বাড়িটির নাম ‘দ্য ডলস হাউস’ বা পুতুলের বাড়ি। তবে সেটি পুতুলের বাড়ি নয়, মানুষের। অদ্ভুত আকার ও দর্শনের এই বাড়ি যুক্তরাজ্যের কর্নওয়ালে।

সম্প্রতি বাড়িটি ২ লাখ ৩৫ হাজার পাউন্ডে বিক্রি হয়েছে বলে খবর প্রকাশ করেছে দ্য মেট্রো। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা সাড়ে ৩ কোটি টাকার বেশি।

বাড়িটি পোর্থলেভেনের ক্লেমন্ট টেরেসে অবস্থিত। এটি এক কক্ষবিশিষ্ট একটি বাড়ি, তবে ভবনটি দ্বিতল। সব মিলিয়ে আয়তন মোটে ৩৩৯ বর্গফুট। বাড়ির সবচেয়ে কম চওড়া অংশটি মাত্র ৩ ফুট এবং সবচেয়ে বেশি চওড়া অংশ ১০ ফুটের সামান্য বেশি। দুটি বাড়ির মাঝখানের ফাঁকা জায়গায় ছোট্ট বাড়িটি নির্মাণ করা হয়েছে।

এত ছোট্ট একটি বাড়ি কেন এত দামে বিক্রি হলো, সে প্রশ্ন অনেকের মনে ঘুরপাক খেতে পারে। এর জবাব হলো, আকারে এত ছোট হওয়া সত্ত্বেও পোর্থলেভেনের মনোরম একটি গ্রামে বাড়িটি অবস্থিত। তার ওপর সেটির অবস্থান গ্রামের সুন্দর একটি স্থানে।

বাড়িটি নান্দনিক স্থাপত্যশৈলীর একটি আদর্শ উদাহরণ। বাড়িটি ছোট, কিন্তু এমনভাবে সেটির নকশা করা হয়েছে যে এখানে ছোট্ট জায়গায় বসবাসের আসল অভিজ্ঞতা নেওয়া যাবে।

মেট্রোর প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাড়িটিতে একটি শয়নকক্ষ আছে। যেখানে শুধু দুজনে শোয়া যায়, এমন একটি খাট রাখা যাবে। এ ছাড়া আছে উজ্জ্বল রঙের একটি রান্নাঘর, শৌচাগার ও বসার ছোট একটি জায়গা। সেখানে একটি টেলিভিশনও রাখা যাবে। যদিও সে ক্ষেত্রে আপনাকে টেলিভিশনের একেবারে কাছ ঘেঁষে বসতে হবে।

বাড়ি থেকে সমুদ্র দেখা যায়। রৌদ্রোজ্জ্বল দিনে বাইরে তাকিয়েই সমুদ্র দেখতে পাওয়ার মতো দারুণ দৃশ্য উপভোগ করা যায়। বাড়িটির একটি ইতিহাসও রয়েছে। বাড়িটি যে সড়কের ওপর, সেটির নাম লাইফবোট টেরেস। শহরের প্রথম লাইফবোট হাউস সেখানে ছিল বলে এই নাম। ১৮৬৩ সালে সেটি নির্মাণ করা হয়েছিল।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র একট

এছাড়াও পড়ুন:

মিষ্টি পানির সংকট: কম ফলনে হতাশ তরমুজ চাষিরা

পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার মিঠাগঞ্জ ইউনিয়নের মিঠাগঞ্জ গ্রামের কৃষক খোকন শিকদার প্রথমবারের মতো ১৫ শতাংশ জমিতে ড্রাগন জাতের আগাম তরমুজ চাষ করেছেন। তার ক্ষেতের এক একটি তরমুজের ওজন হয়েছে ১২ থেকে ১৫ কেজি।

ইতিমধ্যে তিনি প্রায় ৬০ হাজার টাকার তরমুজ বিক্রিও করেছেন। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে তিনি আরও ১ লাখ টাকার তরমুজ বিক্রি করতে পারবেন বলে আশা করছেন। জমির পাশের একটি সরকারি খাল থেকে ক্ষেতে মিষ্টি পানি ব্যবহার করতে পারায় অধিক ফলন পেয়েছেন তিনি। 

শুধু খোকন শিকদারই নয়, ক্ষেতে মিষ্টি পানি ব্যবহার করতে পারা তরমুজ চাষিদের অধিকাংশই বাম্পার ফলন পেয়েছেন। তবে যেসব কৃষক মিষ্টি পানির অভাবে লবণাক্ত পানি ব্যবহার করেছেন, তাদের ফলন খুবই কম হয়েছে। 

মূলত উপকূলীয় এলাকার খালগুলো ভরাট হয়ে মরে যাওয়া এবং বর্ষা মৌসুমে খালগুলোতে মিষ্টি পানি সংরক্ষণ করতে না পারার কারণে কম ফলন পেয়েছেন বলে দাবি কৃষকদের। তাই সরকারি খালগুলো খননের দাবি জানিয়েছেন তারা। 

তরমুজ চাষি খোকন সিকদার বলেন, “আমি প্রথমবারের মতো ড্রাগন জাতের তরমুজ চাষ করেছি। আমার ক্ষেতের পাশেই একটি খাল রয়েছে। সেই খাল থেকে ক্ষেতে মিষ্টি পানি ব্যবহার করতে পারায় অধিক ফলন পেয়েছি। তরমুজ চাষে আমার খরচ হয়েছে ৫০ হাজার টাকা। আশা করছি দেড় লাখ টাকারও বেশি বিক্রি করতে পারব।”

কলাপাড়ার টিয়াখালী ইউনিয়নের ইটাবাড়িয়া গ্রামের জিয়া কলোনি সংলগ্ন এলাকায় আন্ধারমানিক নদী লাগোয়া জমিতে তরমুজ চাষ করেছেন কৃষক ইসমাইল মিয়া। তিনি বলেন, “আমরা ১০ জন কৃষক একত্রে এখানে প্রায় ১৫০ শতাংশ জমিতে তরমুজ চাষ করেছি। এখানের সরকারি খাল শুকিয়ে যাওয়ার কারণে বাধ্য হয়ে ক্ষেতে নদীর পানি ব্যবহার করতে হয়েছে। যে কারণে ফলন কম পেয়েছি এবং তরমুজের আকারও খুব ছোট হয়েছে। তাই কৃষি জমির পাশে যে সকল খাল রয়েছে, সেগুলো খননের দাবি জানাচ্ছি।” 

নীলগঞ্জ ইউনিয়নের কৃষক সুলতান মিয়া বলেন, “আমরা যারা উপায় না পেয়ে ক্ষেতে নদীর লবণাক্ত পানি ব্যবহার করেছি, তাদের সবার তরমুজের ফলন কম হয়েছে। আমাদের এলাকার অনেক খাল দখল হয়ে যাওয়ার কারণে পানির স্বাভাবিক প্রবাহ হচ্ছে না। আবার অনেক খাল প্রাকৃতিকভাবে ভরাট হয়ে গেছে। তাই খালগুলো উদ্ধার এবং খননের দাবি জানাচ্ছি।”

কলাপড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আরাফাত হোসেন বলেন, “কলাপাড়ায় এ বছর ৩৫০০ হেক্টর জমিতে তরমুজের আবাদ হয়েছে। ফলনও বেশ ভালো হয়েছে। তবে অনেক খালে পানি না থাকার কারণে কৃষকরা ভোগান্তিতে পড়েছেন। তাই উপকূলীয় এলাকার দখল হয়ে যাওয়া খাল পুনরুদ্ধার এবং খাল খননে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি। আশা করছি মিষ্টি পানি ব্যবহার করা কৃষকরা তরমুজ চাষে অধিক লাভবান হবেন।”

ঢাকা/ইমরান/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ