জ্বলন্ত মোমবাতি কী করে

এ বছর ফেব্রুয়ারিতে নেচার কমিউনিকেশনস জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণা বলছে, মোমবাতি থেকে নির্গত ধোঁয়া শ্বাসের সঙ্গে মানবদেহে প্রবেশ করলে মস্তিষ্কের কার্যকারিতা হ্রাস পায়, সম্ভবত মস্তিষ্কে প্রদাহ সৃষ্টি হয়। যৌথভাবে গবেষণাটি করেছে বার্মিংহাম এবং ম্যানচেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়। গবেষণাকালে একটি বদ্ধ ঘরে মোমবাতি জ্বালিয়ে এক ঘণ্টার জন্য কয়েকজন স্বেচ্ছাসেবককে রাখা হলে দেখা যায়, মনোযোগ এবং আবেগ প্রয়োজন হয়, এমন কাজ করার ক্ষেত্রে তাদের কার্যক্ষমতা হ্রাস পেয়েছে। ওই গবেষণায় বলা হয়, বদ্ধ ঘরে কখনোই মোমবাতি জ্বালানো উচিত নয়, এমনকি খুব অল্প সময়ের জন্যও নয়।

ন্যাশনাল লাইব্রেরি অব মেডিসিনের তথ্যও বলছে, ঘরের ভেতরের বাতাস দূষিত হওয়ার একটি বড় কারণ মোমবাতি। এ বিষয়ে বার্মিংহাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়ুমণ্ডলীয় বিজ্ঞানবিষয়ক অধ্যাপক ক্রিশ্চিয়ান ফ্র্যাং বলেন, ‘মোমবাতি আমাদের আরামদায়ক অনুভূতি দেয়। তবে এর প্রভাব আমরা অনেকেই বুঝতে পারি না।’

সেন্টেড ক্যান্ডেল জ্বলন্ত অবস্থায় ফর্মালডিহাইড নির্গত করে, যা ত্বক, কণ্ঠনালি, ফুসফুস ও চোখের ক্ষতি করে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ম মব ত

এছাড়াও পড়ুন:

ছুটির সকালে বিশ্বের ১২৪ শহরের মধ্যে বায়ুদূষণে ঢাকা তৃতীয়

বিশ্বের ১২৪টি শহরের মধ্যে আজ বুধবার সকাল ১০টা ২১ মিনিটে বায়ুদূষণে তৃতীয় স্থানে আছে রাজধানী ঢাকা। মহান স্বাধীনতা দিবসের ছুটির এই সকালে আইকিউএয়ারের মানসূচকে ঢাকার গড় বায়ুমান ১৯৮। এ মানকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বিবেচনা করা হয়।

বায়ুদূষণে ঢাকার অবস্থান তুলে ধরেছে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। প্রতিষ্ঠানটি বায়ুদূষণের পরিস্থিতি নিয়মিত তুলে ধরে। বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা এই লাইভ বা তাৎক্ষণিক সূচক একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটা নির্মল বা দূষিত, সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয় ও সতর্ক করে।

ঢাকার আইসিডিডিআরবি–সংলগ্ন এলাকায় আজ বায়ুদূষণ সবচেয়ে বেশি। আইকিউএয়ারের মানসূচকে সেখানকার গড় বায়ুমান ২৯৬। এরপর গুলশানের লেক পার্ক, স্কোর ২৮৪।

আজ আইকিউএয়ারের দেওয়া সতর্কবার্তায় ঢাকাবাসীর উদ্দেশে পরামর্শ, বাইরে বের হলে সুস্বাস্থ্যের জন্য অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে। খোলা স্থানে ব্যায়াম করা যাবে না। আরও একটি পরামর্শ, ঘরের জানালা বন্ধ রাখতে হবে।

আজ সকাল ১০টা ২১ মিনিট পর্যন্ত বায়ুদূষণের শীর্ষে ভারতের দিল্লি। সেখানকার বায়ুর মান ২৩৮।

গত ডিসেম্বর, জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে এক দিনও নির্মল বায়ু পায়নি রাজধানীবাসী। চলতি মাসেরও একই হাল।

রাজধানী ঢাকার বায়ুদূষণের প্রধান উৎসগুলোর মধ্যে আছে কলকারখানা ও যানবাহনের দূষিত ধোঁয়া, ইটভাটা, বর্জ্য পোড়ানো। দূষণ রোধে হাঁকডাক ও নানা ধরনের প্রকল্পও কম হয়নি সরকারি স্তরে, কিন্তু দূষণ কমছে না।

দূষণসংক্রান্ত বিষয় নিয়ে গবেষণাপ্রতিষ্ঠান ক্যাপসের এক জরিপে দেখা গেছে, ডিসেম্বরে যত বায়ুদূষণ ছিল, তা গত ৯ বছরে সর্বোচ্চ। আবার গত জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারিতেও দূষণের মান ছিল ৯ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।

ঢাকার বায়ুদূষণের প্রধান উপাদান হলো বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণা বা পিএম ২.৫-এর উপস্থিতি। আজ ঢাকার বাতাসে এর উপস্থিতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মানমাত্রার চেয়ে ২৫ দশমিক ৪ গুণ বেশি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ