যুদ্ধবিরতি চুক্তির শর্ত মেনে ছয়জন ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে হামাস। কিন্তু এর বিনিময়ে ৬২০ জন ফিলিস্তিনি বন্দীকে গাজায় পাঠাননি ইসরায়েল। দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর এমন সিদ্ধান্তকে ‘খুবই বিরক্তিকর’ বলেছেন স্টিফেন জুনেস। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সান ফ্রান্সিসকো ইউনিভার্সিটির মিডল ইস্টার্ন স্টাডিজের পরিচালক।

স্টিফেন জুনেস আল–জাজিরাকে বলেন, ‘এটা যুদ্ধবিরতি চুক্তির স্পষ্টত লঙ্ঘন।’ তিনি আরও বলেন, চুক্তির শর্ত মেনে ইসরায়েলের পক্ষ থেকে মানবিক সহায়তা সরবরাহ, তাঁবু, ভ্রাম্যমাণ ঘর, চিকিৎসা সরঞ্জাম ও অন্যান্য সহায়তা পৌঁছে দিতে অনুমতি দেওয়ার কথা ছিল। তাতেও অস্বীকৃতি জানিয়েছে ইসরায়েল।

যুক্তরাষ্ট্র কখনোই যুদ্ধবিরতি চুক্তির শর্ত পূরণে ইসরায়েলকে চাপ দেবে না। যুক্তরাষ্ট্রের কোনো চাপ ছাড়া ইসরায়েলেরও চুক্তিটি শেষ করার জন্য খুব বেশি উৎসাহ নেই।স্টিফেন জুনেস, যুক্তরাষ্ট্রের সান ফ্রান্সিসকো ইউনিভার্সিটির মিডল ইস্টার্ন স্টাডিজের পরিচালক।

স্টিফেন জুনেস বলেন, ‘বিরক্তিকর বিষয় হলো, যুক্তরাষ্ট্র কখনোই যুদ্ধবিরতি চুক্তির শর্ত পূরণে ইসরায়েলকে চাপ দেবে না। যুক্তরাষ্ট্রের কোনো চাপ ছাড়া ইসরায়েলেরও চুক্তিটি শেষ করার জন্য খুব বেশি উৎসাহ নেই।’

এই বিশ্লেষকের মতে, নেতানিয়াহুর এমন সিদ্ধান্ত ‘বিশ্বাসের ওপর আঘাত’। অন্তত এই মুহূর্তে যতটুকু বিশ্বাস অবশিষ্ট আছে।

আস্থা ও বিশ্বাসের কথা বলতে গিয়ে স্টিফেন জুনেস বলেন, ‘যদি যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রথম পর্যায়টি ইসরায়েল পূরণ না করে, তাহলে তাঁরা (ফিলিস্তিনিরা) কীভাবে জানবে যে ইসরায়েলিরা চুক্তির পরবর্তী পর্যায়ের প্রতিশ্রুতি পূরণ করবে?’

আরও পড়ুনজিম্মিদের একসঙ্গে মুক্তি দিতে ‘রাজি’ হামাস১৪ ঘণ্টা আগেআরও পড়ুননেতানিয়াহু ‘নোংরা খেলা’ খেলছেন: হামাস৩ ঘণ্টা আগে

দীর্ঘ প্রায় ১৬ মাস রক্তাক্ত সংঘাতের পর গত ১৯ জানুয়ারি থেকে গাজায় যুদ্ধবিরতি শুরু হয়েছে। যুদ্ধবিরতি চুক্তির শর্ত অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত ২৫ জন জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে হামাস।

যুদ্ধবিরতি চুক্তির শর্তানুযায়ী ইসরায়েলের কাছে চার জিম্মির মরদেহ হস্তান্তর করে হামাস.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ইসর য় ল

এছাড়াও পড়ুন:

দেশে ক্যানসার কেয়ার ভিলেজের উন্মোচন করল ব্যানক্যাট

ক্যানসার রোগীদের চিকিৎসার জন্য আবাসনসুবিধা দিতে দেশে প্রথমবারের মতো কেয়ার ভিলেজ উন্মোচন করল বাংলাদেশ ক্যানসার এইড ট্রাস্ট (ব্যানক্যাট)। গতকাল শনিবার দ্য ওয়েস্টিন ঢাকায় ব্যানক্যাট এবং ভ্যালর অব বাংলাদেশ প্রথম–এর ‘ফিলানথ্রফি কনক্লেভ ২০২৫-ফস্টারিং এ কেয়ার ইকোনমি’ শীর্ষক আয়োজনে এই ঘোষণা দেওয়া হয়।

এই অনুষ্ঠানে মহিলা ও শিশুবিষয়ক এবং সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ বলেন, কেয়ার ইকোনমি শুধু সরকারের দায়িত্ব নয়, এতে সবার মিলিত চেষ্টা দরকার। যেখানে কমিউনিটির সহায়তা, দক্ষ মানুষ তৈরি আর বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সহানুভূতি একসঙ্গে কাজ করে সত্যিকারের পরিবর্তন আনে।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, বাংলাদেশের প্রথম ২৫০ শয্যার ক্যানসার কেয়ার ভিলেজ ‘আলোক বসতি’ একটি সুপরিকল্পিত হসপিস ও প্যালিয়েটিভ কেয়ার সেন্টার; যেখানে রোগীদের জন্য বিনা মূল্যে চিকিৎসা, মানসিক স্বাস্থ্য সহায়তা, আত্মিক যত্ন, এবং ক্যানসার স্ক্রিনিং সুবিধা থাকবে। পরিবেশবান্ধব এই প্রকল্পে সৌরবিদ্যুৎ এবং জৈব কৃষির মাধ্যমে টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করা হবে। পাঁচ ধাপে ৩৭ মাসে বাস্তবায়িত এই প্রকল্প বছরে পাঁচ হাজারের বেশি রোগীকে সেবা দেবে, যা বাংলাদেশের ক্যানসার চিকিৎসাব্যবস্থায় নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে।

এর সহযোগী হিসেবে রয়েছে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক, সাজেদা ফাউন্ডেশন, সেভেন রিংস সিমেন্ট এবং আবদুর রহিম মেমোরিয়াল ট্রাস্ট এবং ভ্যালর অব বাংলাদেশ।

গতকালের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ব্যানক্যাটের নির্বাহী পরিচালক নাজমুস আহমেদ, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের এমডি এবং সিইও সৈয়দ মাহবুবুর রহমান, সাজেদা ফাউন্ডেশনের সিইও জাহিদা ফিজা কবির, ফ্রেন্ডশিপের প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক রুনা খানসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ