জাকারিয়া সৌখিন নির্মিত সময়ের আলোচিত একক নাটক ‘মন দুয়ারী’। নাটকটির চিত্রনাট্যও রচনা করেছেন এই পরিচালক। প্রধান তিন চরিত্র রূপায়ন করেছেন দিলারা জামান, জিয়াউল ফারুক অপূর্ব ও নাজনীন নিহা।

গত ১৮ ফেব্রুয়ারি সিএমভির ইউটিউব চ্যানেলে মুক্তি পায় ১ ঘণ্টা ৩৫ মিনিট ৪০ সেকেন্ড দৈর্ঘ্যের নাটক ‘মন দুয়ারী’। বড় ক্যানভাসে নির্মিত নাটকের গল্প পারিবারিক ক্লাইম্যাক্সে ভরা। পাশাপাশি চোখ ধাঁধানো অপরূপ সিনেমাটোগ্রাফি দর্শকদের চোখে স্নিগ্ধ অনুভূতি জাগিয়েছে। সবকিছু মিলিয়ে দর্শক নাটকটিকে ‘সিনেমা’ বলছেন। অনেকে এটিকে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির কথা বলছেন। কেউ কেউ দ্বিধা প্রকাশ করে বলছেন, “এটি নাটক নাকি সিনেমা?”

দর্শকদের এসব প্রতিক্রিয়া নিয়ে কথা বলেছেন জাকারিয়া সৌখিন। এ পরিচালক বলেন, “আমি আসলে গল্প বলার চেষ্টা করেছি। আমার ভেতরে জন্ম নেওয়া দৃশ্যগুলো ক্যামেরায় ধরেছি। চরিত্রের মাধ্যমে আমার ভেতরে কাজ করা আবেগটুকু ঢালার চেষ্টা করেছি। আমি নির্মাণের সময় একবারও ভাবিনি, এটি নাটক না সিনেমা। এটি সিনেমা হলে যাবে নাকি ইউটিউবে!”

আরো পড়ুন:

ডিরেক্টরস গিল্ড নির্বাচন: কে কত ভোটে বিজয়ী হলেন

ভিউ কিংবা টাকার জন্য অভিনয় করি না: হিমি

খানিকটা ব্যাখ্যা করে জাকারিয়া সৌখিন বলেন, “আমি চেয়েছি দুচোখ ভরে আমার গল্পটা সাজাতে। এখন দর্শকদের কাছ থেকে সিনেমার মন্তব্য পাই, তখন মনে হয় ভালোবাসা কখনো বিফলে যায় না। কারণ ভিউয়ের কথা না ভেবে গল্পটাকে ভালোবেসেই বলার চেষ্টা করেছি।”

পরিবার, দেশ ও মানুষের গল্প পছন্দ করেন দর্শক। এ তথ্য উল্লেখ করে এই নির্মাতা বলেন, “আমাদের দর্শক বরাবরই আবেগপ্রবণ এবং ফ্যামিলি ওরিয়েন্টেড। এ কারণে তারা পরিবার, দেশ, মানুষের গল্প খুব পছন্দ করে। এর সঙ্গে সঠিক মিউজিক আর বাংলার রূপ ক্যামেরায় ধরতে পারলে তো কথাই নেই। আমি নিজেও এমন কাজ দেখতে খুব আরামবোধ করি। ‘মন দুয়ারী’ নাটকের মধ্যে এর সবকিছুই রাখার চেষ্টা করেছি। যাকে বলে ফুল প্যাকেজ। আমার মনে হয়, মানুষ এগুলোর সঙ্গে নিজে যুক্ত করতে পেরেছেন।”

ভবিষ্যতে আরো বড় ক্যানভাসে গল্প বলার প্রতিশ্রুতি দিয়ে জাকরিয়া সৌখিন বলেন, “এর আগে ‘পথে হলো দেরী’ বড় ক্যানভাসে নির্মাণ করেছিলাম। এবার ‘মন দুয়ারী’ বানালাম। দু’বারই মুক্তির আগে একটু ভয়ে ছিলাম। দু’বারই দর্শকদের ভালোবাসায় উতরে গেছি। ভবিষ্যতে আরো বড় ক্যানভাসে গল্প বলতে চাই। অবশ্যই সেটা পরিবার, দেশ ও সংগীতকে সঙ্গে রেখে।”

মুক্তির চারদিনে ইউটিউবে ৯৯ লাখের বেশিবার দেখা হয়েছে। খুব অল্প সময়ের মধ্যে ১ কোটি ভিউ পূর্ণ করবে। বর্তমানে ইউটিউবে বাংলাদেশ অংশের ট্রেন্ডিংয়ের শীর্ষে রয়েছেন। সিএমভির ব্যানারে নাটকটি প্রযোজনা করেছেন এস কে সাহেদ আলী।

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ট ভ ন টক মন দ য় র

এছাড়াও পড়ুন:

বাকৃবিতে গবেষণা প্রকল্প নিয়ে নিরীক্ষণ করছে ইউজিসি: বাকৃবি রেজিস্ট

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) অর্থায়নে পরিচালিত গবেষণা প্রকল্পের অগ্রগতি নিয়ে পরীক্ষামূলক নিরীক্ষণ শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার ড. মো. হেলাল উদ্দীন।

তিনি বলেন, “বর্তমানে বাকৃবিতে প্রকল্পভিত্তিক গবেষণায় মোট ১ কোটি ৩১ লাখ ২২ হাজার টাকা বরাদ্দ রয়েছে। এছাড়াও বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) আওতায় থাকা ৪৭টি গবেষণা প্রকল্পের মধ্যে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) বিভিন্ন বিভাগের ৪৪টি গবেষণা প্রকল্প অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। বাকৃবিতে ইউজিসির অর্থায়নে পরিচালিত এসব গবেষণা প্রকল্পের অগ্রগতি নিয়ে পরীক্ষামূলক নিরীক্ষণ শুরু হয়েছে।”

রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৪টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অফিসের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান তিনি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ ও প্রকাশনা দফতরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক মোহাম্মদ তৌফিকুল ইসলাম।

সংবাদ সম্মেলনে বাকৃবি রেজিস্ট্রার ড. মো. হেলাল উদ্দীন বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের অর্থায়নে পরিচালিত গবেষণা প্রকল্পগুলোর মাধ্যমে কৃষি খাতে নতুন নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন হচ্ছে, যা কৃষকদের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করছে। এছাড়া, জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা, কৃষিভিত্তিক শিল্পের প্রসার এবং খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে গবেষণার ভূমিকা অপরিসীম।”

গবেষণা বরাদ্দ আরো বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে রেজিস্ট্রার বলেন, “মুদ্রাস্ফীতির কারণে বর্তমানে বরাদ্দকৃত বাজেট যথেষ্ট নয়। গবেষণা প্রকল্পের জন্য বাজেট বাড়ানো গেলে আরো বেশি শিক্ষার্থী এসব প্রকল্পে যুক্ত হতে পারবে। ফলে এসব গবেষণার গুণগত মান উন্নয়নে সহায়ক হবে।”

তিনি বলেন, “কৃষিতে আধুনিক প্রযুক্তির সম্প্রসারণের জন্য সরকারি ও বেসরকারি খাতের যৌথ উদ্যোগ নেওয়া জরুরি। এতে গবেষণার ফলাফল দ্রুত মাঠপর্যায়ে পৌঁছানো সম্ভব হবে এবং কৃষকদের উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি দেশের সামগ্রিক কৃষিখাতের উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে।”

ঢাকা/লিখন/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ