মেসি–ঝলকে বাঁচল প্রায় ৮০ মিনিট ১০ জন নিয়ে খেলা মায়ামি
Published: 23rd, February 2025 GMT
নির্ধারিত ৯০ মিনিট পেরিয়ে গেছে আগেই। রেফারির দেওয়া যোগ করা ১১ মিনিটের ৯ মিনিটও শেষ। নিউইয়র্ক সিটির বিপক্ষে ২-১ গোলে পিছিয়ে ইন্টার মায়ামি। তবে কি হার দিয়েই মেজর লিগ সকারের (এমএলএস) নতুন মৌসুম শুরু করতে যাচ্ছে লিওনেল মেসির ইন্টার মায়ামি! এমন শঙ্কায় যখন মেসি ও মায়ামির ভক্তরা, আর্জেন্টাইন জাদুকর জাদুর বাক্স খুললেন আরেকবার। মেসির বাঁ পায়ে জাদুতে খুলে গেল গোলের দরজা। আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়কের পাস থেকে গোল করে সমতা ফেরালেন তালেকসকো সেগোভিয়া।
আর তাতেই ২৩ মিনিটেই ১০ জনের দল হয়ে যাওয়া ইন্টার মায়ামি ২-২ গোলে ড্র করে শুরু করল মৌসুম। মায়ামির প্রথম গোলটাও মেসিরই বানিয়ে দেওয়া। ম্যাচ শুরুর ৫ মিনিটের মাথায় নিউইয়র্কের পেনাল্টি বক্সে ঢুকে পড়া মেসি বাঁ পায়ে বল ঠেলে দেন তমাস আভিলেসের কাছে। ২১ বছর বয়সী আর্জেন্টাইন সেন্টারব্যাকের গোল করা ছাড়া কোনো উপায় ছিল না!
সেই আভিলেসই ১৮ মিনিট পর লাল কার্ড দেখে বিপদে ফেলে দেন দলকে। মায়ামি ১০ জনের দল হয়ে যাওয়ার ৩ মিনিট পরেই সমতা ফেরায় নিউইয়র্ক। মিতিয়া ইলেনিচের গোলে ১-১ করা দলটি এগিয়ে যায় ৫৫ মিনিটে। এবারের গোলদাতা আলোনসো মার্তিনেজ।
নিউইয়র্ক সিটি অগ্রগামিতা ধরেই রেখেই ম্যাচটা যখন প্রায় শেষ করে ফেলছিল, তখনই আবার মেসি-ঝলক। মাঝ মাঠের একটু ওপরে সেগোভিয়ার কাছ বল পাওয়া মেসি অনেকখানি দৌড়ে সামনে এগিয়ে গিয়ে ডিফেন্সচেরা এক পাস বাড়ান বক্সে ঢুকে পড়া সেই সেগোভিয়াকে। ভেনেজুয়েলান মিডফিল্ডার নিউইয়র্কের গোলরক্ষকের মাথার ওপর দিয়ে চিপ করে গোল করে সমতা আনেন।
আর তাতে মায়ামির কোচ হিসেবে এমএলএস অভিষেকে প্রথম ম্যাচে অন্তত একটি পয়েন্ট পেলেন হাভিয়ের মাচেরানো।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ন উইয়র ক
এছাড়াও পড়ুন:
ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থী খলিলকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিতাড়ন করা যেতে পারে বলে বিচারকের মত
যুক্তরাষ্ট্রে গ্রেপ্তার হওয়া ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থী মাহমুদ খলিলকে বিতাড়িত করা যেতে পারে বলে মত দিয়েছেন মার্কিন অভিবাসন আদালতের এক বিচারক। এর মধ্য দিয়ে এক মাস আগে নিউইয়র্ক নগর থেকে গ্রেপ্তার হওয়া কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এই শিক্ষার্থীকে বিতাড়িত করতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন তাদের তৎপরতা চালিয়ে যেতে পারবে।
লুইজিয়ানার লাসাল অভিবাসন আদালতের বিচারক জেমি কোমান্স গতকাল শুক্রবার এ মত দিয়েছেন। তাঁর এ সিদ্ধান্তই যে খলিলের চূড়ান্ত পরিণতি নির্ধারণ করে দিচ্ছে, তা নয়। তবে এটিকে রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের জন্য উল্লেখযোগ্য বিজয় হিসেবে দেখা হচ্ছে। কারণ, তিনি খলিলের মতো বৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী ফিলিস্তিনিপন্থী বিদেশি শিক্ষার্থীদের বিতাড়িত করার জন্য তৎপরতা চালাচ্ছেন।
১৯৫২ সালের ইমিগ্রেশন অ্যান্ড ন্যাশনালিটি অ্যাক্টকে উদ্ধৃত করে গত মাসে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্ক রুবিও বলেছিলেন, খলিল মার্কিন পররাষ্ট্রনীতি–সংক্রান্ত স্বার্থের ক্ষতি করতে পারেন এবং তাঁর বক্তব্য ও কর্মকাণ্ডের জন্য তাঁকে বিতাড়িত করা উচিত।
কোমান্স বলেছেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যকে অগ্রাহ্য করার এখতিয়ার তাঁর নেই। খলিলের আইনজীবীদের পক্ষ থেকে রুবিওকে তলব করার এবং ১৯৫২ সালের আইনের অধীন তাঁর নেওয়া সিদ্ধান্তের ‘যুক্তিসংগত কারণ’ সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করতে বিচারকের কাছে আবেদন করা হয়েছিল। তবে বিচারক তা প্রত্যাখ্যান করেছেন।
লুইজিয়ানার গ্রামীণ এলাকায় কাঁটাতারে ঘেরা একটি অভিবাসী আটককেন্দ্রের ভেতর বসা আদালতে ৯০ মিনিটের শুনানির পর বিচারক এমন সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন।
কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের নিউইয়র্ক নগর ক্যাম্পাস প্রাঙ্গণে ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভে বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন খলিল। সিরিয়ার একটি ফিলিস্তিনি শরণার্থীশিবিরে জন্মগ্রহণকারী খলিল আলজেরিয়ার নাগরিক। গত বছর যুক্তরাষ্ট্রের স্থায়ী বাসিন্দা হন তিনি। খলিলের স্ত্রী একজন মার্কিন নাগরিক।
গত ৮ মার্চ কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক ভবন থেকে খলিলকে গ্রেপ্তার করেন যুক্তরাষ্ট্রের ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্টের (আইসিই) কর্মকর্তারা। এরপর কেন্দ্রীয় কর্তৃপক্ষ তাঁকে প্রায় ১ হাজার ২০০ মাইল দূরে লুইজিয়ানার কারাগারে পাঠান। তখন থেকে তিনি সেখানেই আছেন।
বিচারক কোমান্স ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থী খলিলের আইনজীবীদের ২৩ এপ্রিল পর্যন্ত সময় দিয়েছেন।
আরও পড়ুনফিলিস্তিনপন্থী আন্দোলনের সংগঠক গ্রিনকার্ডধারী খলিলকে কি যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিতাড়ন করতে পারবেন ট্রাম্প১৩ মার্চ ২০২৫খলিলকে বিতাড়িত করার আদেশ দেবেন কি না, তা এখন বিবেচনা করবেন কোমান্স। তার আগে বিতাড়ন থেকে রেহাই পেতে আবেদন করার জন্য খলিলের আইনজীবীদের ২৩ এপ্রিল পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন তিনি। একজন অভিবাসীকে নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর পর তিনি নিপীড়নের শিকার হতে পারেন বলে আশঙ্কা করলে অভিবাসন আদালতের বিচারক তাঁকে বিতাড়িত না করার জন্য আদেশ দিতে পারেন।
নিউ জার্সিতে আলাদা এক মামলায় স্থানীয় আদালতের বিচারপতি মাইকেল ফারবিয়ার্জ শিক্ষার্থী খলিলকে বিতাড়নের চেষ্টা আটকে দিয়েছেন। খলিলকে গ্রেপ্তারের ঘটনাটি মার্কিন সংবিধানের প্রথম সংশোধনীর আওতায় দেওয়া বাক্স্বাধীনতার সুরক্ষাকে লঙ্ঘন করছে কি না, তা বিবেচনা করছেন তিনি।