ধর্মীয় উসকানিতে ঐক্য বিনষ্টের অপচেষ্টা চলছে
Published: 23rd, February 2025 GMT
সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন
একটি বিশেষ চক্র ইচ্ছাকৃত ধর্মীয় উসকানি দিয়ে ঐক্য ও শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানকে বিনষ্ট করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে বলে দাবি করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) ভোর রাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কমিউনিটি অ্যাফেয়ার্স সেলের সম্পাদক রফিকুল ইসলাম এক বিবৃতিতে এ দাবি করেন।
এতে বলা হয়, বাংলাদেশ দীর্ঘকাল ধরে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে রয়েছে। আমাদের সংস্কৃতি, ঐতিহ্য ও মূল্যবোধ সব ধর্মের মানুষের পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ ও সহাবস্থানের ভিত্তিতে গড়ে উঠেছে। এই সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশ আমাদের ঐতিহ্যের অংশ, যা জাতিগত ঐক্য ও শান্তির মূল ভিত্তি। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে একটি বিশেষ চক্র ইচ্ছাকৃতভাবে ধর্মীয় উসকানি দিয়ে আমাদের ঐক্য ও শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানকে বিনষ্ট করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
বিশেষ করে, ইসলাম ধর্ম, মহান আল্লাহ এবং রাসূল (সা.
বিবৃতিতে বলা হয়, আমরা বিশ্বাস করি, যেকোনো ধর্মের প্রতি অবমাননাকর বক্তব্য বা বিদ্বেষমূলক প্রচারণা শুধু ধর্মপ্রাণ মানুষের অনুভূতিতেই আঘাত হানে না, বরং এটি সামগ্রিক সামাজিক শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্যও হুমকিস্বরূপ। আমরা সমাজের সর্বস্তরের মানুষ— শিক্ষার্থী, বুদ্ধিজীবী, ধর্মীয় নেতৃবৃন্দ এবং সচেতন নাগরিকদের প্রতি আহ্বান জানাই, তারা যেন বিভেদ সৃষ্টিকারীদের অপচেষ্টা প্রতিহত করেন এবং পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও সম্প্রীতি বজায় রাখতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। মতপ্রকাশের স্বাধীনতা কখনোই কারও ধর্মীয় বিশ্বাসে আঘাত করার অধিকার দেয় না। প্রকৃত মুক্তচিন্তা ও গণতান্ত্রিক চর্চা তখনই অর্থবহ হয়, যখন তা সামাজিক শান্তি ও স্থিতিশীলতাকে সুসংহত করে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানে বাংলাদেশের সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের পাশাপাশি বিভিন্ন ধর্মের মানুষও শহীদ হয়েছেন। সেই আত্মত্যাগের চেতনায় উজ্জীবিত নতুন বাংলাদেশে সব সম্প্রদায়ের মানুষের মধ্যে সম্প্রীতি বজায় রাখা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। আমরা চাই, বাংলাদেশে ধর্মীয় সম্প্রীতি অব্যাহত থাকুক, পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ আরও দৃঢ় হোক এবং যেকোনো বিভেদ সৃষ্টির অপচেষ্টা ব্যর্থ হোক। আসুন, আমরা সকলে মিলে একটি শান্তিপূর্ণ, সৌহার্দ্যপূর্ণ ও সম্প্রীতিময় সমাজ গড়ে তুলি, যেখানে প্রত্যেক ধর্ম ও বিশ্বাসের প্রতি সম্মান থাকবে, আর আমাদের জাতীয় ঐক্য আরও সুদৃঢ় হবে।
বিএইচ
উৎস: SunBD 24
এছাড়াও পড়ুন:
নির্বাচন নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার ২ ডেডলাইন দিয়েছে: সিইসি
জাতীয় নির্বাচন নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার দুটি ডেটলাইন দিয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। তিনি বলেন, ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন হবে অথবা বড় রিফর্ম হলে জুনের মধ্যে নির্বাচন হবে। এবার মৃত ভোটার ও নতুন ভোটারের সংখ্যা বাড়বে। আগামী নির্বাচনের জন্য চূড়ান্ত ভোটার তালিকা জুন নাগাদ পাওয়া যাবে।’
রোববার দুপুরে কক্সবাজার জেলায় ছবিসহ ভোটার তালিকা হালনাগাদ ও ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। এতে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহ্উদ্দিন।
নির্বাচন কমিশন সবাইকে নিয়ে ৯১, ৯৬ ও ২০০১-এর মতো নির্বাচন করতে চায় বলে মন্তব্য করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ.এম.এম নাসির উদ্দিন বলেন, ‘আগে জাতীয় সংসদ নির্বাচন নাকি স্থানীয় সরকার নির্বাচন, রাজনৈতিক দলগুলোর এ বিতর্কে আমরা যেতে চাই না। আপাতত নির্বাচন কমিশনের প্রথম লক্ষ্য একটি নির্ভুল ভোটার তালিকা হালনাগাদ। এখনকার তালিকায় ১৬ লাখ মৃত ভোটার আছে। তাদের বাদ দিতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘একটি সুন্দর নির্বাচন উপহার দিতে চায় নির্বাচন কমিশন। এ ক্ষেত্রে সবার সম্পৃক্ততা ও সহযোগিতা প্রয়োজন।’
বর্তমান প্রশাসনে যারা আছেন তারা ৯১, ৯৬ ও ২০০১-এর নির্বাচন করেছেন মন্তব্য করে এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন কোনো অন্যায় চাপ ও অন্যায় সিদ্ধান্ত দেবে না।’
এ সময় নির্বাচনী দায়িত্বে নিয়োজিতদের আইন অনুযায়ী কাজ করার নির্দেশনা এবং পাশে থাকারও প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।
সভায় কক্সবাজারের পুলিশ সুপার, চট্টগ্রাম অঞ্চলের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা, কক্সবাজার স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক, সব অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।