মানবতাবিরোধী অপরাধ: জামায়াত নেতা আজহারের রিভিউ শুনানি মঙ্গলবার
Published: 23rd, February 2025 GMT
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডের রায় রিভিউ চেয়ে জামায়াত নেতা এ টি এম আজহারুল ইসলামের করা আবেদন শুনানির জন্য ২৫ ফেব্রুয়ারি (মঙ্গলবার) দিন ধার্য করেছেন আপিল বিভাগ।
আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আপিল বিভাগ আজ রোববার এ তারিখ ধার্য করেন।
এর আগে ২৩ জানুয়ারি আপিল বিভাগ রিভিউ শুনানির জন্য ২০ ফেব্রুয়ারি দিন রাখেন। ধার্য তারিখে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে আবেদনটি শুনানির জন্য কার্যতালিকায় ৯ নম্বর ক্রমিকে ওঠে। তবে ক্রম অনুসারে এর আগে থাকা মামলা শুনানি-নিষ্পত্তির মধ্য দিয়ে আদালতের কর্মঘণ্টা শেষ হওয়ায় সেদিন রিভিউ আবেদনের শুনানি হয়নি।
আজ সকালে রিভিউ আবেদন শুনানির বিষয়টি উত্থাপন করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। অ্যাটর্নি জেনারেল মো.
পরে আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির প্রথম আলোকে বলেন, ‘চিফ প্রসিকিউটর রিভিউ শুনানির জন্য বিষয়টি মেনশন করেন। এ বিষয়ে অ্যাটর্নি জেনারেলও বলেন। আপিল বিভাগ শুনানির জন্য ২৫ ফেব্রুয়ারি দিন নির্ধারণ করেছেন।’
এর আগে মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আজহারুলকে মৃত্যুদণ্ড দিয়ে রায় দেন। এ রায়ের বিরুদ্ধে ২০১৫ সালের ২৮ জানুয়ারি আপিল করেন আজহারুল। এই আপিলের ওপর শুনানি শেষে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আজহারুল ইসলামের মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে ২০১৯ সালের ৩১ অক্টোবর আপিল বিভাগ রায় দেন। ২০২০ সালের ১৫ মার্চ আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়।
পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের পর তা পুনর্বিবেচনা চেয়ে ২০২০ সালের ১৯ জুলাই আপিল বিভাগে আবেদন করেন তিনি। এই পুনর্বিবেচনার আবেদন শুনানির জন্য ২৫ ফেব্রুয়ারি দিন নির্ধারণ করা হলো। আজহারুল কারাগারে আছেন।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: শ ন ন র জন য ম নবত ব র ধ ল ইসল ম আজহ র ল অপর ধ
এছাড়াও পড়ুন:
সেবা পেতে চট্টগ্রামসহ বিভাগীয় শহরে হাইকোর্টের সার্কিট বেঞ্চ স্থাপন দাবি
বিচারপ্রার্থী মানুষের সহজে বিচার পাওয়ার অধিকার নিশ্চিত করা ও দেশের সার্বিক উন্নয়নের স্বার্থে চট্টগ্রামসহ বিভাগীয় শহরগুলোতে হাইকোর্ট বেঞ্চ স্থাপনের দাবিতে চট্টগ্রামে সংবাদ সম্মেলন করেছেন আইনজীবীসহ বিভিন্ন পেশার প্রতিনিধিরা। আজ শনিবার চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের এস রহমান হলে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। দীর্ঘদিন ধরে এ দাবিতে আন্দোলন করে আসছেন চট্টগ্রামবাসী।
চট্টগ্রাম হাইকোর্ট বেঞ্চ বাস্তবায়ন পরিষদের আয়োজনে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সদস্য অ্যাডভোকেট এএসএম বদরুল আনোয়ারের সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য দেন প্রধান সমন্বয়ক চট্টগ্রাম আইন কলেজর উপাধ্যক্ষ অ্যাডভোকেট বদরুল হুদা মামুন, চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এনামুল হক, সাবেক সহ-সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট কাশেম কামাল, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের অন্তবর্তী সদস্যসচিব সাংবাদিক জাহিদুল করিম কচি, আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি নাজিম উদ্দিন চৌধুরী, কাশেম চৌধুরী, মোহাম্মদ বদরুল রিয়াজ প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, চট্টগ্রামবাসীর দীর্ঘদিনের প্রাণের দাবী চট্টগ্রামে হাইকোর্টের সার্কিট বেঞ্চ স্থাপন করা। এ দাবির প্রতি আগ্রহ দেখিয়ে বাস্তবায়নের সূচনা করেছেন বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের প্রধান বিচারপতি শাহ আবু নাঈম মমিনুর রহমান। সম্প্রতি বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে ঢাকার বাইরে হাইকোর্টের সার্কিট বেঞ্চ স্থাপনের বিষয়টি ইতিবাচকভাবে আলোচনা করায় বিচারপতি শাহ আবু নাঈম মমিনুর রহমানকে ধন্যবাদ জানানো হয়।
সভায় বক্তারা বলেন, প্রায় ১৮ কোটি মানুষের বাংলাদেশে বিচারিক সেবা প্রদান করেন মাত্র ২০০০ বিচারক। বাংলাদেশের প্রথম সংবিধান তথা ৭২-এর সংবিধানে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় অনুচ্ছেদ- ১০০ সংযোজন পূর্বক জনগণের ন্যায়বিচার প্রাপ্তির বিধান রাখা হয়। কিন্তু স্বাধীনতার ৫৪ বছর পরেও তা বাস্তবায়ন হয়নি। চট্টগ্রামে দ্রুত সার্কিট ব্যঞ্চ স্থাপন করতে প্রধান উপদেষ্টাসহ সবার নিকট দাবি করা হয়।
প্রসঙ্গত, ১৯৮২ সালে সামরিক ফরমানের ৪-এ ধারা বলে চট্টগ্রামসহ রংপুর, যশোর, বরিশাল, কুমিল্লা ও সিলেটে হাইকোর্টের স্থায়ী বেঞ্চ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। কিন্তু দেখা যায়, সংবিধান পূনরুজ্জীবিত হলে সাংবিধানিক সংকট দেখা দিতে পারে। এ অজুহাতে সংবিধানে স্থায়ী বেঞ্চের বিধান বিলুপ্ত করা হয়। জেনারেল এরশাদ ১৯৮৬ সালে সামরিক ফরমানের ৪-এ ধারা সংশোধন করে স্থায়ী ৬টি বেঞ্চকে সার্কিট বেঞ্চে রূপান্তরিত করেন। এরপর ঢাকার আইনজীবীদের আন্দোলনের ফলে সার্কিট বেঞ্চ ফের বিলুপ্ত করা হয়।