চাঁপাইনবাবগঞ্জে ইসলামি বক্তা মিজানুর রহমানের তাফসির অনুষ্ঠানে নারীদের প্যান্ডেল থেকে সোনার গয়না চুরির অভিযোগে আট নারীকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে জনতা। গতকাল শনিবার সদর উপজেলার রানিহাটি ইউনিয়নে অনুষ্ঠানস্থলে এ ঘটনা ঘটে।

গতকাল রাতে সদর থানায় সোনার গয়না চুরির অভিযোগে ৩২টি ও মুঠোফোন চুরির অভিযোগে ১৯টি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) হয়েছে।

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রইস উদ্দীন এই খবরের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আটক নারীদের মধ্যে হবিগঞ্জের পাঁচজন, নরসিংদী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও সাভারের একজন করে। তাঁরা একটি সংঘবদ্ধ চোর চক্রের সদস্য ও বেদে সম্প্রদায়ের। বোরকা পরে মাহফিলে নারীদের প্যান্ডেলে ঢুকে স্বর্ণালংকার চুরি করার সময় নারীদের হাতে ধরা পড়েন। পরে তাঁদের পুলিশের হাতে সোপর্দ করা হয়। তাঁদের নাম-ঠিকানা যাচাই করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে মামলার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

গুজরাটে আতশবাজি কারখানায় বিস্ফোরণ, নিহত ১৮

ভারতের গুজরাটের একটি আতশবাজির কারখানা ও গোডাউনে বিস্ফোরণের ঘটনায় অন্তত ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই ছিল যে তার ফলে ভবনের একাংশ ভেঙে পড়ে। সূত্র- বিবিসি বাংলা

গুজরাটের পুলিশ বলছে, মঙ্গলবার সকালে গুজরাটের বনাসকাণ্ঠা জেলার ডীসা শহরে আতশবাজির কারখানায় হঠাৎই বিস্ফোরণ হয়।

বনাসকাণ্ঠা জেলার পুলিশ সুপার অক্ষয়রাজ মাকওয়ানা বলেন, খবর পাওয়া মাত্রই স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে উদ্ধারের কাজ শুরু করা হয়। ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে এখনও পর্যন্ত ১৮ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, যে সময় ঘটনাটি ঘটে সে সময় ঘটনাস্থলে কারখানার শ্রমিকেরা ছাড়াও তাদের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

গোডাউনের একাংশেই শ্রমিকেরা তাদের পরিবার নিয়ে বসবাস করতেন। বিস্ফোরণে ভবনের একাংশ ভেঙে পড়ায় ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে যান উপস্থিতদের অনেকেই।

পুলিশের ওই কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ভবনের একটি স্ল্যাব ধসে পড়ায় প্রাণ হারিয়েছেন বহু মানুষ। নিহতরা মধ্য প্রদেশের বাসিন্দা ছিলেন।

তিনি বলেন, এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। আমরা তদন্ত করছি, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ ঘটনায় শোক জানিয়েছেন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ভুপেন্দ্র প্যাটেল। নিহতের পরিবারের জন্য ক্ষতিপূরণেরও ঘোষণা করেছেন তিনি। 

বনাসকাণ্ঠা জেলার কালেক্টর মিহির প্যাটেল বলেন, তীব্র বিস্ফোরণে কারখানার আরসিসি স্ল্যাব ধসে পড়েছে। জেসিবি মেশিনের মাধ্যমে ধ্বংসাবশেষ সরানোর কাজ শুরু হয়।

প্রাথমিকভাবে খবর পাওয়া গেছে, বাজি তৈরির কাজ চলার সময়ই বিস্ফোরণ ঘটে।

স্থানীয়রা বাসিন্দারা জানিয়েছেন, যে সময় ঘটনাটি ঘটে সেই সময় কারখানায় কাজ হচ্ছিল।

হঠাৎ বিকট আওয়াজ শুনতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা। মুহূর্তে ছোটাছুটি শুরু হয়ে যায়। চারিদিক থেকে চিৎকার শোনা যাচ্ছিল।

একজন স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, যে সময় ঘটনাটি ঘটে তখন ভেতরে কাজ চলছিল। কমপক্ষে ৩৫ জন ছিলেন সেখানে। ধ্বংসস্তূপের নিচে অনেকে আটকে থাকতে পারেন বলে আশঙ্কা করছি।

তবে ওই কারখানায় ঘটনার সময় ঠিক কতজন উপস্থিত ছিলেন, সে বিষয়ে নিশ্চিতভাবে কিছু বলতে পারেননি কর্মকর্তারা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ