সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তি ভন্ডুল করতে নেতানিয়াহু ‘নোংরা খেলা’ খেলছেন বলে মন্তব্য করেছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস। গোষ্ঠীটির অভিযোগ, ইসরাইল সরকার চলমান যুদ্ধবিরতি চুক্তির দ্বিতীয় ধাপ নিয়ে আলোচনায় যুক্ত হচ্ছে না, যা আগামী ১ মার্চ শেষ হওয়ার কথা।

শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) আল জাজিরাকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে হামাসের রাজনৈতিক শাখার জ্যেষ্ঠ সদস্য বাসেম নাঈম এ অভিযোগ করেন।

বাসেম নাঈম বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি, আবারও এই চুক্তিকে ভন্ডুল ও গুরুত্বহীন করার নোংরা খেলা চলছে। আর এই খেলার মাধ্যমে আবার নতুন করে যুদ্ধে ফিরে যাওয়ার বার্তা দেয়া হচ্ছে।’

তিনি বলেন, চলমান যুদ্ধবিরতি চুক্তি নিয়ে হামাস প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। চুক্তির বাধ্যবাধকতাগুলো মেনে চলা হয়েছে।

হামাসের এই নেতার অভিযোগ, ইসরাইল চুক্তির শর্ত ভঙ্গ করছে। চুক্তির প্রথম পর্যায় কার্যকর থাকার মেয়াদকালে শতাধিক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। প্রতিশ্রুতি মেনে পর্যাপ্ত মানবিক সহায়তা গাজায় ঢুকতে দেয়া হয়নি। নেতজারিম করিডর (গাজার উত্তর ও দক্ষিণের মধ্যে সংযোগকারী সংকীর্ণ পথ) থেকে সেনা প্রত্যাহার স্থগিত রাখা হয়েছিল।

এর আগে এই মাসের শুরুতে দ্য নিউইয়র্ক টাইমসকে দেয়া সাক্ষাৎকারে ইসরাইলি কর্মকর্তারা স্বীকার করেছেন, হামাসের অভিযোগ সত্য। তবে সরকারিভাবে ইসরাইল এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

যুদ্ধবিরতির এই চুক্তির দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায় ছয় সপ্তাহের প্রথম পর্যায়ের মধ্যে চূড়ান্ত করার কথা ছিল। প্রথম পর্যায়ে ইসরাইলি বন্দিদের মুক্তির বিনিময়ে ফিলিস্তিনি বন্দিদের ছেড়ে দেয়া, গাজা থেকে আংশিকভাবে ইসরাইলি সেনা প্রত্যাহার এবং যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজায় মানবিক সহায়তা প্রবেশ নিশ্চিত করা হয়।

১৯ জানুয়ারি শুরু হওয়া এই চুক্তি অনুযায়ী দ্বিতীয় পর্যায় চূড়ান্ত হলে সব ইসরাইলি বন্দির মুক্তি এবং স্থায়ী যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার কথা।

এদিকে যুদ্ধবিরতির শর্ত অনুযায়ী শনিবার ইসরাইলের ছয়জন জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে হামাস। গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তির অংশ হিসেবে ছয় ইসরাইলি জিম্মির বিনিময়ে ৬২০ জন বন্দিকে মুক্তি দেয়ার কথা ছিল।

ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর অভিযোগ, সর্বশেষ মুক্তি পাওয়া জিম্মিদের ‘অপমানজনক অনুষ্ঠানের’ মাধ্যমে মুক্তি দেয়ায় আপাতত ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি দেয়া হবে না।

বিএইচ

.

উৎস: SunBD 24

কীওয়ার্ড: পর য য়

এছাড়াও পড়ুন:

শহীদ মিনারে কুয়েট শিক্ষার্থীরা

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে ঢাকায় এসেছেন খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) ৮০ জন শিক্ষার্থী। 

রোববার দুপুর ২টার দিকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে তারা অবস্থান করেন। এ সময় শহীদ মিনারে ব্যাপক পুলিশ প্রটোকল এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অবস্থান লক্ষ্য করা যায়। ঢাকায় অবস্থানরত কুয়েটের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীরাও তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন।

বিস্তারিত আসছে....

সম্পর্কিত নিবন্ধ