কুয়েট শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা: বিএনপি ও যুবদলের ৪ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার
Published: 23rd, February 2025 GMT
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় বিএনপি ও যুবদলের চার নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) রাতে পুলিশের পক্ষ থেকে এতথ্য জানানো হয়েছে। এর আগে, গত শুক্রবার তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়।
এদিকে, খুলনা মহানগর বিএনপির এক বিজ্ঞপ্তিতে তাদের দলীয় পরিচয় নিশ্চিত করে গ্রেপ্তারের নিন্দা জানানো হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- বিএনপি নেতা আবদুল করিম মোল্লা, যুবদল নেতা আনোয়ার হোসেন, ইব্রাহিম হাওলাদার ও বিএনপি সর্মথক শফিকুল।
আরো পড়ুন:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ‘বোমা’ হামলায় বিএনপি নেতা আহত
জমি নিয়ে বিরোধে চিত্রনায়িকা দিতির বাড়িতে হামলা, আহত ২
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা খানজাহান আলী থানার এস এস রিকাবুল ইসলাম বলেন, “সংঘর্ষের দিন পাঁচজনকে আটক করে পুলিশে হস্তান্তর করেছিল সেনা সদস্যরা। তাদের প্রিজন সেলে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল। শুক্রবার তাদের মধ্যে চারজনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।”
খুলনা মহানগর বিএনপির নিন্দা:
কুয়েটের মামলায় বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের হয়রানির ঘটনায় গভীর উদ্বেগ, নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে খুলনা মহানগর বিএনপি। এক বিবৃতিতে তারা জানায়, ইতোমধ্যে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের বক্তব্য, সংবাদমাধ্যমে আসা প্রতিবেদন ও ছবি, ভিডিও ফুটেজ পাওয়া প্রমাণের ভিত্তিতে দেশবাসী জানতে পেরেছে, খুলনা প্রযুক্তি ও প্রকৌশলী বিশ্ববিদ্যালয়-কুয়েটে যে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে তার সূত্রপাত গুপ্ত একটি ছাত্র সংগঠন ঘটিয়েছে।
ঘটনার সূত্রপাত রাহুল জাবেদ, ইফাজ ও ইউসুফ নামের তিনজন ছাত্রদল সমর্থকের ওপর অতর্কিত হামলার মধ্য দিয়ে। সেই ঘটনায় কুয়েট কর্তৃপক্ষ অজ্ঞাতনামা ৫ শতাধিক আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করলে পুলিশ কোনো ধরণের তদন্ত ছাড়াই বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের হয়রানি করছে। ইতোমধ্যে গুপ্ত ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীদের হামলায় মারাত্মক আহত খুলনা মেডিকেল কলেজে চিকিৎসাধীন বিএনপি নেতা আব্দুল করিম মোল্লা, যুবদল নেতা আনোয়ার হোসেন, ইব্রাহিম হাওলাদার ও বিএনপির সর্মথক শফিকুলকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে অসুস্থ অবস্থায় কারাগারে প্রেরণ করেছে। যা রীতিমতো নিন্দনীয় ও উদ্দেশ্য প্রনোদিত।
বিবৃতিদাতারা হলেন- বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল, তথ্যবিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, খুলনা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট শফিকুল আলম মনা, সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন।
ঢাকা/নূরুজ্জামান/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ র ন ত কর ম ব এনপ র স গঠন য বদল
এছাড়াও পড়ুন:
নারী কমিশন কর্তৃক প্রস্তাবনা প্রত্যাখান করতে মামুনুল হকের আল্টিমেটাম
আগামী ৩ তারিখের পূর্বে নারী কমিশন প্রস্তাবনা প্রত্যাখান করার আল্টিমেটাম জানিয়ে হেফাজত ইসলাম বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মুহাম্মদ মামুনুল হক বলেন, যদি এই প্রস্তাব প্রত্যাহার করা না হয় তাহলে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান থেকে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করতে বাধ্য হব।
আল্লাহর কুরআনের বিরুদ্ধে ইসলামকে কটাক্ষপূর্ণ এই ধরনের সুপারিশ করার দায়ে নারী কমিশনে থাকা প্রতিটি সদস্যের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি। কুরআন বিরোধী কোনো অপশক্তির ঠায় বাংলাদেশে হবে না।
শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) বিকেলে নারায়ণগঞ্জের চাষাঢ়াস্থ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জেলা হেফাজত ইসলামের উদ্যোগে আয়োজিত গণজমায়েতে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত থেকে তিনি এই আল্টিমেটাম দেন।
আগামী ৩ মে নারী কমিশন বাতিলের দাবীতে আয়োজিত মহাসমাবেশ সফল করার লক্ষ্যে এই গণজমায়েতের আয়োজন করা হয়।
মাওলানা মামুনুল হক বলেন, বাংলাদেশে স্বাধীনতা পরবর্তী এই সময়ে ব্যাপক সংস্কারের একটি পরিবেশ তৈরি হয়েছে। বিগত দিনে সংবিধানে অনেক সংশোধনী এসেছে কিন্তু কখনও সংবিধান সংস্কারের আওয়াজ উঠেনি।
জুলাই এবং আগস্ট বিপ্লবের দুই হাজার তাজা প্রাণের বিনিময়ে গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে এবং অন্তবর্তীকালিন সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এই সরকারের অন্যতম একটি মহতী উদ্যোগ হলো সংবিধান সহ বিভিন্ন ধরণের সংস্কার কার্যক্রম পরিচালনা করা।
তিনি বলেন, আমরা এই সকল সংস্কার কার্যক্রমকে শুরু থেকেই সাধুবাদ জানিয়েছি। ৬ টি সংস্কার কমিশন গঠন করা হয়েছে পাঁচটি সংস্কার কমিশনের প্রস্তবনাকে আমরা স্বাগত জানিয়েছি। এতে প্রতীয়মান হয় ফেফাজত ইসলাম বাংলাদেশ এবং দেশের আলেম সমাজ বাংলাদেশের বর্তমান সংস্কার কার্যক্রমের সবচেয়ে বড় সহযোগী শক্তি।
কিন্তু দুঃখের বিষয় বিগত ১৯ এপ্রিল নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশন যে প্রস্তাবনা উপস্থাপন করেছে, এটাকে আমরা স্বাগত জানাবো দূরের কথা বাংলাদেশের আলেম সমাজ বিস্মিত হয়েছি। আমরা এখন পর্যন্ত কল্পনা করতে পারছি না, আগস্ট বিপ্লব পরবর্তী সময়ে এ ধরণের কুরআন বিরোধী প্রদক্ষেপের প্রস্তাব উত্থাপিত হতে পারে।
তিনি আরও বলেন, তাদের প্রস্তাবনায় বাংলাদেশে নারীর প্রতি বৈষম্যের জন্য কুরআনের আইনকে এবং ইসলামের আইনকে বেশি দায়ী করেছে। অথচ সকল বৈষম্য দূর করে ইনসাফভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য কুরআন নাযিল হয়েছে। আমাদের ধর্মীয় বিশ্বাসের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করার ধৃষ্টতাবরদাশত করতে প্রস্তুত নই।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে হেফাজতে ইসলামের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব জুনায়েদ আল হাবিব বলেন, কিছুদিন আগে ড. ইউনুস আমাদের সাথে আদালতে হাজিরা দিয়েছেন। আজ তাকে পুলিশ বেষ্টনিতে পাহারা দেয়া হয়। আমরাই তাকে এখানে পৌঁছে দিয়েছি। পরিস্কার ভাষায় বলছি, এমন ফুঁ আমরা জানি আগামী ৩ তারিখের পর আপনাকে ইঁদুর বানিয়ে ছেড়ে দেয়া হবে।
নারায়ণগঞ্জ জেলা হেফাজত ইসলামের সভাপতি মুফতি মনির হোসাইন কাসেমীর সভাপতিত্বে এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা সহ-সভাপতি মাওলানা ফেরদাউসুর রহমান, মহানগর সভাপতি মুফতি হারুনুর রশিদ প্রমুখ।