নওগাঁয় সড়কে গাছ ফেলে বাস ও মাইক্রোবাসে ডাকাতি
Published: 23rd, February 2025 GMT
নওগাঁর পত্নীতলায় সড়কে গাছ ফেলে ডাকাতি হয়েছে। এ সময় একটি বাস ও মাইক্রোবাসের যাত্রীদের কাছ থেকে টাকা ও মালপত্র লুট করা হয়। গতকাল শনিবার দিবাগত রাত পৌনে ১২টার দিকে উপজেলার নজিপুর-সাপাহার সড়কের মানাষী ও করমজাইয়ের মাঝামাঝি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
ডাকাতের কবলে পড়া বিআরটিসি বাসের সুপারভাইজার রতন কুমার সাহা বলেন, রাজশাহী থেকে তাঁদের বাসটি পোরশার নিতপুরের উদ্দেশে রাত পৌনে ৯টার দিকে ছেড়ে আসে। দিবাগত রাত পৌনে ১২টার দিকে ঘটনাস্থলে পৌঁছালে সড়কে গাছ ফেলা দেখে বাসের গতি কমিয়ে ফেলা হয়। এ সময় বাসটির পাশাপাশি একটি মাইক্রোবাসও আটকা পড়ে। এরপর একদল মুখোশধারী ব্যক্তি দরজা-জানালার গ্লাস ভেঙে বাসে ঢুকে অস্ত্রের মুখে যাত্রীদের কাছ থেকে টাকা, মুঠোফোন, নারী যাত্রীদের স্বর্ণালংকার, অন্যান্য মালামালসহ প্রায় তিন লাখ টাকার মালামাল নিয়ে যায়।
রতন কুমার সাহা আরও বলেন, বাসের পেছনে থাকা মাইক্রোবাসটিতেও ডাকাতেরা হানা দেয়। তারা মাইক্রোবাসটির চালককে মারধর করে মালামাল লুট করে পালিয়ে যায়।
এ বিষয়ে পত্নীতলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনায়েতুর রহমান বলেন, ডাকাতের কবলে পড়া বাসটিতে ২০ থেকে ২৫ জন যাত্রী ছিলেন। এ ছাড়া ওই সময় সেখানে একটি মাইক্রোবাস ডাকাতের কবলে পড়ে। ডাকাতেরা মাইক্রোবাসটির কাচ ভাঙচুর করে। তবে যাত্রী ও চালকদের ক্ষতি করতে পারেনি। পুলিশের একটি দল ওই এলাকায় টহলে ছিল। যাত্রীদের ফোন পাওয়ার আগেই পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায়। এ কারণে ডাকাতেরা বড় ধরনের ক্ষতি করতে পারেনি।
ওসি আরও বলেন, ‘এটা আসলে খুব সরু রাস্তা। বিআরটিসির বাসটি সাপাহারের দিকে যাচ্ছিল। গাছ ফেলে রাস্তায় ব্লক করে দেওয়া হয়েছিল। পেছনে পুলিশের গাড়িও ছিল। যাত্রীদের কী পরিমাণ মালামাল লুট হয়েছে, তা তদন্ত করার পর জানা যাবে। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগেই তারা পালিয়েছে। পুরো ঘটনাটি তদন্ত করছি। আশা করছি দ্রুত ডাকাত চক্রের সদস্যদের আইনের আওতায় আনা সম্ভব হবে।’
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
গাইবান্ধায় নকলের অভিযোগে ১১ পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার
গাইবান্ধায় এসএসসি ও দাখিল পরীক্ষার চারটি কেন্দ্রে নকল ও মোবাইল ফোন সঙ্গে রাখার অপরাধে ১১ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এসময় তিনটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। এছাড়া নকলে সহযোগিতা করার দায়ে এক শিক্ষককে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) ইংরেজি (আবশ্যিক) দ্বিতীয় পত্রের পরীক্ষা চলাকালীন সময় তাদের বহিষ্কার করা হয়।
এর মধ্যে সাঘাটা উপজেলার পাইলট বালক উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র থেকে তিনজন, বোনারপাড়া এম ইউ সিনিয়র মাদ্রাসা কেন্দ্র একজনকে বহিষ্কার করাসহ তিনটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। এছাড়া গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার মহিমাগঞ্জ আলিয়া কামিল মাদ্রাসাকেন্দ্র থেকে পাঁচজন, কামদিয়া দারুল উলুম সিদ্দিকীয়া আলীম মাদ্রসার কেন্দ্র থেকে এক শিক্ষার্থী ও এক শিক্ষককে বহিষ্কার করা হয়েছে।
এ বিষয়ে সাঘাটা উপজেলার সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুল লতিফ জানান, পরীক্ষা চলাকালে সাঘাটা পাইলট বালক উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে তিন পরীক্ষার্থীর কাছে মোবাইল ফোন থাকায় তাদের বহিষ্কার করা হয়। এসময় তিনটি স্মার্টফোন জব্দ করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দা ইয়াসমিন সুলতানা বলেন, “পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বনের অপরাধে মাদ্রাসার দুটি কেন্দ্রের দায়িত্বরত কর্মকর্তারা কক্ষ পরিদর্শনের সময় ছয় শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করে। এছাড়া নকলে সহযোগিতা করায় এক শিক্ষককে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।”
অপরদিকে, সুন্দরগঞ্জ আব্দুল মজিদ সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়কেন্দ্রে এক শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। স্মার্টফোন নিয়ে কক্ষে প্রবেশ করায় ওই শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয় বলে জানান কেন্দ্র সচিব মো. ইলিয়াস আলী।
গাইবান্ধার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আল মামুন (শিক্ষা ও আইসিটি) বলেন, “পরীক্ষাকেন্দ্র পর্যবেক্ষণে অতিরিক্ত ম্যাজিস্ট্রেট ও পর্যবেক্ষক দায়িত্ব পালন করছেন। কোথাও কোন অনিয়ম হলেই সাথে সাথে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা রয়েছে।”
ঢাকা/মাসুম/এস