নাটোরের বড়াইগ্রামে বিয়েবাড়িতে গান বাজানোয় প্রতিবেশীর মারধরে কামাল ব্যাপারী (৪৫) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।

শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার মানিকপুর পশ্চিমপাড়া এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। বনপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ সরল মুরমু ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

নিহত কামাল একই এলাকার মৃত ইসমাইল ব্যাপারীর ছেলে।

আরো পড়ুন:

মাদক সেবনে নিষেধ করায় ২ যুবককে মারধর

নোয়াখালীতে ইউপি সদস্যকে মারধর করল যুবদল-ছাত্রদল

বনপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ সরল মুরমু বলেন, “শনিবার রাতে কামাল ব্যাপারীর ভাতিজা সুমনের বিয়ের অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি চলছিল। এসময় গান বাজানোকে কেন্দ্র করে প্রতিবেশী শামসুল, সাজত ও শাজাহান এসে কামালের সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। এক পর্যায়ে তারা কামাল ব্যাপারীকে এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি মারেন। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান কামাল।”

বড়াইগ্রাম থানার ওসি (তদন্ত) মো মাহবুবুর রহমান বলেন, “পুলিশ ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগেই অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়। অভিযুক্তদের ধরতে অভিযান চলছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।”

ঢাকা/আরিফুল/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ম রধর ম রধর

এছাড়াও পড়ুন:

‘সৌদি রাষ্ট্রদূত ঈসার সঙ্গে আমার সম্পর্ক, আর কারও সঙ্গে নয়’

‘আমাকে বিনা বিচারে জেলে পাঠানো হয়েছে। রাষ্ট্রদূত ঈসার সঙ্গেই আমার সম্পর্ক, আর কারও সঙ্গে নয়। সৌদি রাষ্ট্রদূত ঈসার সঙ্গে আমার বিয়ে হয়। ঈসা অভিযোগ করেন আমি নাকি তার বাচ্চা নষ্ট করে ফেলেছি। এটা মোটেও সত্য নয়।’ আদালতে এসব কথা বলেছেন মডেল মেঘনা আলম। 

বৃহস্পতিবার সকালে তাঁকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষে মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানোর পক্ষে শুনানি করেন। 

‘সুন্দরী মেয়েদের দিয়ে বিদেশি রাষ্ট্রদূতদের প্রেমের ফাঁদে ফেলার’ অভিযোগে রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় দায়ের করা প্রতারণার মামলায় আজ মেঘনা আলমকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছেন আদালত। একই মামলায় তাঁর কথিত সহযোগী সানজানা ম্যানপাওয়ার প্রতিষ্ঠানের মালিক মো. দেওয়ান সমিরকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।

শুনানিতে প্রসিকিউটর বলেন, ‘এই আসামিরা অভিনব কৌশল অবলম্বন করে বিদেশি রাষ্ট্রদূতসহ অ্যাম্বাসিগুলোতে কর্মরত বিদেশি নাগরিকদের হানি ট্র্যাপে ফেলে বিপুল অর্থ বাগিয়ে নেওয়ার জন্য চক্র দাঁড় করিয়েছেন। তারা দীর্ঘদিন ধরে এসব প্রতারণা করে আসছেন। সবশেষ সৌদি রাষ্ট্রদূত ঈসাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করেন। তাঁর কাছ থেকে ৫ মিলিয়ন ডলার দাবি করেন বলে অভিযোগ রয়েছে।’ 

এ সময় মেঘনা আলমকে ‘মেঘলা’ আলম সম্বোধন করায় শুনানির এক পর্যায়ে আসামি মেঘনা তাঁর নাম ঠিকভাবে উচ্চারণ করতে আইনজীবীকে অনুরোধ জানান। তিনি বলেন, ‘আমার নাম মেঘনা আলম, মেঘলা নয়।’

এদিকে দেওয়ান সমির আদালতকে বলেন, ‘আমাকে মেঘনা আলমের বয়ফ্রেন্ড বলা হচ্ছে। এটা ভুল তথ্য। তাঁর সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক নেই। আমি সাধারণ একজন মানুষ। দীর্ঘদিন প্রবাসে ছিলাম। আমি একজন রেমিট্যান্স যোদ্ধা। আমি মামলার এসব ঘটনার কিছুই জানি না।’

এরপর ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাসুম মিয়া তাদের দুজনকে গ্রেপ্তার দেখান। একইসঙ্গে দেওয়ান সমিরের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এদিকে এজলাস থেকে হাজতখানায় যাওয়ার পথে মেঘনা আলম বলেন, ‘একমাত্র ঈসার সঙ্গে আমার সম্পর্ক, আর কারও সঙ্গে সম্পর্ক নেই। আমি ন্যায়বিচার পাচ্ছি না।’ 
এ সময় পুলিশ সদস্যরা তাঁকে ঘিরে ধরেন। কথা বলতে নিষেধ করেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ