মেজর লিগ সকারের (এমএলএস) নতুন মৌসুম শুরু হচ্ছে আগামীকাল। নতুন মৌসুমের প্রথম দিনেই মাঠে নামছে লিওনেল মেসির ইন্টার মায়ামি। এর আগে কানসাসের চিলড্রেনস মার্সি পার্কে মাইনাস ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় বছরের প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমে আলোচনায় এসেছেন মেসি।

কনক্যাকাফ চ্যাম্পিয়নস কাপের ম্যাচটিতে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় গোল করে দলকে জিতিয়েই মাঠ ছেড়েছিলেন আর্জেন্টাইন মহাতারকা। এদিকে আজ থেকে মেসিরা শুরু করেছে এমএলএসের লড়াইও।

গত মৌসুমে এমএলএসের ইস্টার্ন কনফারেন্সে সাপোর্টাস শিল্ড জিতেছিল মেসির মায়ামি, কিন্তু জেতা হয়নি এমএলএস কাপের শিরোপা। এবার সেই অধরা শিরোপায় চোখ রেখেই নতুন মৌসুম শুরু করেছে দলটি।

আরও পড়ুনমাইনাস ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় মেসির গোলে জিতল মায়ামি২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

এর মধ্যে এমএলএসের নতুন মৌসুম শুরুর প্রাক্কালে এই লিগের সবচেয়ে দামি দলের নাম সামনে এসেছে ফোর্বস। তবে দামের এ তালিকায় শীর্ষে উঠতে ব্যর্থ হয়েছে মেসির মায়ামি। সবচেয়ে দামি স্কোয়াড বিবেচনায় সবার ওপরে জায়গা করে নিয়েছে লস অ্যাঞ্জেলেস ফুটবল ক্লাব (এলএএফসি)। ফোর্বসের প্রকাশিত বার্ষিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, এলএএফসির মূল্য ১২৫ কোটি ডলার। ক্লাবটির দাম আগের বছরের চেয়ে ৪ শতাংশ বেড়েছে। পাশাপাশি এই দাম লিগের ২৯ দলের মূল্যের গড়ের চেয়ে ৬৯ কোটি ডলার বেশি।

এমএলএসে সবচেয়ে দামি দল এলএএফসি.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: সবচ য়

এছাড়াও পড়ুন:

পোলট্রি খাতে বিদ্যুৎ বিল ২০ শতাংশ ছাড়ের দাবি

কৃষি শিল্পের মতো পোলট্রি খাতে বিদ্যুৎ বিলে ২০ শতাংশ ছাড় দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন খামারিরা। পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত খামারিরা সরকারের কাছে নগদ প্রণোদনা চেয়েছেন। 

মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর মিরপুর ডিওএইচএসে বাংলাদেশ পোলট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ এসোসিয়েশন (বিপিআইএ) আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে খামারিরা এ দাবি তুলে ধরেন।  

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বিপিআইএর সাধারণ সম্পাদক খন্দকার মো. মহসিন বলেন, বর্তমানে একটি ডিমের উৎপাদন খরচ প্রায় ১১.৬৪ টাকার কাছাকাছি। কিন্তু বাজারে বিক্রি করতে হচ্ছে ৯ টাকা ১০ পয়সায়। সে হিসাবে প্রতি ডিমে একজন ক্ষুদ্র ও মাঝারি খামারির লোকসান দাঁড়ায় ২.৫৪ টাকা। লোকসানে ডিম বিক্রি অব্যাহত থাকলে আগামী দিনে হাজার হাজার সাধারণ খামারি তাঁদের খামার বন্ধ করে দিতে বাধ্য হবেন। অনেক ছোট খামারি লোকসানের বোঝা টানতে না পেরে উৎপাদনে থাকা ডিম পাড়া মুরগি বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন। এতে রমজান পরবর্তী মাসগুলোতে ডিমের উৎপাদন ও যোগানের ভারসাম্য নষ্ট করবে। পোলট্রি ফার্মিং ও ডিম মুরগির বিপণনের সঙ্গে জড়িত গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর লাখ লাখ মানুষ বেকার হয়ে পড়বেন। অন্যদিকে ভোক্তা বেশি দামে ডিম ক্রয়ের ঝুঁকিতে পড়বেন। 

সংবাদ সম্মেলনে প্রান্তিক খামারিদের রক্ষায় কয়েকটি দাবি জানানো হয়। দাবি গুলোর মধ্যে রয়েছে- ক্ষতিগ্রস্ত খামারিদের জরুরি ভিত্তিতে নগদ আর্থিক প্রণোদনা, বিদ্যুৎ বিলে ২০ শতাংশ ছাড়, প্রতি রমজান মাসে ডিম সংরক্ষণ, ডিম-মুরগির যৌক্তিক দাম পুনঃনির্ধারণ ও জাতীয় পোলট্রি ডেভেলপমেন্ট বোর্ড গঠন করা।

বাংলাদেশ পোলট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ এসোসয়িশেনের সভাপতি শাহ হাবিবুল হকের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সিনিয়র সহ-সভাপতি খন্দকার মনির আহম্মেদ, প্রচার সম্পাদক তোফাজ্জাল হোসেন, পোলট্রি প্রোডাকশন এন্ড সাপ্লাই চেইন বিশেষজ্ঞ কৃষিবিদ অঞ্জন মজুমদার, পোলট্রি খামারি জাহিদ হোসেন জোর্য়াদার প্রমুখ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ