নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত পোপ ফ্রান্সিসের শারীরিক অবস্থা এখনো ‘গুরুতর’ বলে জানিয়েছে ভ্যাটিকান।

ভ্যাটিকান থেকে দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়, পোপের অবস্থা গতকাল শনিবারের চেয়ে খারাপ। তাঁকে রক্ত দেওয়া হয়েছে।

তবে ৮৮ বছর বয়সী এই ধর্মগুরুর চেতনা আছে এবং তিনি নিজের আরামকেদারায় বসে সময় কাটাচ্ছেন। যদিও তাঁকে উচ্চমাত্রার অক্সিজেন দিয়ে রাখা হয়েছে। সতর্কতার সঙ্গে পোপের চিকিৎসা চলছে।

বিশ্বজুড়ে ক্যাথলিক খ্রিষ্টানদের প্রধান ধর্মগুরু পোপ ফ্রান্সিসের দুই ফুসফুসে নিউমোনিয়া ধরা পড়েছে। এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে তিনি শ্বাসনালির প্রদাহে ভুগছিলেন। গত শুক্রবার তাঁকে রোমের জেমেল্লি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

ভ্যাটিকান থেকে বলা হয়, রক্তশূন্যতার কারণে পোপের শরীরে প্লাটিলেট কমে যাওয়ায় বাইরে থেকে রক্ত দেওয়া জরুরি হয়ে পড়েছিল।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘পবিত্র পিতার অবস্থা এখনো গুরুতর। পোপ এখনো বিপদমুক্ত নন। তবে এখনো তাঁর চেতনা রয়েছে এবং তিনি আরামকেদারায় শুয়ে দিন পার করেছেন। যদিও গতকালের তুলনায় পোপের শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে।’
পোপ ফ্রান্সিস চান তাঁর স্বাস্থ্যের অবস্থা সম্পর্কে খোলাখুলি তথ্য দেওয়া হোক। এ কারণে ভ্যাটিকান থেকে প্রতিদিন তাঁর শারীরিক অবস্থার কথা জানানো হচ্ছে।

আরও পড়ুনপোপ ফ্রান্সিসের দুই ফুসফুসে নিউমোনিয়া, জানিয়েছে ভ্যাটিকান১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

১২ বছর ধরে রোমান ক্যাথলিক চার্চের নেতা হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে পোপ ফ্রান্সিস বেশ কয়েকবার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। ২১ বছর বয়সে তাঁর একটি ফুসফুসের কিছু অংশ কেটে ফেলতে হয়েছিল।

আরও পড়ুনজটিল শারীরিক অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন পোপ ফ্রান্সিস১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র শ র র ক অবস থ

এছাড়াও পড়ুন:

‘ঢাকার জলাবদ্ধতা নিরসন, ১৯ খাল সংস্কারে নেওয়া হ‌বে মহাপরিকল্পনা’

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, “ঢাকার জলাবদ্ধতা নিরসনে ১৯টি খাল সংস্কারের মহাপরিকল্পনা করা হবে। ধানমন্ডি ও মালিবাগসহ মহানগরীর বিভিন্ন এলাকার জলাবদ্ধতা দূর করতেই এই পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।”

রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নগর ভবনে অনুষ্ঠিত আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

উপদেষ্টা বলেন, “জলাবদ্ধতা দূর করতে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার পাশাপাশি নিয়মিত খনন ও পানি প্রবাহ স্বাভাবিক রাখার ব্যবস্থা নিতে হবে। এজন্য সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর মধ্যে কার্যকর সমন্বয় ও কঠোর মনিটরিং প্রয়োজন। সরকার খাল ও জলাশয় দখলমুক্ত রাখতে এবং সঠিক ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”

আরো পড়ুন:

বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে ভূমিকা রাখায় ‘সোয়ান’ পুরস্কার পেলেন ১৬ জন

বাঁচার জন্য প্রয়োজন নির্মল বায়ু, পানি ও মাটি: পরিবেশ উপদেষ্টা

উপদেষ্টা বলেন, “মাসভিত্তিক কর্মপরিকল্পনার মাধ্যমে কাজ এগিয়ে নেওয়া হবে। দূষণ রোধে বহুতল ভবনের মালিকদের নিজ নিজ পয়োবর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে হবে। খাল পুনরুদ্ধার করে পাড়ে বেশি করে গাছ লাগানো হবে।”

সভায় নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসন, খাল ও জলাশয় পুনরুদ্ধার এবং অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ নিয়ে আলোচনা হয়।

সভায় নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে চলমান ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয় এবং দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মো. নিজাম উদ্দিনের সভাপতিত্বে সভায় পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমুল আহসান, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মো. শাহজাহান মিয়াসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা/নঈমুদ্দীন/সাইফ

সম্পর্কিত নিবন্ধ