চাকরিজীবী নারীরা ব্যাগে যা যা রাখতে পারেন
Published: 23rd, February 2025 GMT
চাকরিজীবী নারীদের প্রতিদিন সকালে অফিসে যেতে হয়। সারাদিন কাজ করে যখন তার ঘরে ফেরার যখন সময় হয় ততক্ষণে বিকাল হয়ে আসে। যেহেতু দীর্ঘ সময় ঘরের বাইরে থাকতে হয় সেহেতু এই সময়ের মধ্যে অনেক কিছুই প্রয়োজন হতে পারে। তবে সবকিছু ব্যাগে নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। আবার কিছু জিনিস সঙ্গে না রাখলেই নয়। একজন চাকরিজীবী নারী ব্যাগে কি কি রাখবেন?— এক বাক্যে বলতে গেলে বলতে হবে এমন কিছু জিনিস রাখা জরুরি যেগুলো ব্যাগে না থাকলে আপনি কখনো কখনো অসুবিধায় পড়ে যেতে পারেন। চলুন তালিকাটি একবার মিলিয়ে নেওয়া যাক।
ওয়ালেট, ফোন, চার্জার: ফোন ব্যবহার করেন না এমন মানুষ এখন আর খুঁজে পাওয়া যায় না! বিশেষ করে কর্মজীবী নারীরা ঘরের বাইরে যাওয়ার আগে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জিনিসগুলোর মধ্যে টাকার ব্যাগ, ফোন এবং ফোনের চার্জার রাখতে ভুলে যাবেন না। মোটামুটি এই তিনটি জিনিস থাকলে যে কোনও সমস্যা মোকাবিলা সহজ হয়ে যায়। এ ছাড়া পাওয়ার ব্যাঙ্কও সঙ্গে রাখতে পারেন। এতে ফোনের ব্যাটারি শেষ হয়ে গেলেও বিশেষ চিন্তা থাকবে না।
স্যানিটারি ন্যাপকিন ও ওষুধ: নারীদের ব্যাগে থাকতে পারে স্যানিটারি ন্যাপকিন এবং প্রয়োজনীয় ওষুধ। ওষুধের মধ্যে ব্যাগে ব্যান্ড-এইড, প্যারাসিটামল, পেট খারাপের ওষুধ, দৈনন্দিন ওষুধ ও হ্যান্ড স্যানিটাইজ়ার রাখতে পারেন।
আরো পড়ুন:
‘শয়তানের নিশ্বাস’ বা ‘ডেভিলস ব্রেথ’ কতটা ভয়াবহ
টাকা হাতে আসলেই খরচ হয়ে যায়? ‘কাকিবো’ পদ্ধতিতে টাকা জমান
হেয়ারব্যান্ড ও চিরুনি: অধিকাংশ নারীই চুলের প্রতি যত্নশীল। চুলের যত্নে ব্যাগে চিরুনি, হেয়ারব্যান্ড, গার্ডার ইত্যাদি রাখতে পারেন। চুল এলোমেলো হয়ে এগুলো প্রয়োজন পড়বে।
মেকআপ: ব্যাগে রাখতে পারেন টুকিটারি মেকআপ সামগ্রী। যেমন— লিপস্টিক, লিপবাম, কমপ্যাক্ট পাউডার, অ্যান্টিসেপ্টিক ক্রিম, ছোট সানস্ক্রিন লোশন আর পারফিউম।
সেফটিপিন ও টিস্যু: সেফটিপিন কিংবা টিস্যু কত যে জরুরি তা কম-বেশি সব নারীই জানেন।
শুকনো খাবার: কর্মজীবী নারীদের ব্যাগে সব সময় থাকতে পারে কিছু শুকনো খাবার। ক্লান্তি কাটাতে পারে এমন খাবার সঙ্গে রাখা ভালো। যেমন— বাদাম, কিশমিশ, খেজুর ইত্যাদি।
অতিরিক্ত এক সেট চাবি: তাড়াহুড়ো করে ঘর থেকে বের হওয়ার সময় মনের ভুলে চাবি ঘরে রেখেই বের হয়ে যাওয়ার মতো ঘটনা ঘটতে পারে। তাই গাড়ির চাবি হোক অথবা ঘরের চাবি, অতিরিক্ত এক সেট চাবি ব্যাগে রেখে দিতে পারেন।
এসব ছাড়াও, ব্যাগে রুমাল, পানির বোতল, পরিচয়পত্র এবং সানগ্লাস রাখতে পারেন।
ঢাকা/লিপি
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
যুক্তরাষ্ট্রের টয়লেট পেপারেও বসতে পারে ইউরোপীয় ইউনিয়নের শুল্ক
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য আলোচনা সফল না হলে মার্কিন টয়লেট পেপার, সয়াবিন, চোখের প্রসাধনীসহ কয়েক শ পণ্যের ওপর পাল্টা শুল্ক আরোপ করার ঘোষণা দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন জোট।
গত সোমবার ২৭ দেশীয় জোটটি মার্কিন পণ্যের দীর্ঘ একটি তালিকা প্রকাশ করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চুক্তি না হলে এসব পণ্যের বেশির ভাগই ২৫ শতাংশ অতিরিক্ত শুল্কের আওতায় আসবে।
বেশ কয়েকটি বাণিজ্য সহযোগী দেশের ওপর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ব্যাপক শুল্ক আরোপকে কেন্দ্র করে শুরু হওয়া বাণিজ্যযুদ্ধের অংশ হিসেবে পাল্টা শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছে ইইউ। এ পাল্টাপাল্টি শুল্ক আরোপকে কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্র ও অন্য দেশের অর্থনীতি মন্দার মুখে পড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
চলতি মাসের শুরুতে ট্রাম্প বিভিন্ন দেশের পণ্যের ওপর আরোপিত পাল্টা শুল্ক ৯০ দিনের জন্য স্থগিত করেছেন। এরপর ইইউও যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যের ওপর তাদের আরোপিত পাল্টা শুল্ক ৯০ দিনের জন্য স্থগিত করে। ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়াম আমদানিতে ২৫ শতাংশ মার্কিন শুল্ক আরোপের পাল্টা হিসেবে গতকাল মঙ্গলবার থেকে ইইউ শুল্ক কার্যকর করার পরিকল্পনা করেছিল।
ইইউর নির্বাহী শাখা ইউরোপীয় কমিশন গত সোমবার এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘ইইউ-মার্কিন আলোচনার জন্য সময় দিতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন অযৌক্তিক মার্কিন বাণিজ্য শুল্কের বিরুদ্ধে তার পাল্টা শুল্ক স্থগিত করেছে। যদি আলোচনা সন্তোষজনক প্রমাণিত না হয়, তাহলে ইইউ পাল্টা ব্যবস্থা শুরু করবে।’
জুলাইয়ের মাঝামাঝি থেকে ইইউর তালিকায় থাকা ৪০০-এর মতো মার্কিন পণ্যের ওপর উচ্চ শুল্ক আরোপ করা হতে পারে। একই সময়ে কিংবা পরে আরও ১ হাজার ৩০০ পণ্যের ওপর অত্যধিক রকমের আমদানি কর আরোপ করা হতে পারে।
ইইউর তালিকা বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই যদিও সম্পূর্ণরূপে নয়, ব্লকে সবচেয়ে বড় মার্কিন রপ্তানিকে বাদ দেয়। যুক্তরাষ্ট্রের সরকারের ২০২৩ সালের তথ্যের ওপর ভিত্তি করে ইইউর এক হিসাবে দেখা গেছে, যুক্তরাষ্ট্র থেকে ইউরোপে রপ্তানি হওয়া শীর্ষ পাঁচটি পণ্য হল—তেল ও গ্যাস, ওষুধ, মহাকাশ পণ্য ও যন্ত্রাংশ, চিকিৎসা সরঞ্জাম এবং মোটরযান। তবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি রপ্তানির একটা বড় অংশই সয়াবিন।
ইইউর শুল্ক আরোপের সম্ভাব্য তালিকাটিতে মোটরসাইকেল ও সয়াবিনকে রাখা হয়েছে। দুই পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ করে শুল্ক আরোপ করা হতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের আরও যেসব উল্লেখযোগ্য পণ্যের ওপর ইইউর পাল্টা শুল্ক আরোপ হতে পারে, তার মধ্যে আছে—বাদাম ও তাজা ফল।
ইউরোপ থেকে আরও কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে।
ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়ামের ওপর উচ্চ শুল্ক আরোপের পাশাপাশি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইইউভুক্ত দেশগুলো থেকে গাড়ি এবং গাড়ির যন্ত্রাংশ আমদানির ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছেন। ইইউভুক্ত দেশগুলোর অন্য সব পণ্যের ওপর ২০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছেন তিনি। তবে পরে এ শুল্কের হার ৯০ দিনের জন্য কমিয়ে ১০ শতাংশ করা হয়েছে।