৩ ফুট চওড়া বাড়ির দাম সাড়ে তিন কোটি টাকার বেশি
Published: 23rd, February 2025 GMT
বাড়িটির নাম ‘দ্য ডলস হাউস’ বা পুতুলের বাড়ি। তবে সেটি পুতুলের বাড়ি নয়, মানুষের। অদ্ভুত আকার ও দর্শনের এই বাড়ি যুক্তরাজ্যের কর্নওয়ালে।
সম্প্রতি বাড়িটি ২ লাখ ৩৫ হাজার পাউন্ডে বিক্রি হয়েছে বলে খবর প্রকাশ করেছে দ্য মেট্রো। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা সাড়ে ৩ কোটি টাকার বেশি।
বাড়িটি পোর্থলেভেনের ক্লেমন্ট টেরেসে অবস্থিত। এটি এক কক্ষবিশিষ্ট একটি বাড়ি, তবে ভবনটি দ্বিতল। সব মিলিয়ে আয়তন মোটে ৩৩৯ বর্গফুট। বাড়ির সবচেয়ে কম চওড়া অংশটি মাত্র ৩ ফুট এবং সবচেয়ে বেশি চওড়া অংশ ১০ ফুটের সামান্য বেশি। দুটি বাড়ির মাঝখানের ফাঁকা জায়গায় ছোট্ট বাড়িটি নির্মাণ করা হয়েছে।
এত ছোট্ট একটি বাড়ি কেন এত দামে বিক্রি হলো, সে প্রশ্ন অনেকের মনে ঘুরপাক খেতে পারে। এর জবাব হলো, আকারে এত ছোট হওয়া সত্ত্বেও পোর্থলেভেনের মনোরম একটি গ্রামে বাড়িটি অবস্থিত। তার ওপর সেটির অবস্থান গ্রামের সুন্দর একটি স্থানে।
বাড়িটি নান্দনিক স্থাপত্যশৈলীর একটি আদর্শ উদাহরণ। বাড়িটি ছোট, কিন্তু এমনভাবে সেটির নকশা করা হয়েছে যে এখানে ছোট্ট জায়গায় বসবাসের আসল অভিজ্ঞতা নেওয়া যাবে।
মেট্রোর প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাড়িটিতে একটি শয়নকক্ষ আছে। যেখানে শুধু দুজনে শোয়া যায়, এমন একটি খাট রাখা যাবে। এ ছাড়া আছে উজ্জ্বল রঙের একটি রান্নাঘর, শৌচাগার ও বসার ছোট একটি জায়গা। সেখানে একটি টেলিভিশনও রাখা যাবে। যদিও সে ক্ষেত্রে আপনাকে টেলিভিশনের একেবারে কাছ ঘেঁষে বসতে হবে।
বাড়ি থেকে সমুদ্র দেখা যায়। রৌদ্রোজ্জ্বল দিনে বাইরে তাকিয়েই সমুদ্র দেখতে পাওয়ার মতো দারুণ দৃশ্য উপভোগ করা যায়। বাড়িটির একটি ইতিহাসও রয়েছে। বাড়িটি যে সড়কের ওপর, সেটির নাম লাইফবোট টেরেস। শহরের প্রথম লাইফবোট হাউস সেখানে ছিল বলে এই নাম। ১৮৬৩ সালে সেটি নির্মাণ করা হয়েছিল।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র একট
এছাড়াও পড়ুন:
গুলিতে নিহত বাংলাদেশির মরদেহ ফেরত দিল বিএসএফ
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে নিহত বাংলাদেশি যুবক হাসিবুল ইসলামের মরদেহ গভীর রাতে ফেরত দিয়েছে বিএসএফ।
বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) রাত ১২টায় বাংলাদেশের বিজিবি ও পুলিশের কাছে মরদেহ তুলে দেয় বিএসএফ ও ভারতীয় পুলিশ।
বুধবার (১৬ এপ্রিল) রাত ৮টায় ভারতের কোচবিহারের এমজেএন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান হাসিবুল।
ওইদিন দুপুরের দিকে তাকে গুলি করে বিএসএফ। পরদিন বৃহস্পতিবার ভারতের কোচবিহারের হাসপাতালে মরদেহের ময়নাতদন্ত শেষে রাত ১২টার দিকে হাসিবুলের মরদেহ ফেরত দেওয়া হয়।
জানা গেছে, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের প্রধান পিলার ৮৮১ নম্বর কোচবিহার জেলার শীতলকুচি থানার সীমান্ত ও বাংলাদেশের লালমনিরহাটের পাটপ্রামের খারিজা জোংড়া সীমান্তবর্তী স্থান দিয়ে মরদেহ হস্তান্তর সম্পন্ন করা হয়। এ সময় ভারতের ১৫৭ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের মহেশমারী ক্যাম্পের কমান্ডার রাজ কুমার, শীতলকুচি থানার ওসি ও বাংলাদেশের ৬১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের খারিজা জোংড়া ক্যাম্পের প্রতিনিধি সুবেদার রেজাউল ইসলাম, পাটগ্রাম থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) তাজরুল ইসলাম এবং নিহত যুবকের বাবা জাহিদুল ইসলাম ও নিহতের চাচা রশিদুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
বিএসএফ ও ভারতীয় পুলিশের নিকট মরদেহটি বুঝে নেয় বিজিবি ও বাংলাদেশের পুলিশ। রাতই নিহতের বাবা ও চাচার নিকট হস্তান্তর করে থানা পুলিশ।
প্রসঙ্গত. গত বুধবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত পিলার ৮৯৪ নম্বর প্রধান ও ৬ নম্বর উপ-পিলারের নিকটবর্তী হাতীবান্ধা উপজেলার সিংগীমারী সীমান্ত এলাকায় ঘাস কাটতে যান কৃষক হাসিবুল ইসলাম। এ সময় ভারতের ১৫৭ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের ফুলবাড়ি ক্যাম্পের টহল দলের সদস্যরা তাকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে। এতে গুলি লেগে হাসিবুল মাটিতে পড়ে যান। এ সময় বিএসএফ সদস্যরা তাঁকে রাইফেলের বাট ও হাতে থাকা লাঠি দিয়ে মেরে টেনেহিঁচড়ে ভারতের অভ্যন্তরে নিয়ে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে হাসিবুলকে শীতলকুচি থানার স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করে। সন্ধ্যায় অবস্থার অবনতি হলে কোচবিহারের এমজেএন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিলে সেখানে মারা যায় হাসিবুল।
হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুননবী জানান, ভারতীয় পুলিশ ও বিএসএফ বাংলাদেশের পুলিশ এবং বিজিবির নিকট মরদেহ হস্তান্তর করে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে রাতই মরদেহ নিহতের বাবা এবং চাচাকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়। রাতেই হাসিবুলের পরিবার তার দাফন সম্পন্ন করেন।
এ ব্যাপারে বর্ডারগার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) ৬১ ব্যাটালিয়ন (তিস্তা-২) এর সংশ্লিষ্ট বিজিবি কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করলে তাঁরা কথা বলতে রাজি হননি।