লা লিগার শীর্ষস্থান নিয়ে অনেক দিন ধরেই চলছে ত্রিমুখী লড়াই। শীর্ষে থেকে ২০২৫ সাল শুরু করা আতলেতিকো মাদ্রিদকে জানুয়ারিতেই পেছনে ফেলেছিল রিয়াল মাদ্রিদ। কিন্তু বার্সেলোনা ‘দুই মাদ্রিদকে’ টপকে যায় গত সপ্তাহে; ৫৮ দিন পর উঠে আসে শীর্ষে।

সেই বার্সাকে কাল দুইয়ে নামিয়ে এক নম্বরে উঠেছিল আতলেতিকো। কিন্তু আড়াই ঘণ্টা পরেই শীর্ষস্থান পুনরুদ্ধার করেছে হান্সি ফ্লিকের দল। লাস পালমাসের বিপক্ষে বদলি নেমে বার্সাকে জিতিয়েছেন দানি ওলমো ও ফেরান তোরেস।

২৫ ম্যাচ শেষে বার্সার পয়েন্ট ৫৪, আতলেতিকোর ৫৩। তিনে থাকা রিয়ালের পয়েন্ট ৫১। রিয়াল অবশ্য এক ম্যাচ কম খেলেছে। আজ রাতে জিরোনার বিপক্ষে রিয়াল জিতলে তাদের পয়েন্ট হবে বার্সার সমান (৫৪)। কিন্তু গোল পার্থক্যের কারণে বার্সাই হয়তো চূড়ায় থাকবে। লা লিগার এই মৌসুমে গোল করা ও খাওয়া মিলিয়ে যে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রিয়ালের চেয়ে যে ১৩ গোলে এগিয়ে বার্সা!

ভ্যালেন্সিয়ার বিপক্ষে জোড়া গোল করেছেন আতলেতিকোর হুলিয়ান আলভারেজ.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আতল ত ক

এছাড়াও পড়ুন:

শোলাকিয়া ঈদগাহে নামাজ পড়তে এক দিন আগেই চলে আসেন অনেকে

মো. সুরুজ আলীর বয়স ৮৫ বছর। পাকিস্তান আমল থেকে কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগাহ মাঠে নামাজ পড়তে আসেন তিনি। তাঁর বাড়ি ময়মনসিংহের তারাকান্দা এলাকায়। প্রতিবারের মতো এবারও এক দিন আগেই তিনি শোলাকিয়ায় নামাজ পড়তে চলে এসেছেন। সুরুজ আলী জানান, বড় মাঠে বেশি সওয়াব ও আল্লাহর নৈকট্য লাভের আশায় তিনি প্রায় ৬৫ বছর আগে থেকে শোলাকিয়ায় আসছেন। প্রতিবারই এক-দুই দিন আগেই তিনি কিশোরগঞ্জে এসে মাঠের আশপাশে থাকেন। এবার শোলাকিয়া বাগে জান্নাত গোরস্তান মসজিদে গতকাল রোববার থেকে অবস্থান নেন।

শুধু সুরুজ আলী নন, দেশের নানা প্রান্ত থেকে এ রকম কয়েক শ লোক শোলাকিয়ায় নামাজ পড়তে এক থেকে দুই দিন আগেই চলে আসেন। কেউ আবার দূর থেকে দুই-তিন দিন আগেও চলে আসেন। তেমনি চট্টগ্রামের বাঁশখালী থেকে মফিজুর রহমান নামের আরেকজন গত শনিবার সকালেই কিশোরগঞ্জে চলে আসেন। তিনি জানান, তিনি পূর্ব আফ্রিকার দেশ মোজাম্বিক প্রবাসী। ২০-২৫ বছর থেকে তাঁর ইচ্ছা ছিল শোলাকিয়ার ঈদগাহে নামাজ পড়বেন। কিন্তু দীর্ঘদিন প্রবাসে থাকায় সময়–সুযোগ হয়ে ওঠে না। তাই এবার মোজাম্বিক থেকে নিয়ত করেই দেশের বাড়িতে আসেন এবং সেখান থেকে শোলাকিয়ায় চলে আসেন।

বাগেরহাট থেকে মো. ইব্রাহীম নামের একজন শিক্ষক তাঁর ভাই মোস্তফাকে নিয়ে গতকাল শোলাকিয়া বাগে জান্নাত মসজিদে এসে ওঠেন। ফজর আলী নামের আরেকজন নাটোর সদর থেকে এসেছেন। একসময় দূর থেকে আসা মুসল্লিরা সবাই শোলাকিয়া মাঠের মিম্বরেই অবস্থান করতেন। কিন্তু ২০১৬ সালে ঈদুল ফিতরের দিন শোলাকিয়া মাঠের অদূরে জঙ্গি হামলার কারণে নিরাপত্তার স্বার্থে এখন আর কাউকে মাঠের ভেতর থাকতে দেওয়া হয় না। যার কারণে প্রশাসন থেকে শোলাকিয়া বাগে জান্নাত গোরস্তান মসজিদ, পার্শ্ববর্তী আজিম উদ্দিন উচ্চবিদ্যালয়সহ কয়েকটি জায়গায় দূরের মুসল্লিদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়।

রোববার রাতে শোলাকিয়া বাগে জান্নাত গোরস্তান মসজিদে অনেক মুসল্লি অবস্থান করেন

সম্পর্কিত নিবন্ধ