জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শাহবাগ থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-অপারেশন) মোহাম্মদ আরশাদ হোসেনসহ তিন পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দুই মাস সময় দেওয়া হয়েছে।

আগামী ২২ এপ্রিল এই তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করার নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

বিচারপতি মো.

গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল আজ রোববার এই আদেশ দেন। ট্রাইব্যুনালের দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ এবং অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।

আরশাদ হোসেন ছাড়া অপর দুই পুলিশ সদস্য হলেন কনস্টেবল সুজন হোসেন ও ইমাজ হোসেন প্রামাণিক। আজ তাঁদের ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য প্রসিকিউশন দুই মাস সময় চাইলে তা মঞ্জুর করেন ট্রাইব্যুনাল।

এ ছাড়া আরশাদ হোসেনকে আগামী ২ মার্চ, ইমাজ হোসেনকে ৩ মার্চ ও উপপরিদর্শক (এসআই) চঞ্চল কুমার সরকারকে ২৭ ফেব্রুয়ারি এক দিন করে রিমান্ড নেওয়ার আদেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।

প্রসিকিউশন পক্ষে আজ শুনানি করেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, প্রসিকিউটর বি এম সুলতান মাহমুদ, শহিদুল ইসলাম সরদার ও গাজী মোনাওয়ার হুসাইন।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: সদস য আরশ দ

এছাড়াও পড়ুন:

পাওনা বেতন–বোনাস না দিলে ভুখামিছিল করবেন টিএনজেড গ্রুপের শ্রমিকেরা

পাওনা বেতনসহ বোনাস আজ শুক্রবার দুপুরের মধ্যে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন টিএনজেড গ্রুপের পোশাককারখানার শ্রমিক-কর্মচারীরা। দাবি পূরণ না হলে তাঁরা আজ বিকেল চারটায় ভুখামিছিল করবেন। এ ছাড়া তাঁরা প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি দেবেন।

আজ বেলা সাড়ে ১১টায় রাজধানীর বিজয়নগরে শ্রম ভবনের সামনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেওয়া হয়। সংবাদ সম্মেলনের আয়োজক ‘টিএনজেড গ্রুপের শ্রমিক-কর্মচারীরা’।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন টিএনজেড অ্যাপারেলস লিমিটেডের শ্রমিকনেতা শহিদুল ইসলাম। তিনি ‘মালিকের গাড়ি বিক্রি করে শ্রমিকদের টাকা দেওয়া হয়েছে’ বলে দেওয়া বক্তব্যকে মিথ্যা অভিহিত করেন। তিনি বলেন, টিএনজেড গ্রুপের একটি কারখানা (অ্যাপারেল প্লাস ইকো) শ্রমিকদের সামান্য টাকা দিয়েছে। এভাবে শ্রমিকদের মধ্যে বিভেদ তৈরির চক্রান্ত চলছে।

শহিদুল ইসলাম বলেন, গতকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত শ্রমসচিব তাঁদের আশ্বস্ত করেছিলেন, ২৭ মার্চ দুপুরের মধ্যে পাওনা পরিশোধের জন্য ব্যবস্থা নেবেন। কিন্তু গতকাল দফায় দফায় যোগাযোগ করার পরও তিনি ফোন ধরেননি।

শহিদুল ইসলাম আরও বলেন, টিএনজেড গ্রুপের অন্তর্ভুক্ত তিনটি কারখানার শ্রমিকেরা পাঁচ দিন ধরে আন্দোলন করছেন। এর মধ্যে একটি কারখানার শ্রমিকদের জানুয়ারি মাসের পাওনার ৮০ শতাংশ পরিশোধ করা হয়েছে। টিএনজেড অ্যাপারেলস লিমিটেডে কর্মরত ২ হাজার ১০০ শ্রমিকের ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাসের বেতনসহ ঈদ বোনাস মিলিয়ে মোট পাওয়া প্রায় ৯ কোটি টাকা। অ্যাপারেল প্লাস ইকো কারখানার ৮২৬ জন শ্রমিকের জানুয়ারি-মার্চ মাসের বেতন, ঈদ বোনাসসহ অন্যান্য পাওনা ছিল মোট ৬ কোটি ৭৫ লাখ টাকা, যার মধ্যে গতকাল দেওয়া হয়েছে ১ কোটি ৫ লাখ টাকা। অ্যাপারেল আর্ট লিমিটেডের ২৪০ শ্রমিকের ডিসেম্বর থেকে মার্চ পর্যন্ত বেতন-বোনাসসহ অন্যান্য পাওনা ২ কোটি ৪ লাখ টাকা, যা এখনো পরিশোধ করা হয়নি।

সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন অ্যাপারেল প্লাস ইকোর শ্রমিকনেতা শিউলি বেগম। শ্রমিকদের আন্দোলনে সংহতি জানান গার্মেন্টস শ্রমিক মুক্তি আন্দোলন, গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স ইউনিয়ন, গার্মেন্টস-টেক্সটাইল শ্রমিক ফেডারেশন, গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতি, বিপ্লবী শ্রমিক সংহতি, শ্রমজীবি আন্দোলন, সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট, জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশন বাংলাদেশ, গণতান্ত্রিক শ্রমিক আন্দোলন, বাংলাদেশ শ্রমিক ফেডারেশ, বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন ফেডারেশন, বাংলাদেশ টেক্সটাইল অ্যান্ড গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ