বিপিএলের পর ঢাকা প্রিমিয়ার লিগেও নাম লেখালেন সাকিব আল হাসান। ধানমন্ডি ক্লাব থেকে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জে গেলেন তিনি। গতকাল যুক্তরাষ্ট্র থেকে অনলাইনে দলবদলে অংশ নেন বাঁহাতি এ অলরাউন্ডার। যদিও লিগে তাঁর খেলা নিয়ে শঙ্কা আছে। মাথার ওপর খুনের মামলা থাকায় দেশে ফেরার ঝুঁকি নেননি জাতীয় দলের সিরিজ খেলতে। সেখানে ডিপিএলে খেলার জন্য দেশে ফেরার সম্ভাবনা নেই বলে মনে করেন ক্রিকেট-সংশ্লিষ্টরা।
যদিও লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের চেয়ারম্যান লুৎফর রহমান বাদল বলছেন, ‘আমি রাজনীতিবিদ সাকিবকে নিইনি, খেলোয়াড় সাকিবকে নিয়েছি। তিনি দেশের সম্পদ, তিনি অচিরেই ঝরে যাক আমরা চাই না। আপনারা জানেন, অলমোস্ট সাকিবের ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই আমার সঙ্গে ছিলেন। এখনও আশা প্রকাশ করেছেন, আমার সঙ্গে থাকবেন। আমি আমাদের ক্রিকেটকে নতুনভাবে সাজাতে চাই।’
দলের ভেতরের খবর হলো, সাকিবকে খেলতে হবে হত্যা মামলা নিষ্পত্তি করে। সব কিছু জেনেও সাকিবের দলবদলে অংশগ্রহণ করার পেছনে ক্রিকেট-সংশ্লিষ্টদের ধারণা, নিজেকে মিডিয়ার আলোচনায় রাখার কৌশল হিসেবে দলবদল করে ধানমন্ডি ক্লাব থেকে রূপগঞ্জে গেছেন ৩৭ বছর বয়সী এ ক্রিকেটার।
লুৎফর রহমান বাদল জানান, রোজার ভেতরে ইংল্যান্ডে বোলিং অ্যাকশন পরীক্ষা দেবেন সাকিব। বাঁহাতি এ অলরাউন্ডার ছাড়াও গতকালের দলবদলে অনেক তারকা ক্রিকেটার অংশ নিয়েছেন। শেখ মেহেদি, শরিফুল ইসলাম, মাহমুদুল হাসান জয়, সাদমান ইসলাম অনিকরা রূপগঞ্জে নাম লিখিয়েছেন। মোহামেডানের তামিম ইকবাল, তাইজুল ইসলাম, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, আরাফাত সানি, মুশফিক হাসানরা দলবদল করেছেন।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: স ক ব আল হ স ন ড প এল র পগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
গুজরাটে আতশবাজি কারখানায় বিস্ফোরণ, নিহত ১৮
ভারতের গুজরাটের একটি আতশবাজির কারখানা ও গোডাউনে বিস্ফোরণের ঘটনায় অন্তত ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই ছিল যে তার ফলে ভবনের একাংশ ভেঙে পড়ে। সূত্র- বিবিসি বাংলা
গুজরাটের পুলিশ বলছে, মঙ্গলবার সকালে গুজরাটের বনাসকাণ্ঠা জেলার ডীসা শহরে আতশবাজির কারখানায় হঠাৎই বিস্ফোরণ হয়।
বনাসকাণ্ঠা জেলার পুলিশ সুপার অক্ষয়রাজ মাকওয়ানা বলেন, খবর পাওয়া মাত্রই স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে উদ্ধারের কাজ শুরু করা হয়। ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে এখনও পর্যন্ত ১৮ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, যে সময় ঘটনাটি ঘটে সে সময় ঘটনাস্থলে কারখানার শ্রমিকেরা ছাড়াও তাদের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
গোডাউনের একাংশেই শ্রমিকেরা তাদের পরিবার নিয়ে বসবাস করতেন। বিস্ফোরণে ভবনের একাংশ ভেঙে পড়ায় ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে যান উপস্থিতদের অনেকেই।
পুলিশের ওই কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ভবনের একটি স্ল্যাব ধসে পড়ায় প্রাণ হারিয়েছেন বহু মানুষ। নিহতরা মধ্য প্রদেশের বাসিন্দা ছিলেন।
তিনি বলেন, এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। আমরা তদন্ত করছি, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ ঘটনায় শোক জানিয়েছেন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ভুপেন্দ্র প্যাটেল। নিহতের পরিবারের জন্য ক্ষতিপূরণেরও ঘোষণা করেছেন তিনি।
বনাসকাণ্ঠা জেলার কালেক্টর মিহির প্যাটেল বলেন, তীব্র বিস্ফোরণে কারখানার আরসিসি স্ল্যাব ধসে পড়েছে। জেসিবি মেশিনের মাধ্যমে ধ্বংসাবশেষ সরানোর কাজ শুরু হয়।
প্রাথমিকভাবে খবর পাওয়া গেছে, বাজি তৈরির কাজ চলার সময়ই বিস্ফোরণ ঘটে।
স্থানীয়রা বাসিন্দারা জানিয়েছেন, যে সময় ঘটনাটি ঘটে সেই সময় কারখানায় কাজ হচ্ছিল।
হঠাৎ বিকট আওয়াজ শুনতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা। মুহূর্তে ছোটাছুটি শুরু হয়ে যায়। চারিদিক থেকে চিৎকার শোনা যাচ্ছিল।
একজন স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, যে সময় ঘটনাটি ঘটে তখন ভেতরে কাজ চলছিল। কমপক্ষে ৩৫ জন ছিলেন সেখানে। ধ্বংসস্তূপের নিচে অনেকে আটকে থাকতে পারেন বলে আশঙ্কা করছি।
তবে ওই কারখানায় ঘটনার সময় ঠিক কতজন উপস্থিত ছিলেন, সে বিষয়ে নিশ্চিতভাবে কিছু বলতে পারেননি কর্মকর্তারা।