বিয়েবাড়িতে উচ্চ শব্দে গান, প্রতিবেশীর হামলায় বরের চাচা নিহত
Published: 23rd, February 2025 GMT
নাটোরের বড়াইগ্রামে বিয়েবাড়িতে উচ্চ শব্দে গান বাজানোকে কেন্দ্র করে প্রতিবেশীর হামলায় বরের চাচা নিহত হয়েছেন। গতকাল শনিবার রাত ১১টার দিকে উপজেলার মাঝগাঁও মানিকপুর পশ্চিমপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত কামাল ব্যাপারী (৪৫) ওই এলাকার মৃত ইসমাইল ব্যাপারীর ছেলে।
প্রতিবেশী রতন আলী বলেন, আজ রোববার নিহত কামাল ব্যাপারীর বড় ভাইয়ের ছেলে সুমন ব্যাপারীর বিয়ের আয়োজন ছিল। সেই উপলক্ষে গতকাল দুপুর থেকে বাড়িতে সাউন্ড বক্স দিয়ে উচ্চ শব্দে গান বাজানো হচ্ছিল। রাত সাড়ে ১০টার দিকে প্রতিবেশী সামসুল ব্যাপারী, শাজাহান ব্যাপারী ও শাহাদত ব্যাপারী উচ্চ শব্দে গান বাজাতে নিষেধ করেন। বিষয়টি নিয়ে তাঁদের মধ্যে কথা–কাটিকাটি হয়। একপর্যায়ে তাঁরা লাঠিসোঁটা নিয়ে কামাল ব্যাপারীর ওপর হামলা চালান। ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান।
এ অভিযোগ অস্বীকার করে সামসুল ব্যাপারী মুঠোফোনে বলেন, ‘তাঁরা উচ্চ শব্দে গান বাজাচ্ছিলেন। আমরা নিষেধ করলে তাঁরা আমাদের মারধর করেন। কামাল ব্যাপারী কীভাবে মারা গেছেন, আমাদের জানা নেই।’
বড়াইগ্রাম থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাহবুবুর রহমান বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থলে থেকে মরদেহ উদ্ধার করেছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। এ ঘটনায় আইনি প্রক্রিয়া চলমান।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
বাঘাইছড়িতে অক্সিজেন না পেয়ে শিশুর মৃত্যুর অভিযোগ পরিবারের
রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অক্সিজেন না পেয়ে সেমলি চাকমা নামে এক মাস বয়সী শিশুর মৃত্যুর অভিযোগ করেছে তার পরিবার। শুক্রবার সকালের এ ঘটনায় চিকিৎসকরা বলেছেন, হাসপাতালে আনার আগেই শিশুটির মৃত্যু হয়।
শিশুটির বাবা উপজেলার সার্বোয়াতলী ইউনিয়নের রিটন চাকমার দাবি, তাঁর মেয়ে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হলে শুক্রবার সকালে বাঘাইছড়ি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেন। হাসপাতালে অক্সিজেন দেওয়ার কোনো ব্যবস্থা ছিল না। যথাসময়ে চিকিৎসা না পেয়ে তাঁর মেয়ে মারা গেছে।
সন্ধ্যায় স্থানীয় সাংবাদিকরা সরেজমিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে অক্সিজেনের সিলিন্ডার দেখতে পান। তবে তাতে কোনো অক্সিজেন ছিল না। হাসপাতালের বিশ্বস্ত সূত্রের দাবি, ঈদুল ফিতরের আগ পর্যন্ত তারা অক্সিজেনের সরবরাহ পেয়েছেন। বর্তমানে সিলিন্ডারে কোনো অক্সিজেন নেই। যদিও রাঙামাটি সিভিল সার্জন ডা. নূয়েন খীসা বলেছেন, যতটুকু জেনেছি, হাসপাতালে আনার আগেই শিশুটির মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতালে অক্সিজেনের যথেষ্ট সরবরাহ রয়েছে। তার পরও বিষয়টি তদন্ত করা হবে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক দেবাশীষ বণিক বলেন, শুক্রবার সকাল সোয়া ১০টার দিকে শিশুটিকে হাসপাতালে আনা হয়। আমরা তার কোনো পালস পাইনি। এখানে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। তার পরও আমরা শিশুটিকে পাঁচ মিনিটের মতো সিপিআর দিয়েছি। অক্সিজেনের অভাবে মারা যাওয়ার তথ্য সঠিক নয়।
বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিরিন আক্তার জানান, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অক্সিজেনের কোনো সিলিন্ডার ছিল না বলে জেনেছি। জনবল সংকটও রয়েছে। ১৬ চিকিৎসকের জায়গায় মাত্র চারজন দিয়ে কার্যক্রম চলছে।