এ হাল কেন পাকিস্তানের পেস আক্রমণের?
Published: 23rd, February 2025 GMT
দুপুরের কড়া রোদে ভারতীয় দল তখন আইসিসি একাডেমি মাঠে অনুশীলন করছে। আর একাডেমির গেটে সাবেক পাকিস্তানি মিডিয়াম পেসার মুদাসসর নজরকে ঘিরে ধরেছেন গণমাধ্যমকর্মীরা। সাবেক এ তারকার কাছে চিন্তিত পাকিস্তানি গণমাধ্যমকর্মীদের একটিই জানতে চাওয়া– এ হাল কেন পাকিস্তানের পেস আক্রমণের?
শাহিন আফ্রিদি, নাসিম শাহ, হারিস রউফের ধার কোথায় হারিয়ে গেল? মুদাসসর নজর অবশ্য তাদের ধৈর্য ধরার আহ্বান জানালেন। তবে এর ফাঁকে তিনি এটাও বলেছেন, পাকিস্তান-ভারত ম্যাচে যাদের পেস আক্রমণ জ্বলে উঠবে, জয় তাদেরই হবে। তিনি ভারতের মোহাম্মদ শামি ও আর্শদীপ সিংয়ের পেস আক্রমণের দিকে ইঙ্গিত করে বলেছেন, তারা কম কিছু নয়। জাসপ্রিত বুমরাহ না থাকলেও তারা টক্কর দিতে সক্ষম।
অথচ একটা সময় পাকিস্তানের পেসারদের দাপটে কোণঠাসা থাকত ভারত। ওয়াসিম আকরাম, ওয়াকার ইউনুস, শোয়েব আখতার তো বটেই; মোহাম্মদ আসিফ, উমর গুলরাও বেশ দাপট দেখাতেন। অবশ্য শাহিন আফ্রিদি, নাসিম শাহও বেশ আশাবাদ জাগিয়েছিলেন আবির্ভাবে। কিন্তু আচমকা এ দুই তারকা ধার হারিয়ে বসেছেন। ভারতের ব্যাটিংলাইন তো বেশ শক্তিশালী, নিউজিল্যান্ডই পাত্তা দিচ্ছে না পাকিস্তানের পেসত্রয়ীকে। টানা তিন ম্যাচ পাকিস্তানকে হারিয়েছে কিউইরা। অবাক বিষয় হলো, তিনটি ম্যাচই তারা জিতেছে পাকিস্তানের মাটিতে।
ত্রিদেশীয় সিরিজে গ্লেন ফিলিপস ও কেন উইলিয়ামসন তাদের উড়িয়ে দিলেন। এর পর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির উদ্বোধনী ম্যাচে টম লাথাম ও উইলি ইয়াংরা ঠিকই পাকিস্তানের পেস আক্রমণকে নাস্তানাবুদ করে দিলেন। শাহিন আফ্রিদি কোনো উইকেটের দেখা পাননি, দেদার রান দিয়েছেন। নাসিম ও রউফ দুটি করে উইকেট পেলেও বিস্তর রান দিয়েছেন। কিউইদের বিপক্ষে এ অবস্থা হলে রোহিত-কোহলিদের সামনে পড়লে কী হবে! সে চিন্তাই মুদাসসর নজরের সামনে থাকা পাকিস্তানি সাংবাদিকদের মুখে ফুটে উঠছিল।
আগের ম্যাচে বাংলাদেশের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করা শুভমান গিল অবশ্য নিজেদের এগিয়ে রাখছেন না। নতুন দিন, নতুন ম্যাচ; তাই যে কোনো কিছু হতে পারে বলে গেলেন দলের প্রতিনিধি হিসেবে সংবাদ সম্মেলনে। তবে ভালো করার ব্যাপারে ভীষণ আত্মবিশ্বাসী শুভমান। বিশেষ করে তাঁর এবং রোহিতের ওপেনিং জুটি ছন্দে ফেরায় কাজটা সহজ হয়ে গেছে বলেও মনে করছেন গিল, ‘আমার এবং রোহিত ভাইয়ের ব্যাটিংয়ের ধরন একটু ভিন্ন। বোহিত ভাই শুরু থেকেই উড়িয়ে মারতে পছন্দ করেন। আর আমি শুরুতে গ্যাপে শটস খেলতে ভালোবাসি। সেট হওয়ার পর উড়িয়ে মারতে ভালো লাগে আমার। আমরা একটা ভালো শুরু দিতে পারলে বড় স্কোর আসবেই।’
বাংলাদেশের বিপক্ষে গত ম্যাচে সন্ধ্যার পর শিশির পড়েনি, তাই পরে ব্যাটিং করা বেশ কষ্টকর ছিল বলেও জানান শুভমান। কন্ডিশনের কারণেই বাংলাদেশের বিপক্ষে গত ম্যাচের সেঞ্চুরিটিকে তাঁর আট সেঞ্চুরির মধ্যে অন্যতম সেরার মর্যাদাও দিয়েছেন। সে অভিজ্ঞতার আলোকে গতকাল তিনি আরও যোগ করেন, ‘আমরা অবশ্যই ইতিবাচক ও আগ্রাসী ক্রিকেট খেলব। আমার মনে হয়, এই উইকেটে ৩০০-৩২৫ খুব ভালো স্কোর।’
তবে মাঝের ওভারগুলোতে যারা ভালো ব্যাটিং করবে, তারাই জিতবে বলেও মনে করছেন শুভমান। আর তখন পেসার নন, আবরার আহমেদের মতো স্পিনাররা ভয়ংকর হয়ে উঠতে পারেন বলে ইঙ্গিত করেছেন তিনি। শুভমানের নাকি মনে হচ্ছে, রোববারের ম্যাচে শিশির কোনো প্রভাব ফেলবে না, ‘শিশির না পড়লে টস তেমন গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে না। তখন পরে ব্যাট করা দল কিছুটা চাপে থাকতে পারে।’ আর ভারত-পাকিস্তান বিগ ম্যাচে এই চাপই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: অবশ য
এছাড়াও পড়ুন:
খুলনায় কোথায় কখন ঈদের জামাত
খুলনায় ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত সার্কিট হাউজ মাঠে সকাল আটটায় অনুষ্ঠিত হবে। দ্বিতীয় জামাত সকাল সাড়ে আটটায় খুলনা আলিয়া মাদ্রাসা সংলগ্ন মডেল মসজিদে এবং সকাল নয়টা ও দশটায় খুলনা টাউন জামে মসজিদে ঈদের তৃতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে।
এদিকে, খুলনার বিভাগীয় কমিশনার ও সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মো. ফিরোজ সরকার রোববার সকালে সার্কিট হাউজ মাঠে ঈদের প্রধান জামাত আয়োজনের প্রস্তুতি পরিদর্শন করেছেন। পরিদর্শন শেষে তিনি গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, ‘‘নগরবাসী যাতে সুষ্ঠুভাবে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাতে নামাজ আদায় করতে পারে সে জন্য সার্কিট হাউজ মাঠ প্রস্তুতের কাজ ইতোমধ্যে প্রায় সম্পন্ন হয়েছে। ঈদ জামাতের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ১২টি মোবাইল টিম সার্বক্ষণিক কাজ করছে। নগরবাসী যাতে নিরাপত্তার সঙ্গে ঈদের জামাতে অংশগ্রহণ এবং ঈদুল ফিতর উদযাপন করতে পারে সে লক্ষ্যে খুলনা সিটি কর্পোরেশন ও কেএমপি’র পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।’’
তিনি আরও বলেন, ‘‘খুলনা সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে নগরীর ৩১টি ওয়ার্ডে কেসিসি’র দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের সহায়তায় পৃথকভাবে নির্ধারিত সময় অনুযায়ী ঈদ জামাতের আয়োজন করা হয়েছে।’’
পরে সার্কিট হাউজ মাঠে ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের সার্বিক নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়াবলী নিয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের ব্রিফ করেন কেএমপি’র অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার আবু রায়হান মুহাম্মদ সালেহ।
এ সময় খুলনার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) বিতান কুমার মন্ডল, কেসিসির প্রধান প্রকৌশলী (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মশিউজ্জামান খান, সিনিয়র সাংবাদিক শেখ দিদারুল আলম, জেলা প্রশাসন, কেএমপি, কেসিসি’র কর্মকর্তাসহ গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
নুরুজ্জামান