পুলিশ কোনো দলের তল্পিবাহক হয়ে কাজ করবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
Published: 23rd, February 2025 GMT
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, “পুলিশ কোনো দলের তল্পিবাহক হয়ে, কোনো দলের এজেন্ডা বাস্তবায়ন কিংবা তাদের অন্যায্য এবং অন্যায় নির্দেশনা পালন করতে গিয়ে অপেশাদার আচরণ ও বেআইনি কাজ করবে না।”
রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজশাহীর সারদায় বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমির প্যারেড গ্রাউন্ডে ৪০তম বিসিএস (পুলিশ) ব্যাচের শিক্ষানবিশ সহকারী পুলিশ সুপারদের (এএসপি) প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে অভিবাদন গ্রহণ করেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।
কুচকাওয়াজে ৪০তম বিসিএস (পুলিশ) ব্যাচের ৫৭ জন ছাড়াও ৩৮তম বিসিএস ব্যাচের তিনজন প্রশিক্ষণার্থী অংশগ্রহণ করেন।
আরো পড়ুন:
বিয়েতে গান বাজানোয় প্রতিবেশীর মারধরে বরের চাচা নিহত
কুয়েট শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা: বিএনপি ও যুবদলের ৪ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার
এর আগে, গত ২০ অক্টোবর প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজের জন্য দিন ঠিক করা হয়েছিল। কিন্তু আগের রাতে হঠাৎ করে অনুষ্ঠান স্থগিত করে দেওয়া হয়। এরপর ২৪ নভেম্বর সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানের দিন ঠিক করা হয়। সেটিও পরে স্থগিত হয়। গত ১৫ ডিসেম্বর ৪০ ব্যাচের ২৫ জন প্রশিক্ষণার্থীর কাছে কৈফিয়ত তলবের চিঠি দেওয়া হয়। গত বৃহস্পতিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে প্রশিক্ষণরত ছয়জন এএসপিকে চাকরি থেকে অপসারণ করা হয়। এরপর রবিবার প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হলো।
উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, “বাংলাদেশ পুলিশ প্রজাতন্ত্রের স্বাধীন কর্মচারী। যারা সুনির্দিষ্ট আইন মেনে চলেন। প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী হিসেবে বাংলাদেশ পুলিশ রাষ্ট্রের সব নাগরিকের সার্বিক নিরাপত্তা ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় নিরলসভাবে কাজ করবে।”
উপদেষ্টা প্রশিক্ষণের বিভিন্ন বিষয়ে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনকারী প্রশিক্ষণার্থীদের মধ্যে পুরস্কার প্রদান করেন। এবার বেস্ট প্রবিশনার, বেস্ট অ্যাকাডেমিক ও বেস্ট শুটার হয়েছেন এএসপি রুহুল আমিন লাবু। ফিল্ড অ্যাক্টিভিটিস ও ঘোড়সওয়ারে শ্রেষ্ঠ নির্বাচিত হয়েছেন এএসপি এম সায়েলিন।
অনুষ্ঠানে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম ও পুলিশ একাডেমির অধ্যক্ষ অতিরিক্ত আইজিপি মাসুদুর রহমান ভূঞা উপস্থিত ছিলেন। উপস্থিত ছিলেন- অতিরিক্ত আইজিপি আবু নাছের মোহাম্মদ খারেদ, বিভাগীয় কমিশনার খোন্দকার আজিম আহমেদ, ১১ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল এস এম আসাদুল হকসহ আমন্ত্রিত অতিথিরা।
ঢাক/কেয়া/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উপদ ষ ট স বর ষ ট র অন ষ ঠ ন উপদ ষ ট
এছাড়াও পড়ুন:
ব্যক্তিগত ছবি ফাঁসের হুমকি, ভীত-সন্ত্রস্ত ইরানি এই অভিনেত্রী
বলিউড অভিনেত্রী এলনাজ নরৌজি ব্যক্তিগত ছবি নিয়ে সাইবার ক্রাইমের শিকার হয়েছেন। এ নিয়ে ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে উদ্বিগ্নতার মাঝে দিনযাপন করছেন এই ইরানি তারকা। টাইমস অব ইন্ডিয়া এ খবর প্রকাশ করেছে।
টাইমস অব ইন্ডিয়াকে এলনাজ নরৌজি বলেন, “গত ১৮ জানুয়ারি অপরিচিত একজনের একটা ই-মেইল পাই। সাধারণত সব ই-মেইলে খুলি না। কিন্তু এই ই-মেইলে আমার পাসওয়ার্ড লেখা ছিল, যা দেখে এটি ওপেন করি।”
পরের ঘটনা বর্ণনা করে এলনাজ বলেন, “ই-মেইলে বার্তাসহ আমি আমার ব্যক্তিগত একটি ছবি পাই। তাতে লেখা— ‘আমার কাছে আপনার ছবি আছে। অনলাইনে এগুলো ছড়িয়ে পড়ুক, এটা যদি না চান তবে যতটা দ্রুত সম্ভব উত্তর দিন। আর যদি জবাব না দেন, পরবর্তী ই-মেইলে আপনার ছড়িয়ে পড়া ছবির লিংক যুক্ত থাকবে।”
এ হুমকি পাওয়ার পর দ্রুত সাইবার ক্রাইম সেলে যোগাযোগ করেন এলনাজ। সংশ্লিষ্টরা তদন্ত করে জানতে পারেন, সুইজারল্যান্ডের একটি সার্ভার থেকে ই-মেইল পাঠানো হয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে তদন্তকারী দল ই-মেইল পাঠানো ব্যক্তির বিষয়ে আর কোনো তথ্য জানতে পারেননি। এরপর থেকে ভয়ে দিন কাটছে এলনাজের।
তদন্তকারী কর্মকর্তারা এলনাজকেও জিজ্ঞাসাবাদ করেন। জানতে চান, অপরিচিত কোনো লিঙ্কে ক্লিক করেছিলেন কিনা? জবাবে এই অভিনেত্রী জানান, অনলাইনে অপরিচিত একটি ফরম পূরণ করেছিলন। এরপর সাইবার ক্রাইম টিম অভিনেত্রীর বাসা পরিদর্শন করেন এবং তার ডেটা ব্যাকআপ তৈরি করেন এবং তার সমস্ত পাসওয়ার্ড আপডেট করেন, যা এখন প্রতি মাসে পরিবর্তন করেন তিনি।
ভীত হয়ে পড়েছেন এলনাজ। তা জানিয়ে এই অভিনেত্রী বলেন, “আমি ভীষণ ভীত। কারণ ওই অপরাধী যদি আমার ব্যক্তিগত ছবি অনলাইনে পোস্ট করে। আমি উদ্বিগ্ন হয়ে ঘুমাতে যাই, আবার একইভাবে ঘুম থেকে উঠি। নিজেকে স্থির করার জন্য কয়েকবার থেরাপিস্টের কাছেও গিয়েছি। আমার মনে হচ্ছে, আমার গোপনীয়তা লঙ্ঘিত হয়েছে। মনে হচ্ছে, কেউ আমাকে সর্বদা দেখছে। আমি ক্রমাগত ভয়ের মধ্যে বসবাস করছি।”
১৯৯৬ সালের ৯ জুলাই ইরানের তেহরানে জন্মগ্রহণ করেন এলনাজ। তার জন্মের কিছুদিন পরই জার্মানিতে পাড়ি দেন অভিনেত্রীর বাবা-মা। এলনাজ জার্মানির নাগরিক। ১৪ বছর বয়সে অভিনয় ক্যারিয়ার শুরু করেন তিনি। স্নাতক ডিগ্রি লাভের পর ভারতে পাড়ি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন এলনাজ। ২০১৭ সালে উর্দু ভাষার ‘মা জোনা’ সিনেমার মাধ্যমে পাকিস্তানি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে পা রাখেন। ‘সেকরেড গেমস’ ওয়েব সিরিজের মাধ্যমে ভারতীয় ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে যাত্রা শুরু করেন এলনাজ।