এখন আর ইংল্যান্ডের সমর্থক নন অস্ট্রেলিয়ার ইংলিস
Published: 23rd, February 2025 GMT
জন্ম ইংল্যান্ডের ইয়র্কশায়ারে। সেখানেই জীবনের প্রথম ১৪ বছর কেটেছে জশ ইংলিসের। কাউন্টি দল ইয়র্কশায়ারের যুব দলের হয়ে খেলেছেন। সে হিসেবে তাঁকে ইংল্যান্ডের ঘরের ছেলে তো বলাই যায়। সেই ‘ঘরের ছেলে’র হাতেই কাল ধরাশায়ী হয়েছে ইংল্যান্ড।
জফরা আর্চারদের বিপক্ষে ৮৬ বলে অপরাজিত ১২০ রানের ম্যাচজয়ী এক ইনিংস খেলেছেন ইংলিস। সেটিও কিনা ৩৫২ রানের রেকর্ড লক্ষ্যের পেছনে ছুটতে নেমে। এটি আবার ইংলিসের প্রথম ওয়ানডে সেঞ্চুরি। সব মিলিয়ে ইংলিশদের বিপক্ষে ইংলিসের কালকের সেঞ্চুরির মাহাত্ম্য অনেক।
তো ইংল্যান্ডের ইংলিস অস্ট্রেলিয়ার হলেন কীভাবে? ১৫ বছর বয়সে পরিবারের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ায় চলে যান ইংলিস। কিন্তু ১৫ বছরও তো কম সময় না! এই সময়ের প্রভাবটা তো একজন মানুষের ওপর সারা জীবন থেকে যায়।
আমি মনে করি এটি সত্যিই বিশেষ। এটি কার বিপক্ষে, তা গুরুত্বপূর্ণ নয়। সবচেয়ে আনন্দের বিষয় হলো প্রথম ম্যাচেই জয় পাওয়াজশ ইংলিস২০১৭ সালে যখন অস্ট্রেলিয়ার হয়ে খেলার জন্য লড়েছেন, তখনো স্বীকার করেছেন তিনি ইংল্যান্ডের সমর্থক। ২৯ বয়সী ইংলিস অবশ্য সেঞ্চুরির পর কাল জানিয়েছেন, সে সময় চলে গেছে অনেক আগেই।
কাল ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে ইংল্যান্ডকে সমর্থন করেন কি না—এই প্রশ্নে ইংলিস বলেছেন, ‘সেই দিনগুলো অনেক আগেই শেষ। তবে আমি এখনো ফুটবলে (ম্যানচেস্টার) সিটিকে সমর্থন করি। আমি এরই মধ্যে ইংল্যান্ড থেকে কয়েকটি বার্তা পেয়েছি, যা বেশ ভালো লেগেছে।’
আরও পড়ুনমেসি–ঝলকে বাঁচল প্রায় ৮০ মিনিট ১০ জন নিয়ে খেলা মায়ামি১ ঘণ্টা আগেদল হিসেবে ছন্দে ছিল না অস্ট্রেলিয়া। চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আগে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দলটি হেরেছে ২ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে। দলে নেই মূল দলের ৫ ক্রিকেটার। তাই টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচেই জয় পাওয়া অস্ট্রেলিয়ার জন্য বেশ জরুরি ছিল।
ইংলিসের মুখেও শোনা গেছে সেই কথা, ‘আমি মনে করি এটি সত্যিই বিশেষ। এটি কার বিপক্ষে, তা গুরুত্বপূর্ণ নয়। আমি আগেও বলেছি, এটি খুবই ছোট টুর্নামেন্ট। প্রথম ম্যাচ থেকেই পুরোপুরি মনোযোগী থাকতে হয়। তাই, সম্ভবত সবচেয়ে আনন্দের বিষয় হলো প্রথম ম্যাচেই জয় পাওয়া।’
৮৬ বলে অপরাজিত ১২০ রানের ম্যাচজয়ী এক ইনিংস খেলেছেন ইংলিস.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: প রথম ম য চ
এছাড়াও পড়ুন:
কিশোরগঞ্জে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা
কিশোরগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হামলা ও তিনজনকে হত্যার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১৬৫ জনের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা হয়েছে। ছাত্র আন্দোলনে আহত মো. তরিকুল ইসলাম বাদী হয়ে গতকাল সোমবার সদর মডেল থানায় মামলাটি করেন। মামলায় অজ্ঞানামা আরও ১৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
বাদী তরিকুল নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার নারায়ণপুর গ্রামের বাসিন্দা মো. রফিকুল ইসলামের ছেলে। তিনি কিশোরগঞ্জ শহরের উকিলপাড়া এলাকায় ভাড়া বাসায় থেকে গুরুদয়াল সরকারি কলেজে স্নাতক তৃতীয় বর্ষে পড়াশোনা করেন। গত বছরের ৪ আগস্ট ছাত্র আন্দোলনে তিনি আহত হয়েছিলেন বলে জানান।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, এ নিয়ে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর শুধু সদর থানায় ১৫টির মতো মামলা করা হয়েছে।
জেলা পুলিশ সূত্র জানায়, ৫ আগস্ট থেকে এখন পর্যন্ত সদর থানায় ১৫টিসহ জেলায় অর্ধশতাধিক মামলা হয়েছে। এসব মামলায় প্রায় ৪ হাজার জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ১০ হাজারের বেশি লোককে আসামি করা হয়েছে।
নতুন মামলাটির প্রধান আসামি শেখ হাসিনা। মামলার উল্লেখযোগ্য অন্য আসামিরা হলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, সাবেক ডিবিপ্রধান হারুন অর রশিদ, ডিএমপির সাবেক যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার, কিশোরগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশফাকুল ইসলাম, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক ফয়েজ ওমান খান, সাবেক সভাপতি লিমন ঢালী, জেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, কিশোরগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র মাহমুদ পারভেজ, সদর আওয়ামী লীগের সভাপতি আওলাদ হোসেন প্রমুখ।
মামলার সংক্ষিপ্ত এজাহারে উল্লেখ করা হয়, গত ৪ আগস্ট বেলা ১১টা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত কিশোরগঞ্জ শহরের আখড়া বাজার সেতু থেকে শহীদি মসজিদ এলাকায় ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় হত্যার উদ্দেশ্যে অস্ত্রসহ সাধারণ জনতাসহ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করা হয়। এ সময় বাদীসহ বেশ কয়েকজন গুলিবিদ্ধসহ নানাভাবে আহত হন। ওই ঘটনায় তিনজন নিহত হন।