টেলিভিশন নাটক নির্মাতাদের সংগঠন ডিরেক্টরস গিল্ডের ২০২৫-২৭ মেয়াদের নির্বাচনে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন শহীদুজ্জামান সেলিম ও সাধারণ সম্পাদক ফরিদুল হাসান।

শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৮টার পরে ভোটের ফলাফল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। এবারের নির্বাচনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন অভিনেতা নরেশ ভূঁইয়া। নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন চলচ্চিত্র নির্মাতা আবদুস সামাদ ও চিত্রনাট্যকার মাসুম রেজা।

সভাপতি পদে শহীদুজ্জামান সেলিম ২৭১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী পদে জয়ী হয়েছেন ফরিদুল হাসান। তার প্রাপ্ত ভোট ২২২টি। সহসভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন রাশেদা আক্তার লাজুক (২৮৯), ফিরোজ খান (২৭৪) ও সকাল আহমেদ (২১৩)। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে জয়ী হয়েছেন তুহিন হোসেন (২৫৬) ও দীন মোহাম্মদ (২৪০)।

আরো পড়ুন:

ভিউ কিংবা টাকার জন্য অভিনয় করি না: হিমি

ইউটিউব ট্রেন্ডিংয়ের শীর্ষে ৩ নাটক

সাংগঠনিক সম্পাদক পদে ২২৬ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন মনিরুজ্জামান লিপন। অর্থ সম্পাদক হিসেবে জয়ী আবু রায়হান পেয়েছেন ২৫৩ ভোট। প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে জয়ী হয়েছেন নাজমুল। তার প্রাপ্ত ভোট ২৫৩। প্রশিক্ষণ ও আর্কাইভ–বিষয়ক সম্পাদক পদে জয়ী গাজী আপেল মাহমুদ পেয়েছেন ২৬৮ ভোট। তথ্য ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক পদে ২২৩ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন সঞ্জয় বড়ুয়া। আইন ও কল্যাণবিষয়ক পদে জয়ী হয়েছেন প্রীতি দত্ত। তার প্রাপ্ত ভোট ২২১। দপ্তর সম্পাদক পদে ২৯৫ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন সাঈদ রহমান।

ডিরেক্টরস গিল্ডের নির্বাচনে কার্যনির্বাহী সদস্য পদে সাতজনের মধ্যে সর্বাধিক ভোট পেয়েছেন সাগর জাহান। তার প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা ২৮৪। সাগর জাহানের পরের অবস্থানে রয়েছেন চয়নিকা চৌধুরী। তার ভোটের সংখ্যা ২৬৯। বাকি পাঁচ বিজয়ীরা হলেন— মাহমুদ নিয়াজ চন্দ্রদ্বীপ (২৬৪ ভোট), গীতালি হাসান (২৩৯ ভোট), লিটু করিম (২২৮ ভোট), শিহাব শাহীন (২২৮ ভোট) ও হাসান রেজাউল (২২৩ ভোট)।

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ট ভ ন টক হয় ছ ন

এছাড়াও পড়ুন:

করাচি-চট্টগ্রাম সরাসরি নৌযান চলাচলকে স্বাগত জানিয়েছে দুই পক্ষ: পাকিস্তান

বাংলাদেশের সঙ্গে পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠকে দুই দেশের মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক পুনরুজ্জীবিত করার অভিন্ন অঙ্গীকার প্রতিফলিত হয়েছে বলে জানিয়েছে পাকিস্তান।

পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, সংযোগকে অগ্রাধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে ওই বৈঠকে দুই পক্ষ করাচি ও চট্টগ্রামের মধ্যে সরাসরি নৌযান চলাচল শুরুর বিষয়টিকে স্বাগত জানায়। দুই পক্ষ সরাসরি আবার আকাশপথে যোগাযোগ চালুর ওপর গুরুত্বারোপ করে। ভ্রমণ ও ভিসা সহজীকরণে অগ্রগতির প্রতিও উভয় পক্ষ সন্তোষ প্রকাশ করেছে।

বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের সঙ্গে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকের বিষয়ে প্রকাশিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এসব কথা বলেছে। আজ শুক্রবার মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে এ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে পাকিস্তান বলেছে, ‘১৫ বছর পর আবারও অনুষ্ঠিত হলো পাকিস্তান ও বাংলাদেশের পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের ষষ্ঠ দ্বিপক্ষীয় বৈঠক। বৈঠকটি ঢাকায় সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে। পাকিস্তানের পররাষ্ট্রসচিব আমনা বালুচ ও বাংলাদেশের পররাষ্ট্রসচিব মো. জসিম উদ্দিন বৈঠকে নিজ নিজ পক্ষের নেতৃত্ব দেন।’

বৈঠকে উভয় দেশ রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক, শিক্ষাগত ও কৌশলগত সহযোগিতাসহ নানা বিষয়ে বিস্তারিত মতবিনিময় করেছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়। পাশাপাশি দুই দেশের অভিন্ন ইতিহাস, সাংস্কৃতিক বন্ধন এবং জনগণের অভিন্ন আকাঙ্ক্ষার ওপর জোর দেওয়া হয়।

নিউইয়র্ক, কায়রো, সামোয়া ও জেদ্দায় সম্প্রতি দুই পক্ষের মধ্যে উচ্চপর্যায়ের যোগাযোগ নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করা হয়েছে। ওই সব যোগাযোগ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক পুনরুজ্জীবিত করার ক্ষেত্রে সহায়তা করেছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, উভয় দেশ দ্বিপক্ষীয় চুক্তিগুলো দ্রুত চূড়ান্তকরণ, নিয়মিত প্রাতিষ্ঠানিক সংলাপ এবং বাণিজ্য, কৃষি, শিক্ষা ও সংযোগ বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করেছে। পাকিস্তান তাদের কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার সুযোগ দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে। অন্যদিকে বাংলাদেশ মৎস্য ও সামুদ্রিক বিষয়ে কারিগরি প্রশিক্ষণের প্রস্তাব দিয়েছে। পাকিস্তানের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে বৃত্তির প্রস্তাবে বাংলাদেশ কৃতজ্ঞতা স্বীকার করেছে এবং শিক্ষা খাতে আরও গভীর সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেছে।

ক্রীড়া, গণমাধ্যম ও সংস্কৃতিতে বড় পরিসরে সহায়তায় বিভিন্ন সমঝোতা স্মারক নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, বৈঠকে উভয় দেশ সার্কের কার্যক্রম পুনরুজ্জীবিত করার পক্ষে মত দিয়েছে। এ সময় কাশ্মীর ইস্যুতে জাতিসংঘের প্রস্তাব অনুসারে শান্তিপূর্ণ সমাধানের ওপর জোর দিয়েছে পাকিস্তান। এ ছাড়া বৈঠকে গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন ও সেখানে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের নিন্দা জানানো হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ