নিশ্চিন্তে সেন্টেড ক্যান্ডেল বা সুগন্ধি মোমবাতি জ্বালানোর আগে জেনে নিন এর ভয়ানক স্বাস্থ্যঝুঁকির কথা
Published: 23rd, February 2025 GMT
জ্বলন্ত মোমবাতি কী করে
এ বছর ফেব্রুয়ারিতে নেচার কমিউনিকেশনস জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণা বলছে, মোমবাতি থেকে নির্গত ধোঁয়া শ্বাসের সঙ্গে মানবদেহে প্রবেশ করলে মস্তিষ্কের কার্যকারিতা হ্রাস পায়, সম্ভবত মস্তিষ্কে প্রদাহ সৃষ্টি হয়। যৌথভাবে গবেষণাটি করেছে বার্মিংহাম এবং ম্যানচেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়। গবেষণাকালে একটি বদ্ধ ঘরে মোমবাতি জ্বালিয়ে এক ঘণ্টার জন্য কয়েকজন স্বেচ্ছাসেবককে রাখা হলে দেখা যায়, মনোযোগ এবং আবেগ প্রয়োজন হয়, এমন কাজ করার ক্ষেত্রে তাদের কার্যক্ষমতা হ্রাস পেয়েছে। ওই গবেষণায় বলা হয়, বদ্ধ ঘরে কখনোই মোমবাতি জ্বালানো উচিত নয়, এমনকি খুব অল্প সময়ের জন্যও নয়।
ন্যাশনাল লাইব্রেরি অব মেডিসিনের তথ্যও বলছে, ঘরের ভেতরের বাতাস দূষিত হওয়ার একটি বড় কারণ মোমবাতি। এ বিষয়ে বার্মিংহাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়ুমণ্ডলীয় বিজ্ঞানবিষয়ক অধ্যাপক ক্রিশ্চিয়ান ফ্র্যাং বলেন, ‘মোমবাতি আমাদের আরামদায়ক অনুভূতি দেয়। তবে এর প্রভাব আমরা অনেকেই বুঝতে পারি না।’
সেন্টেড ক্যান্ডেল জ্বলন্ত অবস্থায় ফর্মালডিহাইড নির্গত করে, যা ত্বক, কণ্ঠনালি, ফুসফুস ও চোখের ক্ষতি করে.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ম মব ত
এছাড়াও পড়ুন:
অন্তর্বর্তী সরকারের বিদেশনীতি হচ্ছে প্রো-বাংলাদেশ: প্রেস সচিব
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের বিদেশনীতি হচ্ছে প্রো-বাংলাদেশ। বাংলাদেশের স্বার্থ যতটুকু অক্ষুণ্ন রাখা যায়, কূটনীতিতে আমরা সেটাই করছি।
মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বাংলাদেশ সফর সম্পর্কিত এক প্রশ্নের উত্তরে শফিকুল আলম বলেন, প্রধান উপদেষ্টা চাইছেন সার্কের যত দেশ আছে, প্রত্যেক দেশের সঙ্গে আমাদের সম্পর্কের যেন উন্নয়ন হয়। আমরা তো দক্ষিণ এশিয়ার পরিবারভুক্ত, সেই আলোকে পাকিস্তান আমাদের দক্ষিণ এশিয়ার পরিবারভুক্ত, সার্কের অন্তর্ভুক্ত। তাই আমরা পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নয়ন চাচ্ছি।
তিনি আরো বলেন, একইসঙ্গে আমরা ভারতের সঙ্গেও সম্পর্কের উন্নয়ন চাচ্ছি। ভুটান, নেপালের সঙ্গেও চাচ্ছি।
প্রেস সচিব জানান, এর অংশ হিসেবে গত সপ্তাহে একটা সিদ্ধান্ত এসেছে যে নেপালের জন্য আমরা একটা অর্থনৈতিক অঞ্চল করবো। এটার জন্য আমরা জমি দেখছি উত্তরবঙ্গে। সবার সঙ্গে উন্নয়নের পরিপ্রেক্ষিতে এটা হচ্ছে।
শফিকুল আলম বলেন, অধ্যাপক ইউনূস গত ৮ আগস্ট শপথ নেওয়ার পর বলেছিলেন তার বিদেশনীতির অন্যতম একটা দিক হচ্ছে সার্ককে পুনরুজ্জীবিত করা এবং সার্কভুক্ত দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্কের উন্নয়ন ঘটানো।
এ সময় পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে পারস্পরিক স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট সব বিষয়ে আলোচনা হবে বলে জানান প্রেস সচিব।
ঢাকা/হাসান/এনএইচ