলাম। আমরা এমন প্রি টিজ প্রকাশ করে সেসবেরই জানান দিচ্ছি। আমি আহ্বান করব, ঈদে সিনেমা হলে আসুন। জংলি দেখুন। আশা করি কেউ নিরাশ হবেন না। এই সিনেমার সব কিছুর উপরে গিয়ে দারুণ একটা গল্প পাবেন সবাই।’

এর আগে সিয়ামকে নিয়ে ‘শান’ নামে একটি ছবি বানিয়ে প্রশংসা কুড়িয়েছিলেন এম রাহিম। সিয়ামের সঙ্গে  বুবলী এবং দীঘি ছাড়াও আরও আছেন দিলারা জামান, শহীদুজ্জামান সেলিম, রাশেদ মামুন অপু, সোহেল খান, এরফান মৃধা শিবলু।

ছবির সংগীত পরিচালনা করছেন প্রিন্স মাহমুদ। একটি গানে কণ্ঠ দিয়েছেন তাহসান খান। সংশ্লিষ্টরা জানান, গানে থাকছে আরও চমক। 

সিয়াম আগেই জানিয়েছেন, অভিনেতাদের জীবনে মাঝে মাঝে এমন চরিত্র আসে, যার কারণে সে নিজের সর্বস্ব দিয়ে দিতে রাজি হয়ে যায়। “জংলি” তার জীবনে তেমনই এক চরিত্র হয়ে এসেছে।

বলেন, চুল-দাড়িতে এক্সটেনশন লাগালেই হতো, তবু প্রায় সাত মাস চুল-দাড়ি কাটিনি। এক বছর চরিত্রটাকে আগলে রেখেছি। চরিত্রটাকে যাপন করতে চেয়েছি, দর্শকদের নতুন কিছু উপহার দিতে চেয়েছি। আমি সর্বোচ্চভাবে চেষ্টা করেছি।


 ছবির গল্প লিখেছেন আজাদ খান, চিত্রনাট্য করেছেন যৌথভাবে মেহেদী হাসান ও কলকাতার সুকৃতি সাহা।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: স য় ম আহম দ

এছাড়াও পড়ুন:

বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে ধান লুটের অভিযোগ

কিশোরগঞ্জের মিঠামইন উপজেলা বিএনপির সভাপতি জাহিদুল আলম জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে মারধর করে ১৩ জন কৃষকের ৬৬ একর জমির ধান লুটের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দিলেও কোনো প্রতিকার মেলেনি।

গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে জেলা শহরের রথখলা এলাকায় সংবাদ সম্মেলন করেন কৃষকরা। সেখানেই এসব অভিযোগ করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে কৃষক মো. মাসুদ মিয়া লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান। তিনি বলেন, তিনি, নায়েব আলী, মোস্তফা মিয়া ও সাইফুল মিয়াসহ ১৩ জন কৃষক সাবেক রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদের ছোট ভাই আবদুল হকের কাছ থেকে এক বছরের জন্য ৬৬ একর বোরো জমি লিজ নিয়েছিলেন। প্রতি একর জমি ১৩ হাজার টাকায় লিজ নিয়ে চাষাবাদসহ প্রতি একরে খরচ পড়েছে প্রায় ৪৫ হাজার টাকা। প্রতি একরে ধান হওয়ার কথা ১০০ মণ। যার বর্তমান বাজারমূল্য প্রায় এক লাখ টাকা। তিনি (মাসুদ মিয়া) লিজ নিয়েছিলেন ৬ একর জমি।

সংবাদ সম্মেলনে মাসুদ মিয়া উল্লেখ করেন, আবদুল হক মিঠামইন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। ৫ আগস্টের পর থেকে তিনি পলাতক। এ কারণে তাঁর জমি তিনি লিজ দিয়েছেন। তাঁর সঙ্গে বিএনপি নেতা জাহাঙ্গীরের রাজনৈতিক বিরোধ থাকতে পারে, কিন্তু কৃষকরা কী দোষ করেছেন। গত শনিবার কম্বাইন হারভেস্টার দিয়ে সমুদয় ধান জাহাঙ্গীরের লোকজন কেটে নিয়ে গেছেন। এতে কৃষক ও তাদের স্বজনরা বাধা দিতে গেলে হামলা চালানো হয়। হামলায় পাঁচজন কৃষক আহত হন।

আহতরা হলেন– মাসুদ মিয়া (৪০), মোস্তফা মিয়া (৪৫), সাইফুল মিয়া (৪০), কাছুম আলী (৫৫) ও জামির হোসেন (৪৩)। গুরুতর আহত মোস্তফা মিয়া ঢাকায় চিকিৎসাধীন।

বিএনপি নেতা জাহিদুল আলম জাহাঙ্গীরের ভাষ্য, এসব জমির প্রকৃত মালিকরা থাকেন কিশোরগঞ্জ শহরে। তাদের জমি সাবেক রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদের ছোট ভাই আবদুল হক জোরপূর্বক দখল করেছিলেন। ৫ আগস্টের পর তিনি পালিয়ে গেলে প্রকৃত মালিকরাই জমি আবাদ করেছিলেন। তারা নিজেদের জমির ধান কাটার সময় অভিযোগকারীদের ৫ একরের মতো জমির ধান কাটা হয়ে থাকতে পারে। তাঁকে বিতর্কিত করার জন্যই আবদুল হকের লোকজন সংবাদ সম্মেলন করেছেন।

সংবাদ সম্মেলনে কয়েকজন জামা খুলে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন দেখিয়েছেন। এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তরা মিঠামইন থানায় গেলে লিখিত অভিযোগ দিতে বলা হয়। কিন্তু জমির মালিকদের তালিকা দেওয়ার পরও জাহাঙ্গীরের প্রভাবে থানা কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি বলে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়।

এ বিষয়ে মিঠামইন থানার ওসি শফিউল আলম দাবি করেন, জমির ধান কাটার তিন-চার দিন আগে কয়েকজন তাঁর কাছে অনানুষ্ঠানিকভাবে জানান, তারা ধান কাটার ব্যাপারে নিরাপত্তার অভাব বোধ করছেন। তখন তিনি তাদের জমির কাগজপত্রসহ অভিযোগ দিতে বলেন। কাগজপত্র দেখে অন্যদের সঙ্গে কথা বলে ধান কাটার ব্যবস্থা করে দেবেন বলে জানিয়েছিলেন। কিন্তু পরবর্তী সময়ে তারা যোগাযোগ করেননি, কোনো লিখিত অভিযোগও দেননি।


 

সম্পর্কিত নিবন্ধ