দৌলতদিয়ায় অভিযান চালিয়ে পিস্তলসহ গ্রেপ্তার সাবেক যুবদল নেতা
Published: 23rd, February 2025 GMT
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া যৌনপল্লীতে একটি বিদেশি পিস্তল-গুলিসহ আবুল হাসেম সুজন (৫৩) নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়ালন্দ ঘাট থানা পুলিশ। সে রাজবাড়ী সদর উপজেলার বড়মুরারীপুর গ্রামের মৃত জনাব আলী মিয়ার ছেলে ও রাজবাড়ী জেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি।
জানা যায়, আবুল হাসেম সুজন ২০১৮ সালে সংবাদ সম্মেলন করে যুবদল থেকে পদত্যাগ করেন। পরে তিনি আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে বিভিন্ন ব্যবসা বাণিজ্য করে অঢেল সম্পদের মালিক হন।
গোয়ালন্দঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ রাকিবুল ইসলাম জানান, শনিবার রাত ৩টার দিকে গোয়ালন্দ ঘাট থানার সাব-ইন্সপেক্টর মো.
ওসি বলেন, গ্রেপ্তার আসামির বিরুদ্ধে গোয়ালন্দ ঘাট থানায় অস্ত্র আইনে একটি মামলা করা হয়েছে। আসামিকে রোববার দুপুরে রাজবাড়ীর আদালতে সোপর্দ করা হবে এবং এ ঘটনায় আরও কেউ জড়িত আছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: য বদল ন ত
এছাড়াও পড়ুন:
শোলাকিয়া ঈদগাহে নামাজ পড়তে এক দিন আগেই চলে আসেন অনেকে
মো. সুরুজ আলীর বয়স ৮৫ বছর। পাকিস্তান আমল থেকে কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগাহ মাঠে নামাজ পড়তে আসেন তিনি। তাঁর বাড়ি ময়মনসিংহের তারাকান্দা এলাকায়। প্রতিবারের মতো এবারও এক দিন আগেই তিনি শোলাকিয়ায় নামাজ পড়তে চলে এসেছেন। সুরুজ আলী জানান, বড় মাঠে বেশি সওয়াব ও আল্লাহর নৈকট্য লাভের আশায় তিনি প্রায় ৬৫ বছর আগে থেকে শোলাকিয়ায় আসছেন। প্রতিবারই এক-দুই দিন আগেই তিনি কিশোরগঞ্জে এসে মাঠের আশপাশে থাকেন। এবার শোলাকিয়া বাগে জান্নাত গোরস্তান মসজিদে গতকাল রোববার থেকে অবস্থান নেন।
শুধু সুরুজ আলী নন, দেশের নানা প্রান্ত থেকে এ রকম কয়েক শ লোক শোলাকিয়ায় নামাজ পড়তে এক থেকে দুই দিন আগেই চলে আসেন। কেউ আবার দূর থেকে দুই-তিন দিন আগেও চলে আসেন। তেমনি চট্টগ্রামের বাঁশখালী থেকে মফিজুর রহমান নামের আরেকজন গত শনিবার সকালেই কিশোরগঞ্জে চলে আসেন। তিনি জানান, তিনি পূর্ব আফ্রিকার দেশ মোজাম্বিক প্রবাসী। ২০-২৫ বছর থেকে তাঁর ইচ্ছা ছিল শোলাকিয়ার ঈদগাহে নামাজ পড়বেন। কিন্তু দীর্ঘদিন প্রবাসে থাকায় সময়–সুযোগ হয়ে ওঠে না। তাই এবার মোজাম্বিক থেকে নিয়ত করেই দেশের বাড়িতে আসেন এবং সেখান থেকে শোলাকিয়ায় চলে আসেন।
বাগেরহাট থেকে মো. ইব্রাহীম নামের একজন শিক্ষক তাঁর ভাই মোস্তফাকে নিয়ে গতকাল শোলাকিয়া বাগে জান্নাত মসজিদে এসে ওঠেন। ফজর আলী নামের আরেকজন নাটোর সদর থেকে এসেছেন। একসময় দূর থেকে আসা মুসল্লিরা সবাই শোলাকিয়া মাঠের মিম্বরেই অবস্থান করতেন। কিন্তু ২০১৬ সালে ঈদুল ফিতরের দিন শোলাকিয়া মাঠের অদূরে জঙ্গি হামলার কারণে নিরাপত্তার স্বার্থে এখন আর কাউকে মাঠের ভেতর থাকতে দেওয়া হয় না। যার কারণে প্রশাসন থেকে শোলাকিয়া বাগে জান্নাত গোরস্তান মসজিদ, পার্শ্ববর্তী আজিম উদ্দিন উচ্চবিদ্যালয়সহ কয়েকটি জায়গায় দূরের মুসল্লিদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়।
রোববার রাতে শোলাকিয়া বাগে জান্নাত গোরস্তান মসজিদে অনেক মুসল্লি অবস্থান করেন