চাটমোহর ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি বিদ্যুৎ, সা.সম্পাদক সিন্টু
Published: 23rd, February 2025 GMT
পাবনার চাটমোহর ব্যবসায়ী সমিতির ত্রি-বার্ষিক নির্বাচনে সভাপতি পদে মোখলেসুর রহমান বিদ্যুৎ ও সাধারণ সম্পাদক পদে শেখ মো. জিয়ারুল হক সিন্টু নির্বাচিত হয়েছেন।
শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) রাত ১০টার দিকে ভোট গণনা শেষে ফলাফল ঘোষণা করে ব্যবসায়ী সমিতির নির্বাচনের নির্বাচন কমিশন। এসময় চাটমোহর থানার ওসি মঞ্জুরুল আলম, নির্বাচন কমিশনের চেয়ারম্যান এম এ জিন্নাহ, সদস্য রকিবুর রহমান টুকুন, আব্দুর রাজ্জাক, সাইফুল ইসলাম ও রনি রায় উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে, একইদিন সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চাটমোহর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
নির্বাচনে সভাপতি পদে মোখলেসুর রহমান বিদ্যুৎ ‘আনারস’ প্রতীকে ৫৯৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সাইফুল ইসলাম ‘দোয়াত কলম’ প্রতীকে পেয়েছেন ৩৯৪ ভোট। সহ-সভাপতি পদে আলহাজ্ব মো.
সাধারণ সম্পাদক পদে শেখ মো. জিয়ারুল হক সিন্টু ‘দেয়াল ঘড়ি’ প্রতীকে ৬১১ ভোট পেয়ে জয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো. আব্দুল মুতালিব ‘মোরগ’ প্রতীকে পেয়েছেন ৩৫৬ ভোট।
নির্বাচনে সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে মো. এনামুল হক, সাংগঠনিক সম্পাদক পদে মামুনুর রশিদ, কোষাধ্যক্ষ পদে জাহিদুল ইসলাম সাগর, প্রচার সম্পাদক পদে নজরুল ইসলাম, বাণিজ্যিক সম্পাদক পদে নুরুল ইসলাম নির্বাচিত হন।
কার্যনির্বাহী সদস্য দুইটি পদে আব্দুল বাতেন ও বকুল হোসেন নির্বাচিত হয়েছেন। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন দুইজন। তারা হলেন- দপ্তর সম্পাদক পদে নূর মোহাম্মদ রান্টু ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক পদে রবিউল ইসলাম।
নির্বাচনে মোট ১২৫৯ জন ভোটারের মধ্যে ভোট প্রদান করেন ১০২২ জন। ভোট গ্রহণের হার ৮১ শতাংশ। মোট চারটি বুথে ভোট গ্রহণ করা হয়। ১২টি পদে ২১ জন প্রাথী নির্বাচনে অংশ নেন। সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে একজন প্রিজাইডিং অফিসার, চারজন সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার ও আটজন পোলিং অফিসার নিয়োগ করা হয়।
ব্যবসায়ী সমিতি নির্বাচনের চেয়ারম্যান এমএ জিন্নাহ বলেন, “সবার সহযোগিতা নির্বাচনটি সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করা সম্ভব হয়েছে। যে কোনো ধরনের কারচুপি এড়াতে ভোটকেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়। পুলিশ ও আনসার সদস্য নিরাপত্তায় নিয়োজিত ছিল।”
ঢাকা/শাহীন/মাসুদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ল ইসল ম ব যবস য
এছাড়াও পড়ুন:
ঈদের টানা ছুটিতে পর্যটক বরণে প্রস্তুত মৌলভীবাজার
ঈদের লম্বা ছুটি আর শুকনা মৌসুম থাকায় মৌলভীবাজারে এবার লাখো পর্যটকের ঢল নামবে বলে আশা করছেন পর্যটন সংশ্লিষ্টরা।
জেলার শ্রীমঙ্গল ও কমলগঞ্জ উপজেলায় রয়েছে দৃষ্টি নন্দন নানা পর্যটন স্পট। রয়েছে পর্যটকদের থাকা খাওয়ার জন্য ভালোমানের হোটেল মোটেল ও রির্সোট। হোটেল-রিসোর্ট মালিকরা ইতোমধ্যে প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন। চলছে সাজসজ্জার কাজ।
এদিকে পর্যটক নিরাপদে চলাচলে প্রশাসন থেকে নেওয়া হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা। সবুজের সমারোহ, চা বাগান, হাওর টিলার এই জনপদে চমৎকার প্রাকৃতিক পর্যটন স্পট-গুলো নয়নাভিরাম সৌন্দর্যের প্রতীক।
হামহাম জলপ্রপাত, মাধবকুন্ড জলপ্রপাত, প্রাণ প্রকৃতি আর জীববৈচিত্র্যের আধার লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানসহ অর্ধশত পর্যটনকেন্দ্রে বছর জুড়ে পর্যটকদের পদচারনায় মুখরিত থাকে। তবে প্রতিবছরই ঈদের ছুটিতে আনন্দ উপভোগ করতে ছুটে আসেন সবুজের রাজ্যে অগনিত ভ্রমণ পিপাসু।
এবারও তার ব্যতিক্রম নয়। আগেভাগেই বেশিরভাগ হোটেল রিসোর্ট বুকিং সম্পন্ন হয়ে গেছে। পর্যটকদের আরামদায়ক অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করতে হোটেল রিসোর্টগুলোতে নতুন সাজসজ্জার পাশাপাশি থাকছে বিশেষ অফার ও সেবার ব্যবস্থা।
একাধিক ব্যবসায়ী জানান, এবারের ঈদে ভালো ব্যবসা হবে তাদের। সরেজমিনে গিয়ে কথা হয় হোটেল রিসোর্ট মালিক সমিতির সভাপতি সেলিম আহমেদের সাথে।
তিনি বলেন, “ঈদের আনন্দ ভাগাভাগিতে মানুষজনের ঢল নামার সম্ভাবনা রয়েছে এখানে। আমরা তাদের বরণ করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি।”
শ্রীমঙ্গল পর্যটন সেবা সংঘের সদস্য সচিব কাজী সামছুল হক বলেন, “এবারের ঈদে লম্বা ছুটি রয়েছে। মনে হচ্ছে সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীদের ঘোরাফেরার বড় সুযোগ। আর এই সুযোগ তারা হাতছাড়া করবেন না। আশা করি পর্যটকের ঢল নামবে মৌলভীবাজারে। ইতোমধ্যে আমাদের কটেজ-গুলো বুকিং প্রায় শেষ। বাকীগুলো কয়েকদিনের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে।”
শ্রীমঙ্গল রাধানগর পর্যটন কল্যাণ পরিষদের সদস্য সচিব মো. তারেকুর রহমান পাপ্পু বলেন, “ঈদকে সামনে রেখে আমরা পর্যটকদের সাচ্ছ্যন্দবোধে ঘুরাফেরা করার জন্য সবধরনের সেবা প্রদান ও সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেব। আমাদের এলাকার কোন বদনাম যেন না হয়, সে ব্যবস্থা করব।”
চান্দের গাড়ির চালক তনিজিস মিয়া বলেন, “রমজানে আমাদের মান্দা যাচ্ছে। ঈদে আশা করি রেকর্ড পরিমাণ পর্যটক আসবেন। এতে আমাদের আয় রোজগার ভালো হবে।”
শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইসলাম উদ্দিন বলেন, “পর্যটকদের নির্বিঘ্ন ভ্রমণের জন্য প্রসাশন তৎপর রয়েছে। এবার ঈদ মৌসুমে পর্যটন খাত যেমন চাঙ্গা হবে, তেমনি স্থানীয় অর্থনীতিতেও আসবে গতি।”
ট্যুরিস্ট পুলিশ ইনচার্য কামরুল হাসান চৌধুরী বলেন, “পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে জেলা প্রসাশক ও জেলা পুলিশ সুপারের সাথে সমন্বয় করে আমরা কার্যক্রম পরিচালনা করব।”
জেলা পুলিশ সুপার এম কে এইচ জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, “পর্যটকদের নিরাপত্তার টহল জোরদার করা হবে। অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রাখা হবে যেন আগত পর্যটকদের কোন সমস্যা না হয়। এখানে পাঁচতারা মানের কয়েকটি হোটেল মোটেল ও রিসোর্ট আছে। আমাদের সার্বক্ষণিক নজরদারী থাকবে।”
ঢাকা/আজিজ/এস