‘পরীর বাচ্চাদের তথাকথিত বাপের দরকার নাই’
Published: 23rd, February 2025 GMT
ঢাকাই সিনেমার অভিনয়শিল্পী পরীমণি ও শরিফুল রাজ। ভালোবেসে ঘর বেঁধেছিলেন তারা। এ দম্পতির পুণ্য (পদ্ম) নামে একটি পুত্রসন্তান রয়েছে। যদিও ভেঙে গেছে এই সংসার। একাই পুত্রকে মানুষ করছেন এই অভিনেত্রী।
পরীমণির ছেলে অসুস্থ। ধুম জ্বর। স্বাভাবিক কারণে সন্তানকে নিয়ে উদ্বিগ্ন তিনি। এসব তথ্য জানিয়ে নিজের ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন। এতে কখনো ইঙ্গিতপূর্ণ, কখনো রাজকে নিয়ে সরাসরি মন্তব্য করেছেন।
পরীমণি তার লেখার শুরুতে তিনি বলেন, “রাতজাগা আর নির্ঘুম রাত, মোটেও এক না সোনা! মা হয়ে দেখো শুধু। বাচ্চার গায়ে একটা মশার কামড়ও নিতে পারবা না আর সেখানে বাচ্চার ১০৪ ডিগ্রি জ্বর তো মায়ের দম বন্ধ হয়ে থাকার মতন। তার ওপর একা মা হয়ে বাচ্চার এই ফেস নেওয়া যায় না, জাস্ট ট্রাস্ট মি!”
আরো পড়ুন:
‘সাদী ভাইকে ছ্যাঁকা না দিলেও হতো, পরী’
ভ্যালেন্টাইনের সঙ্গে পরিচয় করালেন পরীমণি
ইঙ্গিতপূর্ণভাবে পরীমণি বলেন, “রাত জেগে নেটফ্লিক্স, বন্ধুরা, পার্টি, আড্ডা, লং ড্রাইভ অথবা রেনডম ফেসবুক স্ক্রলে লেপ্টে থাকা সবই উপভোগ্য। শুধু বিস্বাদ লাগে এই বাধ্য হয়ে থাকা দায়িত্বের বেড়াজাল তাই না? কাদের লাগে জানেন? যারা সুযোগ বুঝে বাচ্চার সঙ্গে কয়েক সেকেন্ড ভিডিও রেকর্ডে মিথ্যা ইমোশন শেয়ার করে সোশ্যালে। শুধু মায়েদেরই এসব বিস্বাদ লাগে না।”
‘জানোয়ার’ সম্বোধন করে পরীমণি বলেন, “একবার ভাবো তো, দিনের শুরু থেকে শেষ অব্দি কি কি করে একজন মা! তুমি ভাবতেও পারবা না জানোয়ার! ভাবা লাগেওনি তো বাবাদের কখনো! যারা বাবা হয় তারা সব জানে। জেনেই সব আগলে রাখে।”
পরীমণির সন্তানের জন্য তথাকথিত বাবার প্রয়োজন নেই বলে মন্তব্য করেন এই অভিনেতা। তার ভাষায়, “পরীর বাচ্চাদের এমন সো কল্ড বাপের মোটেও দরকার নাই, অন্তত এতদিনে সেটা প্রমাণিত তোমার কাছে সোনাটা। ওদের কাছে ওদের মা-বাপ আমি একাই সব। কারণ ওরা এটাই বুঝে বুঝে বড় হচ্ছে। কিন্তু আমাকে বোঝ দেয়ার মতন তোমার কিচ্ছু নেই সোনা জীবনে আর…।”
বাবা হিসেবে হাসপাতাল থেকে সন্তানের শারীরিক অবস্থা রাজের মুঠোফোনে আপডেট পাঠানো হয়ে থাকে। এ তথ্য স্মরণ করে পরীমণি বলেন, “আমি সব মাফ করলেও আজীবন আমার এই ঘেন্নায় তোমাকে বাঁচতে হবে সোনা। মরে গেলে তো মরেই যেতা। হসপিটালের আপডেট যায় তো সোনা তোমার ফোনে! ওসব দেখে অন্ধ হয়ে যাও না কেন তুমি? কিছু ঘেন্না খোলাই হয়।”
২০২১ সালের ১৭ অক্টোবর বিয়ে করেন চিত্রনায়িকা পরীমণি ও চিত্রনায়ক শরিফুল রাজ। তবে পারিবারিকভাবে ২০২২ সালের ২২ জানুয়ারি ঘরোয়াভাবে আবার তাদের বিয়ে হয়। ২০২২ সালের ১০ আগস্ট তাদের ছেলে শাহীম মুহাম্মদ রাজ্যের জন্ম হয়। পরে পরীমণি একটি কন্যাসন্তান দত্তক নিয়েছেন।
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
জেলেনস্কিকে ‘একনায়ক’ বলে কটাক্ষ ট্রাম্পের
ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে একনায়ক বলে কটাক্ষ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বুধবার একই বক্তব্যে জেলেনস্কিকে প্রচ্ছন্ন হুমকি দিয়ে ট্রাম্প বলেন, শান্তি নিশ্চিতে দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে পুরো দেশই হারানোর ঝুঁকিতে রয়েছেন তিনি। দুই নেতার মধ্যে ক্রমেই স্পষ্ট হয়ে উঠতে থাকা বিরোধে শঙ্কায় পড়েছেন ইউরোপীয় নেতারা। এ পরিস্থিতিতেই ট্রাম্পের ইউক্রেন-বিষয়ক দূত কিথ কেলোগের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন জেলেনস্কি। সাম্প্রতিক সব ঘটনার প্রেক্ষাপটে এই বৈঠকটি বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, তিনি ইতোমধ্যে কেলোগের সঙ্গে বৈঠক করেছেন এবং ‘ন্যায়সংগত ও দীর্ঘস্থায়ী শান্তি’ নিয়ে আলোচনা করেছেন। এসব তথ্য জানিয়েছে রয়টার্স।
এর আগে ইংরেজিতে জেলেনস্কির নামের ভুলভাল বানানে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ট্রাম্প লিখেছেন, জেলেনস্কি হচ্ছেন নির্বাচনবিহীন একনায়ক। যুদ্ধের অবসান ঘটাতে তাঁর দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। নইলে ইউক্রেন আর তাঁর কবজায় থাকবে না। ট্রাম্পের এই বক্তব্যের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে কিয়েভ। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্দ্রিই সিবিহা এক্সে বলেছেন, নিজ দেশ বিকিয়ে দেওয়ার জন্য অন্য কেউ জোর খাটাতে পারে না। আমাদের আত্মরক্ষার্থে লড়াই করার অধিকার রয়েছে।
রুশ আগ্রাসন শুরুর পর ২০২২ সালে ইউক্রেনে সামরিক আইন জারি করেন জেলেনস্কি। দেশে প্রেসিডেনশিয়াল ও পার্লামেন্টারি নির্বাচন আয়োজন করার পরিস্থিতি না থাকায় ২০২৪ সালে মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও এখনও ক্ষমতা ধরে রেখেছেন তিনি।
অন্য এক বক্তব্যে ট্রাম্প বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধের শান্তি আলোচনায় ‘তাস রাশিয়ার হাতেই’, কারণ তারা ইতোমধ্যেই ইউক্রেনের বিশাল ভূখণ্ড দখল করেছে। এ প্রসঙ্গে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ জানান, মস্কো যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনায় বসতে প্রস্তুত। এ নিয়ে ইউক্রেন ইস্যুতে আক্রমণাত্মক মন্তব্যের ধারাবাহিকতা ধরে রাখলেন ট্রাম্প। এ বক্তব্যের আগে ২০২২ সালে শুরু হওয়া রুশ আগ্রাসনের জন্য ইউক্রেনকে দায়ী করেছিলেন তিনি।
এদিকে জেলেনস্কিকে স্বৈরাচারী বলায় ট্রাম্পের কড়া সমালোচনা করেছেন ইউরোপের শীর্ষ নেতারা। জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎজ বলেছেন, প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির গণতান্ত্রিক বৈধতাকে অস্বীকার করাটা ভুল ও ভয়ংকর কাজ। ট্রাম্পের মন্তব্যের নিন্দা করেছেন সুইডেনের প্রধানমন্ত্রী উলফ ক্রিস্টেরসনও।
বিবিসি জানায়, ট্রাম্পের বক্তব্যের পরপরই যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমার সমর্থন জানাতে ফোন করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টকে। আগামী সপ্তাহে ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি। যেখানে ইউক্রেন যুদ্ধ শেষ করতে ইউরোপের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা হবে বলে জানিয়েছেন ব্রিটিশ মন্ত্রিসভার সদস্য লিসা নান্ডি।
সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ট্রাম্পের অব্যাহত হুমকির মধ্যেই জেলেনস্কির পাশে দাঁড়িয়েছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। তিনি জানিয়েছেন, কানাডা ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির পাশে আছে।
ট্রুডো আরও বলেন, ইউক্রেনের মানুষ শুধু তাদের স্বাধীনতা ও অখণ্ডতা রক্ষার পাশাপাশি বিশ্বকে নিরাপদ ও একটি সুন্দর আইনি ব্যবস্থা বহাল রাখতে লড়াই করছেন।