পোপ ফ্রান্সিসের অবস্থা ‘সঙ্কটাপন্ন’
Published: 23rd, February 2025 GMT
রোমান ক্যাথলিক খ্রিস্টানদের প্রধান ধর্মগুরু পোপ ফ্রান্সিসের স্বাস্থ্য গত ২৪ ঘণ্টায় অবনতি হয়েছে।
রোববার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
৮৮ বছর বয়সী এই ধর্মগুরুকে শ্বাসনালীর প্রদাহ ব্রঙ্কাইটিস চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য গত ১৪ ফেব্রুয়ারি ইতালির রোমে অগস্টিনো জেমেল্লি ইউনিভার্সিটি পলিক্লিনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরবর্তী সময়ে তার উভয় ফুসফুসে নিউমোনিয়া ধরা পড়ে।
শনিবার এক বিবৃতিতে ভ্যাটিকান জানায়, পোপ ফ্রান্সিস দীর্ঘদিন ধরে হাঁপানির মতো শ্বাসকষ্টে ভুগছেন। গতকালের চেয়ে তার অবস্থার আরও অবনতি হয়েছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ধর্মগুরুর অবস্থা এখনও আশঙ্কাজনক। তিনি বিপদমুক্ত নন।
ভ্যাটিকান জানায়, পোপ তার স্বাস্থ্য সম্পর্কে এখনও সচেতন এবং সারাদিন একটি চেয়ারে বসে কাটিয়েছেন। যদিও তার শারীরিক অবস্থা গতকালের চেয়েও খারাপ। অতিরিক্ত অক্সিজেনের পাশাপাশি পোপের রক্তসঞ্চালনেরও প্রয়োজন। পরীক্ষায় দেখা গেছে তার প্লাটিলেটেও কমে গেছে।
হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার আগে বেশ কয়েক দিন ধরে ব্রঙ্কাইটিসের লক্ষণ ছিল পোপের। এর আগে ১৭ ফেব্রুয়ারি ভ্যাটিকান এক বিবৃতিতে জানায়, পোপ ফ্রান্সিসকে জটিল শারীরিক অবস্থার কারণে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। যত দিন প্রয়োজন, তত দিন হাসপাতালে থাকবেন তিনি।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: অবস থ
এছাড়াও পড়ুন:
গ্রামে ঋণ পেতে ব্যাংকের চেয়ে এনজিওতে ভরসা
গ্রামীণ অর্থনীতিতে ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানগুলোর (এমএফআই) মধ্যে প্রতিযোগিতা বেড়েছে। ফলে মহাজনী ব্যবস্থায় সুদের হার অনেক কমেছে। তবে সহজে ঋণ পাওয়া যায় বলে ব্যাংকের চেয়ে এখনও এনজিওকেই বেশি সুবিধাজনক বলে মনে করেন গ্রামের মানুষ। বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজের (বিআইডিএস) এক গবেষণায় এসব তথ্য উঠে এসেছে।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের বিআইডিএস মিলনায়তনে ‘ক্ষুদ্রঋণ প্রতিযোগিতা এবং মহাজনদের উপস্থিতি: তত্ত্ব এবং প্রমাণ’ শীর্ষক গবেষণাটি তুলে ধরেন অস্ট্রেলিয়া-দক্ষিণ এশিয়া গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক অধ্যাপক শ্যামল চৌধুরী।
প্রতিবেদনে বলা হয়, যখন একটি নতুন এনজিও কোনো গ্রামে প্রবেশ করে, তখন ওই গ্রামে মহাজনের কাছ থেকে ঋণ নেওয়ার প্রবণতা ৩৩ শতাংশ কমে যায়। তাছাড়া ওই ঋণে সুদের হারও প্রায় ২৫ শতাংশ কমে।
গবেষণায় বলা হয়, বাংলাদেশে ব্যাংক ও এনজিওর সংখ্যা বাড়লেও মহাজনের দৌরাত্ম্য পুরোপুরি নির্মূল হয়নি। ঋণগ্রহীতার ৫০ শতাংশ গ্রামীণ এনজিও থেকে ঋণ নেন। আর ২০ থেকে ৩০ শতাংশ এখনও মহাজনদের কাছে ঋণ নেন, যেখানে ব্যাংক থেকে ঋণগ্রহীতার সংখ্যা ৫ শতাংশেরও কম। গবেষণার সুপারিশে বলা হয়, মাইক্রোফাইন্যান্স প্রতিযোগিতার ফলে গ্রামীণ অর্থনীতিতে ইতিবাচক পরিবর্তন এসেছে। এটি পুরোপুরি সফল করতে হলে ব্যাংক, এনজিও এবং সরকারি সংস্থাগুলোর মধ্যে আরও সমন্বয় দরকার।