ভারত–পাকিস্তান ম্যাচের আগে পাকিস্তানের উপহার, মুক্তি পেলেন ২২ ভারতীয় জেলে
Published: 23rd, February 2025 GMT
ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ শুধু একটি ক্রিকেট ম্যাচ নয়! এটি দুই দেশের সম্পর্ক উন্নয়নের একটি ধাপও। এই যেমন এবারের চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ভারত–পাকিস্তান ম্যাচের আগে ভারতকে পাকিস্তানের পক্ষ থেকে অন্য ধরনের উপহার দেওয়া হলো। কী সেই উপহার?
পাকিস্তানের জেলখানায় বন্দী ২২ জন ভারতীয় জেলেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন পিসিবি প্রধান মহসিন নাকভি। মাছ ধরতে গিয়ে পাকিস্তানি জলসীমায় প্রবেশ করায় আটক করা হয়েছিল এই জেলেদের। মহসিন নাকভি পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও।
কাল দুবাইয়ে দলের অনুশীলন দেখতে এসে এই খবর জানিয়েছেন নাকভি। সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময়ে অন্য বিষয় নিয়েও কথা বলেছেন পিসিবি প্রধান। কাল দলের সিনিয়র ক্রিকেটারদের সঙ্গে বসেছিলেন নাকভি। অনুশীলনে না থাকায় সেখানে অবশ্য উপস্থিত ছিলেন না বাবর আজম।
জেলেদের মুক্তি দেওয়ার প্রসঙ্গ উঠে এসেছে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে। লাহোরে কাল অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ড ম্যাচের আগে অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় সংগীতের পরিবর্তে কয়েক সেকেন্ড বাজানো হয়েছে ভারতের জাতীয় সংগীত। এ নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই নাকভি বলেন, ‘টুর্নামেন্ট আইসিসি আয়োজন করছে।’ সঙ্গে তিনি যোগ করে বলেন, ‘আমাদের পক্ষ থেকে আমরা ২২ জন ভারতীয় জেলেকে মুক্তি দিয়েছি।’
দলের সঙ্গে আলোচনা করছেন মহসিন নাকভি.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ভবদহের জলাবদ্ধতা নিরসনে সেনা তত্ত্বাবধানে নদী খনন
যশোরের দুঃখ ভবদহ জলাবদ্ধতা সমস্যার স্থায়ী সমাধানের পথে হাঁটছে সরকার। এরই অংশ হিসেবে সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে আশপাশের নদী খনন করা হচ্ছে। গতকাল মঙ্গলবার জলাবদ্ধ এলাকা পরিদর্শনে এ কথা জানান পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
পরিদর্শনে তাঁর সঙ্গে ছিলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। এ সময় রিজওয়ানা বলেন, ‘দুর্গত এলাকার মানুষ ও পানি বিশেষজ্ঞদের মতামতের ভিত্তিতে জলাবদ্ধতার স্থায়ী সমাধানে সবকিছু করা হবে। এবার বর্ষায় জলাবদ্ধতা ঠেকাতে সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে শিগগির ভবদহ এলাকার নদী খনন করা হবে।’
ভবদহের জলাবদ্ধতা প্রায় চার দশকের। ভুক্তভোগীরা জলাবদ্ধতার স্থায়ী সমাধানে টাইডাল রিভার ম্যানেজমেন্ট (টিআরএম) চালু ও আমডাঙ্গা খাল সংস্কারের দাবি জানিয়ে আসছেন। তবে পাউবো পাম্প দিয়ে পানি বের করতে প্রায় ৬৫০ কোটি টাকার প্রকল্প বাস্তবায়ন করলেও দূর হয়নি দুর্দশা।
তিন উপদেষ্টার আসার খবরে গতকালও ভবদহের ২১ ভেন্ট স্লুইসগেটের কাছে জড়ো হয়ে ভুক্তভোগীরা আবারও টিআরএম চালুর দাবি জানান। এক পর্যায়ে কয়েকজন টিআরএমের বিরোধিতা করে স্লোগান দিলে উত্তেজনা দেখা দেয়। পরে সেনাবাহিনী ও পুলিশ সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন। স্থানীয়দের দাবি, ঘের মালিকদের ভাড়া করা লোক বিক্ষোভ করেছেন।
ভবদহ পানি নিষ্কাশন সংগ্রাম কমিটির উপদেষ্টা ইকবাল কবির জাহিদ বলেন, পাউবো কর্মকর্তারা ভবদহের জলাবদ্ধতা নিরসন করতে চান না। তারা সমস্যা জিইয়ে রেখে প্রতি বছর প্রকল্পের নামে শত শত কোটি টাকার ব্যবসা করতে চান। টিআরএম ছাড়া জলাবদ্ধতা দূর হবে না জেনেও এমন প্রকল্প মূলত স্থানীয় ঘের মালিকদের সুবিধার জন্য নিচ্ছে পাউবো। তবে এবার আমডাঙ্গা খাল খননের জন্য দরপত্র হয়েছে। এটি টিআরএমের অংশ। তিন উপদেষ্টা আসায় স্থায়ী সমাধান হবে বলে আমরা আশাবাদী।
পরিদর্শন শেষে ভবদহ কলেজ মাঠে সাংবাদিকদের উপদেষ্টা রিজওয়ানা বলেন, ভবদহ সমস্যা রাতারাতি সমাধান করা যাবে না। তবে স্বল্পকালীন সমাধান হিসেবে আমডাঙ্গা খাল খনন করে পানি বের করা হয়েছে। ফলে অনাবাদি ২০ হাজারের মধ্যে প্রায় ১৭ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো চাষ হয়েছে। জলাবদ্ধতা নিরসনে চলা সেচপাম্পের ৪৬ শতাংশ বিদ্যুৎ বিল কমিয়েছে পল্লী বিদ্যুৎ। এলাকার জন্য কৃষি ব্যাংকের ঋণের সুদ মওকুফে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
এ সময় উপদেষ্টার বক্তব্যের প্রতিবাদ জানান উপস্থিত অর্ধশতাধিক কৃষক। তারা উপদেষ্টাকে বলেন, পাউবো আপনাকে মিথ্যা তথ্য দিয়ে মূল বিষয় আড়াল করেছে। পানি নেমে যাওয়া জমির মাত্র ২০ শতাংশে ধান আবাদ হয়েছে।