একাদশের শিক্ষার্থীদের বিষয়-গ্রুপ পরিবর্তনের সুযোগ, ফি নির্ধারণ
Published: 23rd, February 2025 GMT
একাদশ শ্রেণির ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের বিষয় ও গ্রুপ পরিবর্তন এবং ভর্তি বাতিলের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। নতুনভাবে এ কার্যক্রম শুরু ২০ ফেব্রুয়ারি, চলবে আগামী ২০ এপ্রিল পর্যন্ত। এ কার্যক্রমে বিষয়, গ্রুপ, ছবি, ভর্তি বাতিল এবং বিটিসি ও অনলাইন টিসি কার্যক্রমের ফি–সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ড থেকে নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে ছবি পরিবর্তন ও চতুর্থ বিষয় বাতিলের জন্য কোনো ফি লাগবে না।
ঢাকা মাধ্যমিক এ উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড এ–সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। এ–সংক্রান্ত নির্দেশনা ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের অধীন থাকা সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুনহার্ভার্ডে বৃত্তি নিয়ে এমবিএ’র সুযোগ বাংলাদেশিদের ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫শিক্ষার্থীদের প্রতি বিষয় পরিবর্তনের ফি ধরা হয়েছে ২০০ টাকা, গ্রুপ পরিবর্তন ৮০০ টাকা, ভর্তি বাতিল ৬০০ টাকা, অনলাইন টিসি ও বিটিসি ৭০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
শিক্ষার্থীরা শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইট -এর ই-টিসি বাটনে প্রবেশ করে নির্দেশনা মোতাবেক প্রয়োজনীয় তথ্য ও নির্ধারিত ফি দিয়ে ইটিসি আবেদন করতে পারবে।
বিটিসির ক্ষেত্রে বোর্ডের ওয়েবসাইটে Forms College section HSC 1st Year BTC Form ডাউনলোড করে নির্দেশনা অনুযায়ী পূরণ করে ফিসহ কলেজ শাখার ৪১২ নম্বর কক্ষে জমা দিতে হবে। বিটিসি ছাড়া অন্যন্য কার্যক্রম সম্পূর্ণরূপে অনলাইনে সম্পন্ন করতে হবে।
আরও পড়ুনমাধ্যমিকের সংশোধিত ছুটির তালিকা, এসএসসির প্রাক-নির্বাচনি ও নির্বাচনি পরীক্ষার নতুন তারিখ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ কলেজে নিজ চাহিদা অনুযায়ী আবেদন করলে কলেজ কর্তৃপক্ষ বোর্ডের ওয়েবসাইট –এর OEMS বাটনে ক্লিক করে কলেজের ইআইআইএন ও পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করে অনলাইনে শিক্ষার্থীর চাহিদা অনুযায়ী বিধি মোতাবেক সংশোধন সম্পন্ন করবে। এ ক্ষেত্রে কলেজ কর্তৃপক্ষ বোর্ডের প্রয়োজনীয় ফি শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে গ্রহণ করে সোনালী সেবার মাধ্যমে জমা দেবে। অতঃপর শিক্ষা বোর্ডের অনুমোদন সাপেক্ষে সংশোধনী কার্যকর হবে এবং সংশোধিত তথ্যাবলি কলেজ কর্তৃপক্ষ অনলাইনে দেখতে পাবে।
বিটিসি ছাড়া এ কার্যক্রমের জন্য শিক্ষার্থীদের বোর্ডে যোগাযোগের কোনো প্রয়োজন নেই।
আরও পড়ুনএসএসসি পরীক্ষা ২০২৫-এর কোন পরীক্ষা কবে২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫আরও পড়ুনএইচএসসি পরীক্ষার রুটিন প্রকাশ, শুরু ২৬ জুন১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: পর ক ষ
এছাড়াও পড়ুন:
কানাডা ইমিগ্রেশনে নতুন দিগন্ত: ফ্রেঞ্চ ভাষা জানলেই মিলছে বাড়তি সুযোগ
২০২৫ সালের শুরু থেকে কানাডা সরকারের এক্সপ্রেস এন্ট্রি প্রোগ্রামে ফ্রেঞ্চভাষী আবেদনকারীদের প্রতি অগ্রাধিকার বাড়ানো হয়েছে। সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এ বছরের জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত মোট ৩৫ হাজার ৫৮৮ জন আবেদনকারীকে ITA (Invitation to Apply) প্রদান করা হয়েছে। এর মধ্যে শুধু ফ্রেঞ্চ ভাষায় দক্ষ আবেদনকারীদের জন্য তিনটি পৃথক ড্র অনুষ্ঠিত হয়েছে, যেখানে ১৮ হাজার ৫০০ জন আবেদনকারী আমন্ত্রণ পেয়েছেন।
এতে এটা স্পষ্ট হয় যে কানাডা বর্তমানে দ্বিভাষিক (ইংরেজি ও ফ্রেঞ্চ) সমাজকে আরও শক্তিশালী করতে চাইছে এবং ফ্রেঞ্চ ভাষায় দক্ষ ব্যক্তিদের স্থায়ী বসবাসের ক্ষেত্রে বিশেষ সুবিধা দিচ্ছে।
কেন এই অগ্রাধিকার ফ্রেঞ্চ ভাষাভাষীদের জন্য?
কানাডা একটি দ্বিভাষিক দেশ। ইংরেজির পাশাপাশি ফ্রেঞ্চও সরকারি ভাষা। বিশেষ করে কুইবেক প্রদেশসহ পূর্বাঞ্চলের অনেক এলাকায় ফ্রেঞ্চ হলো প্রথম ভাষা। স্থানীয় অর্থনীতি, শিক্ষা ও সামাজিক খাতে ফ্রেঞ্চভাষীদের চাহিদা প্রতিনিয়ত বাড়ছে। এ কারণে কানাডা সরকার চায় যেন অভিবাসীরা শুধু ইংরেজিভাষী না হয়ে ফ্রেঞ্চ ভাষায়ও দক্ষ হন।
ভাষা জানলে বাংলাদেশিদের জন্য বড় সুযোগ
বাংলাদেশে শিক্ষার্থী ও তরুণ পেশাজীবীদের জন্য এখনই সুবর্ণ সুযোগ—ফ্রেঞ্চ শেখার মাধ্যমে কানাডায় স্থায়ী বসবাসের রাস্তা সহজ করে নেওয়া। তুলনামূলক কম CRS (Comprehensive Ranking System) স্কোরে কানাডায় যাওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন ফ্রেঞ্চ ভাষায় দক্ষরা।
আরও পড়ুনএসএসসি পরীক্ষা ২০২৫-এর রুটিন, কোন পরীক্ষা কবে২০ মার্চ ২০২৫বাংলাদেশে কোথায় শেখা যায় ফ্রেঞ্চ ভাষা?
ফ্রেঞ্চ শেখার জন্য ঢাকাসহ বিভিন্ন শহরে বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানের খোঁজ পাওয়া যায়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হলো:
1. Alliance Française de Dhaka
অবস্থান: ধানমন্ডি ও গুলশান
ওয়েবসাইট: www.afdhaka.org
ফ্রেঞ্চ ভাষা শেখানোর জন্য সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান।
2. Institute of Modern Languages (IML), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
এখানে স্বল্পমেয়াদি ও দীর্ঘমেয়াদি ফ্রেঞ্চ কোর্স রয়েছে।
3. Online Platforms:
Duolingo (বিনা মূল্যে)
Babbel, Coursera, Udemy (সার্টিফিকেটসহ কোর্স)
ফ্রেঞ্চ শেখা কতটা কঠিন সময়সাপেক্ষ?
বাংলাদেশিদের জন্য এই ভাষা শেখা হয়তো একটু কঠিন হতে পারে। সাধারণভাবে, একজন শিক্ষার্থী যদি প্রতিদিন ২-৩ ঘণ্টা সময় দেন, তাহলে ৬ মাসের মধ্যে একটি ভালো বেসিক লেভেল অর্জন করা সম্ভব। উচ্চতর দক্ষতা অর্জনে সময় লাগতে পারে ১ থেকে দেড় বছর, তবে এর বিনিময়ে কানাডার মতো দেশের স্থায়ী বসবাসের সুযোগ এক অনন্য প্রাপ্তি।
শেষ কথা
বর্তমান বিশ্বে শুধু ডিগ্রিই নয়, ভাষাদক্ষতাও হয়ে উঠেছে অভিবাসনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। কানাডার মতো দেশে ফ্রেঞ্চ শেখার মাধ্যমে বাংলাদেশি তরুণ-তরুণীরা সহজেই গড়তে পারেন তাঁদের ভবিষ্যৎ। শুধু দরকার একটু আগ্রহ, নিয়মিত চর্চা এবং সঠিক দিকনির্দেশনা।
আরও পড়ুনমাদ্রাসা ও কারিগরির শিক্ষক-শিক্ষার্থী-কর্মচারীরা পাবেন অনুদান, আবেদনের সময় আরও ১০ দিন১৪ এপ্রিল ২০২৫