ফেসবুক পোস্ট নির্দিষ্ট ব্যক্তিদের কাছে লুকিয়ে রাখবেন যেভাবে
Published: 23rd, February 2025 GMT
ফেসবুকে দৈনন্দিন জীবনের বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরার পাশাপাশি বিভিন্ন ছবি ও ভিডিও পোস্ট করেন অনেকেই। এতে পারিবারিক বিভিন্ন ছবি বা তথ্য অনিচ্ছা সত্ত্বেও ফেসবুকের বন্ধুতালিকায় থাকা স্বল্প পরিচিত ব্যক্তি বা সহকর্মীদের কাছে চলে যায়। এতে অনেক সময় বিব্রতকর পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হলেও সম্পর্ক নষ্টের ভয়ে তাঁদের বন্ধুতালিকা থেকে বাদ দেওয়া যায় না। তবে চাইলেই ফেসবুকের গোপনীয়তা সেটিংস পরিবর্তন করে আমাদের পোস্টগুলো কারা দেখতে পারবেন, তা নির্ধারণ করে দেওয়া যায়।
আরও পড়ুনআপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট গোপনে কি অন্য কেউ ব্যবহার করছে?১৩ নভেম্বর ২০২৩ফেসবুক পোস্ট কোন কোন ব্যক্তি দেখতে পারবেন, তা নির্ধারণের জন্য প্রথমে ফেসবুক অ্যাপ থেকে প্রোফাইল আইকনে ক্লিক করে ‘সেটিংস অ্যান্ড প্রাইভেসি’ নির্বাচন করতে হবে। এরপর ‘সেটিংস’–এ ক্লিক করে ‘অডিয়েন্স অ্যান্ড ভিজিবিলিটি’ অপশনের মধ্যে থাকা ‘পোস্ট’ নির্বাচন করতে হবে। এরপর ‘হু ক্যান সি ইয়োর ফিউচার পোস্টস’ সেটিংস নির্বাচন করতে হবে। এখানে পাবলিক, ফ্রেন্ডস, ফ্রেন্ডস একসেপ্ট…, স্পেসিফিক ফ্রেন্ডস এবং অনলি মি—এই পাঁচটি অপশন দেখা যাবে। পাবলিক অপশন নির্বাচন করলে ফেসবুক পোস্ট সবাই দেখতে পারবেন, ফ্রেন্ডস অপশন নির্বাচন করলে শুধু ফেসবুক বন্ধুরা দেখতে পারবেন, যদি নির্দিষ্ট কিছু ব্যক্তির কাছ থেকে পোস্ট লুকিয়ে রাখতে হয়, তাহলে ‘ফ্রেন্ডস এক্সসেপ্ট’ অপশনে ক্লিক করে তাঁদের নাম নির্বাচন করতে হবে। স্পেসিফিক ফ্রেন্ডস নির্বাচন করলে নির্দিষ্ট কয়েকজনের নাম নির্বাচন করতে হবে তখন শুধু তাঁরাই সেই পোস্ট দেখতে পারবেন। আর অনলি মি নির্বাচন করলে ব্যবহারকারী শুধু নিজেই তাঁর ফেসবুক পোস্ট দেখতে পারবেন।
সূত্র: টেকলুসিভ
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ফ সব ক প স ট
এছাড়াও পড়ুন:
ইংলিস-ঝড়ে ৪ ঘণ্টাও টিকল না ইংলিশদের রেকর্ড
এই ম্যাচ এভাবেও হেরে যাওয়া যায়—ইংলিশরা নিশ্চিত এমনটাই ভাবছে। চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ইতিহাসে দলীয় সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড গড়েছিল ইংল্যান্ড। চার ঘণ্টাও টিকল না সেই রেকর্ড। জশ ইংলিসের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে ইংলিশদের রেকর্ড ভেঙে জয় দিয়ে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি শুরু করল অস্ট্রেলিয়া।
লাহারে আগে ব্যাট করে ৮ উইকেটে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে দলীয় সর্বোচ্চ ৩৫১ রান করে ইংল্যান্ড, দলটির ব্যাটসম্যান বেন ডাকেটও গড়েন সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংসের রেকর্ড। রানটা ১৫ বল আর ৫ উইকেট হাতে রেখে পেরিয়ে যায় অস্ট্রেলিয়া। ২১ বছর আগে নিউজিল্যান্ডের নাথান অ্যাস্টল করেছিলেন ১৪৭ রান, ওই ম্যাচে দলীয় সর্বোচ্চ রেকর্ডও গড়েছিল নিউজিল্যান্ড ৩৪৭ রান। কাল তাদের ওই দুই রেকর্ডই ভাঙে ইংল্যান্ড। এক ম্যাচে ভেঙে যাওয়া দুই রেকর্ডের পরেরটির জন্য কৃতিত্ব দিতে হবে জো রুটকেও। অস্ট্রেলিয়ার ‘নতুন’ বোলিং আক্রমণের ওপর ইংলিশ ব্যাটসম্যানদের ছড়ি ঘোরানোর ভিতটা ডাকেটের সঙ্গে মিলে গড়ে দেন রুটই। দলীয় ৪৩ রানের মধ্যেই ফিল সল্ট ও জেমি স্মিথকে হারিয়ে ফেলেছিল ইংল্যান্ড। এরপর পথ হারিয়ে ফেলার শঙ্কাও জেগেছিল। কিন্তু ডাকেটের সঙ্গে তৃতীয় উইকেটে ১৫৫ বলে ১৫৮ রানের জুটি গড়ে দলকে কক্ষে ফেরাতে সাহায্য করেন রুট। তিনি অবশ্য খুব বেশি দূর যেতে পারেননি, ৭৮ বলে ৬৮ রান করে ফেরেন রুট।
রুট দ্রুত থামলেও ডাকেট আউট হন ৪৮তম ওভারে গিয়ে। আউট হওয়ার আগে ১৪৩ বলে ১৭ চার ও ৩ ছক্কায় ১৬৫ রান করেছেন ইংল্যান্ডের ওপেনার। ডাকেটের আউটের পর ইংল্যান্ডের ইনিংসে আলোচনা ছিল সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহের রেকর্ডটা তারা ভাঙতে পারে কি না। হ্যারি ব্রুক, জস বাটলার, লিয়াম লিভিংস্টোনরা খুব বেশি রান করতে না পারলেও শেষ দিকে জফরা আর্চারের ঝড়ে রেকর্ডটি নিজেদেরই করে নিয়েছে ইংল্যান্ড। আর্চার ১০ বলে ২ চার ও ১ ছক্কায় করেছেন ২১ রান। ১০ ওভারে ৬৬ রান দিয়ে অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নিয়েছেন বেন ডোয়ারশিস।
বড় রান তাড়া করতে নেমে অস্ট্রেলিয়ার জন্য সবচেয়ে বড় পাথেয় হতে পারতেন যাঁরা—সেই ট্রাভিস হেড ও স্টিভেন স্মিথ ফেরেন দলীয় ২৭ রানেই। এরপর দলের পক্ষে হাল ধরা জুটিতে ৯১ বলে ৯৫ রান করেন ম্যাথু শর্ট ও মারনাস লাবুশেন। তাঁদেরও অবশ্য ফেরাতে পেরেছিল ইংল্যান্ড। শর্ট ৬৩ ও লাবুশেন ৪৭ রানে ফেরার পর ইংল্যান্ডের জন্য বাধা হয়ে দাঁড়ান আরেক ইংলিস। তবে জশ ইংলিস ৮৬ বলে ১২০ রান করে ইংল্যান্ডের হার নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন, ম্যাক্সওয়েল ১৫ বলে ৩২ রানে থাকেন অপরাজিত।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
ইংল্যান্ড: ৫০ ওভারে ৩৫১/৮ (ডাকেট ১৬৫, রুট ৬৮; ডোয়ারশিস ৩/৬৬, লাবুশেন ২/৪১, জাম্পা ২/৬৪)।
অস্ট্রেলিয়া: ৪৭.৩ ওভারে ৩৫৬/৫ (ইংলিস ১২০*, ক্যারি ৬৯, শর্ট ৬৩, লাবুশেন ৪৭; রশিদ ১/৪৩৭, লিভিংস্টোন ১/৪৭)।
ফল: অস্ট্রেলিয়া ৫ উইকেটে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: জশ ইংলিস।