শেরপুরে মাইক্রোবাস চাপায় নিহত ২
Published: 23rd, February 2025 GMT
সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন
শেরপুর পৌর শহরে মোটরসাইকেল, অটোরিকশা ও পথচারীকে চাপা দেয় একটি মাইক্রোবাস। এতে দুইজন নিহত এবং ছয়জন আহত হয়েছে।
শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত ১টার দিকে অষ্টমীতলা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- শিশু রনি মিয়া ও গৌরব। দুজনের বাসা শেরপুর শহরেই। হতাহতরা সবাই শেরপুর শহরের নিউমার্কেটের কালার ডিজিটাল নামে একটি দোকানের মালিক এবং কর্মচারী।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, গতকাল দিবাগত রাত ১টার দিকে একটি দ্রুতগতির মাইক্রোবাস শেরপুর শহর থেকে জামালপুর যাওয়ার পথে অষ্টমীতলা নামক স্থানে প্রথমে একটি অটোরিকশাকে চাপা দেয়। পরে একটি মোটরসাইকেলকে চাপা দেয়। এরপর আরও একটি অটোরিকশাকে চাপা দেয়। এরপর পথচারীকেও চাপা দেয়।
এ ঘটনায় ঘটনাস্থলে শিশু রনির মৃত্যু হয় এবং আহতদের উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে গৌরব নামে আরেকজনের মৃত্যু হয়। শুভ নামে আরেকজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়েছে। দুর্ঘটনার পর মাইক্রোবাসের চালক পালিয়ে যায়। পাশাপাশি মাইক্রোবাসে থাকা যাত্রীরাও পালিয়ে যায়।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.
বিএইচ
উৎস: SunBD 24
কীওয়ার্ড: প র শহর
এছাড়াও পড়ুন:
ভিডিও বানাতে গিয়ে অনৈতিক সম্পর্ক, হত্যা করলেন স্বামীকে
ভারতের সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার রবিনার সঙ্গে সুরেশের দেড় বছর আগে ইনস্টাগ্রামে পরিচয় হয়। এরপর একসঙ্গে তাঁরা ভিডিও বানানো শুরু করেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রবিনার সময় কাটানো আসক্তির পর্যায়ে চলে যায়। এ নিয়ে প্রায়ই স্ত্রী রবিনার সঙ্গে প্রাভিনের ঝগড়া হতো। প্রাভিন সন্দেহ করতেন, সুরেশের সঙ্গে রবিনার অনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে।
গত ২৫ মার্চ প্রাভিন বাড়িতে ফিরে তাঁর সেই আশঙ্কার প্রমাণ পান। তিনি রবিনা ও সুরেশকে ঘনিষ্ঠ অবস্থায় দেখে নিজের ওপর নিয়ন্ত্রণ হারান। তাঁদের মধ্যে কথা–কাটাকাটি শুরু হয়। এ ঘটনার পর থেকে প্রাভিনের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। এর তিন দিন পর প্রাভিনের মরদেহ পাওয়া যায় বাড়ি থেকে প্রায় ছয় কিলোমিটার দূরের একটি নালায়।
ওই এলাকার সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায়, মোটরসাইকেলে তিনজন ছিলেন, কিন্তু ফেরার সময় তাঁদের মধ্যে একজন অনুপস্থিত। এরপর পুলিশ তাঁদের শনাক্ত করে। জিজ্ঞাসাবাদের পর রবিনা ও সুরেশ হত্যাকাণ্ডে নিজেদের দোষ স্বীকার করেন।
সুরেশ পুলিশকে জানিয়েছেন, ওই দিন রবিনা ভিডিও বানানো শেষে ভিওয়ানির প্রেমনগরে প্রাভিনের বাড়িতে যান। সুরেশ সেখানে রবিনার সঙ্গে দেখা করতে আসেন। প্রাভিন বাড়িতে ফিরে অন্তরঙ্গ অবস্থায় তাঁদের দেখতে পান। এ নিয়ে তাঁদের মধ্যে ঝগড়া হয়। এরপর প্রাভিনকে শ্বাস রোধ করে হত্যা করা হয়।
হত্যার পর সারা দিন রবিনা স্বাভাবিক আচরণ করেন। আত্মীয়রা জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, প্রাভিন কোথায় তা তিনি জানেন না। এরপর রাত নামার অপেক্ষা করেন রবিনা। রাতে সুরেশ মোটরসাইকেল নিয়ে এলে তাঁরা দুজন মিলে প্রাভিনের মরদেহ নিয়ে বেরিয়ে পড়েন।
২৬ মার্চ রাত সাড়ে ১২টার দিকে সুরেশ ও রবিনা মোটরসাইকেলের মাঝখানে প্রাভিনের মরদেহ বসিয়ে প্রায় ছয় কিলোমিটার দূরের একটি নালায় ফেলে দেন। তিন দিন পর পুলিশ সেই নালা থেকে প্রাভিনের মরদেহ উদ্ধার করে এবং তদন্ত শুরু হয়।