Risingbd:
2025-02-23@10:26:48 GMT

ঢাকার পথে কুয়েট শিক্ষার্থীরা

Published: 23rd, February 2025 GMT

ঢাকার পথে কুয়েট শিক্ষার্থীরা

‌‘প্রিয় ক্যাম্পাস আর নিরাপদ নয়’, এজন্য ছয় দফা দাবি আদায়ে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) সাধারণ শিক্ষার্থীরা। রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৮টার দিকে দুইটি বাসে ৮০ জন শিক্ষার্থী ঢাকায় রওনা হন। এ সময় শিক্ষার্থীদের মাথায় ও চোখে লাল কাপড় বাঁধা ছিল। আজ সকাল ১১টায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে তাদের বৈঠক হবার কথা রয়েছে। 

কুয়েটের ভিসি প্রফেসর ড.

মুহাম্মদ মাছুদ, প্রো-ভিসি প্রফেসর ড. শরিফুল ইসলামের অপসারণ এবং নতুন নিয়োগসহ ছয় দফা দাবি নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।  

ঢাকায় যাত্রা শুরুর আগে রবিবার ভোরে সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীদের পক্ষে লামিসা আফরিন বলেন, “আমারা ক্যাম্পাসে নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে রয়েছি। এজন্য আমরা দাবি নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করব। এরপর নিরাপদ জায়গায় চলে যাব। ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা নিশ্চিত না হওয়ার আগ পর্যন্ত আমরা ক্যাম্পাসে ফিরব না। অনলাইনে আমাদের কার্যক্রম চলবে।”

আরো পড়ুন:

কুয়েট শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা: বিএনপি ও যুবদলের ৪ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার

বরগুনায় বর্ণমালা উৎসব

এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি আরো বলেন, “ভিসিসহ কিছু শিক্ষক বলার চেষ্টা করছেন, আমাদের দাবি মেনে নেওয়া হয়েছে। এটা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বক্তব্য। হামলাকারীরা স্পষ্ট এবং চিহ্নিত, কিন্তু তাদের বাদ দিয়ে অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করা হয়েছে। রক্তাক্ত কুয়েট প্রদর্শনীতে অস্ত্রধারীদের নাম পরিচয়, ছবি বিস্তারিত দেওয়া হয়েছে। কুয়েটে ছাত্রদল সমর্থক ও বিএনপির লোকদের বিরুদ্ধে কোনো ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। আমাদের মনে হচ্ছে কুয়েট প্রশাসনেরই সমস্যা রয়েছে।”

এর আগে প্রধান উপদেষ্টার কাছে চিঠি পাঠান শিক্ষার্থীরা। চিঠিতে তারা উল্লেখ করেন, ২০২৪ সালের ১১ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯৩ তম (জরুরি) সিন্ডিকেট সভায় ক্যাম্পাসে সব ধরনের রাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত হয়। তা সত্বেও ছাত্রদল ক্যাম্পাসে রাজনীতি শুরু করতে চাইলে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েট শিক্ষার্থীরা ছাত্রদলের ফর্ম বিতরণের বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণ মিছিলের ডাক দেয়। কুয়েট ছাত্রদলের কর্মীরা হঠাৎ মিছিলে এসে ধাক্কা দিয়ে শিক্ষার্থীদের হুমকি দেয়। সেই প্রেক্ষিতে কুয়েট ছাত্রদল এবং শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তপ্ত পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে তারা স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর সন্ত্রাসী হামলা চালায়। হামলায় কুয়েটের শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হন। হামলা চলাকালীন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন আমাদের কোনো ধরনের নিরাপত্তা দিতে পারেনি। এই মর্মে আমরা সব শিক্ষার্থীরা ভিসি, প্রো-ভিসির পদত্যাগসহ ছয় দফা দাবি উত্থাপন করি। 

আল্টিমেটাম দেওয়ার পরেও আমাদের দাবি পূরণ না হওয়ায় নিম্নোক্ত কারণে ভিসির অপসারণ দাবি করা হচ্ছেঃ
রাজনীতিমুক্ত কুয়েট ক্যাম্পাসে অনুপ্রবেশে অপচেষ্টা জড়িত থাকা, ছাত্রদলের সন্ত্রাসী কর্তৃক আক্রমণ থেকে নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হওয়া, দেড়শতাধিক শিক্ষার্থীর আহত হওয়ার পরও ব্যর্থতার দায় নিতে অস্বীকার করা, যথাপযুক্ত প্রমাণ থাকা সত্বেও চিহ্নিত কুয়েট ছাত্রদল এবং স্থানীয় বিএনপি এবং এর অঙ্গসংগঠন কর্তৃক সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলাকে শিকার না করা এবং ভিসি’র কাছে উক্ত হামলার পরিপ্রেক্ষিতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে প্রদানকৃত ৬ দফা দাবি পূরণের পর্যাপ্ত সময় দেওয়ার পরও দাবি সম্পূর্ণরূপে মেনে না নেওয়া।

ঢাকা/সূরুজ্জামান/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ছ ত রদল আম দ র ব এনপ

এছাড়াও পড়ুন:

অদ্বিতীয়া বৃত্তি আমার জন্য বড় আশীর্বাদ

অহনা বাড়াইক, শ্রীমঙ্গল, মৌলভীবাজার, সিলেট

আমার বাবা একজন ট্যুরিস্ট জিপচালক। কাজটা যেহেতু মৌসুমের ওপর নির্ভর করে, তাই সারা বছর আয় একই রকম থাকে না। পরিবারের ভরণপোষণ, খরচ চালাতে তাঁর বেশ কষ্ট হয়। আমি ও আমার ছোট বোন দুজনই পড়ালেখা করছি। আমাদের শিক্ষার খরচ মেটানোও বাবার জন্য একটা বড় চ্যালেঞ্জ। তাই আমরা দুজন ভবিষ্যতে ভালো কিছু করার স্বপ্ন নিয়ে কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছি।

বিশ্ববিদ্যালয়ে আসার পথে আমাকে অনেক সংগ্রাম ও প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে। আগে নার্সিংয়ে ভর্তি হয়েছিলাম। কিন্তু সেই পড়ার খরচ জোটানো বাবার জন্য দিন দিন কঠিন হয়ে পড়েছিল। বাধ্য হয়েই নার্সিং পড়া ছেড়ে দিই। প্রায় তিন মাস বাড়িতে বসে ছিলাম। ভেবেছিলাম, পড়ালেখাটা হয়তো আর হবে না। এমন সময় একদিন এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেনের একটি বিজ্ঞপ্তি চোখে পড়ে। সিদ্ধান্ত নিই, একবার চেষ্টা করে দেখব। সুযোগ পেয়ে যাওয়ার পর পড়াশোনা শুরু করি নতুন উদ্যমে।

‘অদ্বিতীয়া’ বৃত্তি আমার জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। উচ্চশিক্ষার পথে এটুকু সমর্থন আমার খুব প্রয়োজন ছিল। আমার হাতখরচ, বোনের পড়ালেখার খরচ—দুটো সামাল দিতে বাবাকে এখনো হিমশিম খেতে হয়। যে লড়াই আমরা পুরো পরিবার মিলে করছি, আশা করি শেষ পর্যন্ত এর সুফল পাব।

চা-শ্রমিক সম্প্রদায়ের জন্য কিছু করতে চাই নাজিয়া আক্তার

সম্পর্কিত নিবন্ধ