নোয়াখালীতে ব্যবসায়ীকে হত্যার পর মরদহ ঝুলিয়ে রাখার অভিযোগ
Published: 23rd, February 2025 GMT
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার রসুলপুর ইউনিয়ন থেকে আব্দুস সত্তার (৩৫) নামে এক কাপড় ব্যবসায়ীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। পরিবারের দাবি, সত্তারকে হত্যার পর গাছে ঝুলিয়ে রাখে প্রতিপক্ষের লোকজন। পুলিশ প্রথমিকভাবে এই ঘটনাকে আত্মহত্যা বলে ধারণা করছে।
রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ফরাজি বাড়ির একটি আম গাছ থেকে ওই ব্যক্তির ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার হয়।
নিহত আব্দুস সাত্তার ফরাজি বাড়ির মজিবুল হকের ছেলে।
আরো পড়ুন:
মাইকে ঘোষণা দিয়ে যুবদল নেতার চাঁদাবাজির ঘটনায় মামলা, গ্রেপ্তার ৪
পুলিশ কোনো দলের তল্পিবাহক হয়ে কাজ করবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সাত্তার স্থানীয় চৌমুহনী বাজারে কাপড়ের ব্যবসা করতেন। গতকাল শনিবার রাতে কে বা কারা তাকে ডেকে নেয়। ভোর ৪টার দিকে বাড়ির সামনের একটি গাছে সাত্তারের ঝুলন্ত মরদেহ দেখে পুলিশে খবর দেয় এলাকাবাসী। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
নিহতের ভাই আনোয়ার বলেন, “জায়গা-জমি ও মাটি কাটা নিয়ে চাচা এছহাক, জেঠাতো ভাই হারুন ও বাবুলের সঙ্গে আমাদের বিরোধ চলছে। এছাড়া মাটি কাটা নিয়ে আমানিয়া ব্রিক ফিল্ডের তারেক ও আরিফের সঙ্গে আমার ভাই সাত্তারের বিরোধ দেখা দেয়। তারা এক জোট হয়ে আমার ভাইকে হত্যা করে গাছে ঝুলিয়ে রাখে।”
বেগমগঞ্জ মডেল থানার ওসি লিটন দেওয়ান বলেন, “নিহতের স্বজনরা দুইজনের নাম উল্লেখ করে অভিযোগ করেছেন তাকে হত্যা করে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। নিহতের শরীরে কোনে আঘাতের চিহৃ নেই। প্রাথমিকভাবে এটাকে আত্মহত্যা বলে মনে হচ্ছে। অভিযোগ তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। মরদেহ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন হাতে পেলে বিস্তারিত জানা যাবে।”
ঢাকা/সুজন/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
একসঙ্গে উঠলেন নাগরদোলায়, হঠাৎ অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যা
পারিবারিক কলহের জেরে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে নাগরদোলায় উঠিয়ে গলা কেটে হত্যা করেছে সাকিব হোসেন (২৫) নামে এক ব্যক্তি। নিহতের নাম লাকি বেগম (১৯)। তিনি ওই উপজেলার কালাপুল এলাকার বেদে পল্লীর মনছুর আলীর মেয়ে। সোমবার রাত ৮টার দিকে উপজেলার একলাশপুর ইউনিয়নের হাফেজ মহিন উদ্দিনের মাজরের ওরসের মেলায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর তাৎক্ষণিকভাবে স্থানীয় লোকজন সাকিবকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে। তিনি নোয়াখালী সদর উপজেলার এওজবালিয়া বেদে পল্লীর মঙ্গল মিয়ার ছেলে।
বেগমগঞ্জ মডেল থানার ওসি লিটন দেওয়ান সোমবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, হত্যার ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
নিহতের মা শেফালী বেগম জানান, এক বছর আগে পারিবারিকভাবে সদর উপজেলার এওজবালিয়া ইউনিয়নের মান্নান নগরের বেদে পাড়ার মঙ্গলের ছেলে শাকিবের সঙ্গে লাকীর বিয়ে হয়। লাকী পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। গত ১৫ দিন আগে তিনি শ্বশুরবাড়ি থেকে স্বামীসহ বাবার বাড়িতে আসেন। রোববার স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে শাকিব স্ত্রীকে মারধর করে জামা কাপড় ছিঁড়ে ফেলেন। পরে নিজের ব্যবহৃত একটি মুঠোফোনে ভেঙে ফেলেন এবং নিজের মাথা নিজে ফাটান। সোমবার সন্ধ্যার দিকে লাকীর স্বামী ও তার পরিবারের সদস্যরা একলাশপুর ইউনিয়নের মহিন উদ্দিন হাফেজের ওরসের মেলায় ঘুরতে যান। সেখানে স্বামী-স্ত্রী একসঙ্গে নাগরদোলায় ওঠেন।
শেফালী বেগম নাগরদোলায় থাকা প্রত্যক্ষদর্শী এক নারীর বরাত দিয়ে জানান, একপর্যায়ে নাগরদোলায় শাকিব তার স্ত্রী গলায় ছুরিকাঘাত করে গুরুত্বর আহত করে। পরে রক্তাক্ত অবস্থায় স্ত্রীকে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসক লাকীকে মৃত ঘোষণা করেন।
বেগমগঞ্জ থানার ওসি লিটন দেওয়ান বলেন, অভিযুক্ত সাকিব হোসেনকে আটক করা হয়েছে। পারিবারিক কলহের জের ধরে এ ঘটনা ঘটে। নিহতের মরদেহ ২৫০ শয্যার নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। নিহতের পরিবারের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।