নিজেদের কাজের ব্যাখ্যা দিয়ে ফেডারেল কর্মীদের মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ইমেইল করতে একপ্রকার হুমকিই দিয়েছেন ধনকুবের ইলন মাস্ক।

শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) ইলন মাস্ক তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে পোস্টে দিয়ে বলেন, কর্মীদের একটি ইমেইলের জবাব দিতে হবে। সেখানে তারা চলতি সপ্তাহে কী কাজ করেছেন তার ব্যাখ্যা দেবেন, নয়ত তাদের পদত্যাগ করতে হবে।

তবে ট্রাম্প প্রশাসনের সব কর্মকর্তা এই উদ্যোগের সঙ্গে একমত নন। এফবিআই পরিচালক কাশ প্যাটেল কর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন, এই ইমেইলের উত্তর আপাতত না দিতে। তিনি বলেছেন, এফবিআই নিজস্ব প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তাদের কর্মীদের কাজ পর্যালোচনা করবে। দেশটির পররাষ্ট্র দপ্ত‌রও তাদের কর্মীদের ইমেইলের জবাব না দিতে বলেছে।

রোববার মার্কিন সংবাদমাধ্যম এনবিসি নিউজ এ খবর জানিয়েছে।

সংবাদে বলা হয়েছে, ফেডারেল কর্মীরা এরই মধ্যে একটি করে ই-মেইল পেতে শুরু করেছেন। ওই ইমেইলে তাদের এই সপ্তাহে করা কাজের সংক্ষিপ্ত তালিকা দিতে বলা হয়েছে। তবে, মাস্কের পোস্টের মতো সেই ইমেইলে সরাসরি পদত্যাগের হুমকি দেওয়া হয়নি।

যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল সরকারের মানবসম্পদ এজেন্সি-অফিস অব পার্সোনেল ম্যানেজমেন্ট থেকে কর্মীদের কাছে ওই ইমেইলগুলো পাঠানো হয়েছে।

ইমেইলে কর্মীদের পাঁচটি বুলেট পয়েন্টের মাধ্যমে তাদের কাজের তালিকা জমা দিতে বলা হয়েছে। কর্মীদের পাঠানো ই-মেইল তাদের ম্যানেজারদেরও পাঠাতে বা সিসি করতে বলা হয়েছে। এতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, কর্মীরা যেন কোনও গোপনীয় তথ্য, লিঙ্ক বা সংযুক্তি সংযুক্ত না করেন। এছাড়া সোমবার রাত ১১টা ৫৯ মিনিটের মধ্যে কর্মীদের ওই ইমেইলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

মাস্ক তার পোস্টে লিখেছেন, প্রেসিডেন্ট @realDonaldTrump-এর নির্দেশনার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে, শীঘ্রই সমস্ত ফেডারেল কর্মী একটি ইমেইল পাবেন। ইমেইলে কর্মীরা গত সপ্তাহে কী কাজ করেছেন, তা জানানোর অনুরোধ করা হবে। এতেও বোঝা যাবে, আসলেই তিনি কি কাজ করেছেন। কোনো কর্মী ইমেইলের জবাব না দিলে সেটা পদত্যাগ হিসেবে বিবেচিত হবে।

পররাষ্ট্র দপ্তরের রাষ্ট্রদূত টিবর পি.

নাগি কর্মীদের পাঠানো এক ই-মেইলে জানান, দপ্ত‌রের পক্ষ থেকে কর্মীদের হয়ে জবাব দেওয়া হবে। কোনও কর্মী তাদের নিজস্ব দপ্ত‌রের নির্দেশনার বাইরে অন্য কাউকে তাদের কাজের প্রতিবেদন দিতে বাধ্য নন।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ইলন ম স ক ফ ড র ল কর ম কর ম দ র কর ছ ন

এছাড়াও পড়ুন:

প্রযুক্তি ও গণপূর্ত বিভাগের দুই প্রস্তাবে ব্যয় ৫৭ কোটি ৮৭ লাখ টাকা

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ ‘ডিজিটাল সরকার ও অর্থনীতি শক্তিশালীকরণ’ প্রকল্পের লট-১: সাপ্লাই, ইনস্টলেশন অ্যান্ড কমিশনিং অব এক্সপানশন অব এক্সিটিং নুটানিক্স প্রাইভেট ক্লাউড প্ল্যাটফর্ম ইন ন্যাশনাল ডাটা সেন্টার অ্যাট বিসিসি এবং গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের ‘র‌্যাব ফোর্সেস সদর দপ্তর নির্মাণ’ প্রকল্পের পূর্ত কাজের ভেরিয়েশন প্রস্তাবসহ দুটি অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। এতে মোট ব্যয় হবে ৫৭ কোটি ৮৭ লাখ ৭৪ হাজার ৪০১ টাকা।

মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) সচিবালয়ে এক ভার্চুয়াল সভায় অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে প্রস্তাব দুটিতে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সভায় কমিটির সদস্য ও কর্মকর্তারা যোগ দেন। সরকারি কাজে অর্থ উপদেষ্টা বিদেশে অবস্থান করা তিনি সভায় ভার্চুয়ালি অংশ নেন।

সভা সূত্রে জানা গেছে, ‘ডিজিটাল সরকার ও অর্থনীতি শক্তিশালীকরণ’ প্রকল্পের  লট-১: এর আওতায় সাপ্লাই, ইনস্টলেশন অ্যান্ড কমিশনিং অব এক্সপানশন অব এক্সিটিং নুটানিক্স প্রাইভেট ক্লাউড প্ল্যাটফর্ম ইন ন্যাশনাল ডাটা সেন্টার অ্যাট বিসিসি-এর ক্রয় কার্য সম্পাদনের জন্য সিঙ্গেল স্টেজ টু ইনভেলপ পদ্ধতিতে দরপত্র আহ্বান করা হলে ২টি দরপত্র জমা পড়ে। তার মধ্যে মাত্র ১টি প্রস্তাব আর্থিক ও কারিগরিভাবে রেসপনসিভ হয়। দরপত্রের সব প্রক্রিয়া শেষে টিইসির সুপারিশকৃত একমাত্র রেসপনসিভ দরদাতা প্রতিষ্ঠান ঠাকরাল ইনফরমেশন সিস্টেমস প্রাইভেট লিমিটেড ঢাকার নাম দরপত্র মূল্যায়ন কমিটি সুপারিশ করলে কমিটি তাতে অনুমোদন দিয়েছে। এতে ব্যয় হবে ৫১ কোটি ৬৮ লাখ ১১ হাজার ৫৮২ টাকা।

সূত্র জানায়, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের ‘র‌্যাব ফোর্সেস সদর দপ্তর নির্মাণ’ প্রকল্পের ডব্লিউডি-১(ন) লটের পূর্ত কাজের ভেরিয়েশন প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে কমিটি।

জানা গেছে, সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির অনুমোদনক্রমে ‘র‌্যাব ফোর্সেস সদর দপ্তর নির্মাণ’ প্রকল্পের  বিভিন্ন কাজের জন্য মজিদ সন্স কন্সট্রাকশন লিমিটেডকে নিয়োগ দেওয়া হয়। কাজের ক্রয় চুক্তি ছিল ১৯২ কোটি ৪ লাখ ৩২ হাজার ৩২৬ টাকা। চুক্তি অনুসারে কাজ চলমান অবস্থায় নির্মাণ কাজের টেন্ডাভুক্ত বহির্ভুত কিছু আইটেম হ্রাস হওয়ায় ভেরিয়েশন বাবদ অতিরিক্ত  ৬ কোটি ১৯ লাখ ৬২ হাজার ৮১৯ টাকা ব্যয় বৃদ্ধির ক্রয় প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে কমিটি।

ঢাকা/হাসনাত/এসবি

সম্পর্কিত নিবন্ধ