বাবার মৃত্যুর পর হাল ধরেন আরমান হোসেন। তিন দশক ধরে মিরপুর ১০ নম্বরে পরিবারটি চালাচ্ছে ‘মা মণি জেনারেল স্টোর’। বৃহস্পতিবার ভোরে প্রাইভেটকারে এসে শাটার ভেঙে এটিসহ আশপাশের কয়েকটি দোকানের মালপত্র ও টাকা নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। দুর্ধর্ষ এ ঘটনার পর আরমানের ভাষ্য, পাশে বেনারসিপল্লি; গভীর রাত পর্যন্ত লোকে গমগম। এখানে এমন ঘটনা কল্পনাও করিনি। একই সময়ে তারা কয়েকটি বাসায় হানা দেয়। ঘরে-বাইরে কোথাও নিরাপদ নই। মুদি দোকানের ওপর তিনটি পরিবার নির্ভরশীল। লুণ্ঠিত মালপত্র, টাকা হয়তো পাব না। তবে এমন ঘটনার আর পুনরাবৃত্তি চাই না। মূলত পুলিশের নিষ্ক্রিয়তায় এসব হচ্ছে।

শুধু মিরপুর নয়, প্রতিদিনই দেশের বিভিন্ন এলাকায় অপরাধীদের বহুমাত্রিক তৎপরতার খবর মিলছে। জড়িতরা এতটা বেপরোয়া যে প্রকাশ্যে কুপিয়ে জখম করছে। কিছুই তোয়াক্কা করছে না। আবার দিনদুপুরে বাসে উঠে যাত্রীদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন, মানিব্যাগ, টাকা কেড়ে নিচ্ছে। চলন্ত বাসে অস্ত্র দেখিয়ে করছে নারীর শ্লীলতাহানিও।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চলমান ‘ডেভিল হান্টের’ মধ্যেই বেপরোয়া অপরাধীরা। শুক্রবার রাতে ঝিনাইদহের শৈলকুপায় তিনজনকে গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যার পর দায় স্বীকার করেছে চরমপন্থি সংগঠন। বিভিন্ন অঞ্চলে এ ধরনের তৎপরতা মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে কিনা, আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক মুহাম্মদ নুরুল হুদা বলেন, অভিযানের মধ্যেও অপরাধমূলক তৎপরতা ইঙ্গিত দেয় ততটা কার্যকরী অভিযান হচ্ছে না। অপরাধ প্রতিরোধে কাজ কম হচ্ছে। যদিও এ ধরনের ঘটনায় সাসপেন্ড, বদলির মতো প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিতে দেখছি।

অপরাধ বিশ্লেষক ড.

তৌহিদুল হক বলেন, অপারেশন ডেভিল হান্টের মধ্যেও বহুমাত্রিক অপরাধ দেখছি। অভিযান সামগ্রিকভাবে না হলে কাঙ্ক্ষিত ফল আসবে না। রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট গুরুত্ব না দিয়ে যারা অপরাধে জড়াবে, তাদেরই আইনের আওতায় আনতে হবে।

জানতে চাইলে পুলিশ সদরদপ্তরের মুখপাত্র এআইজি ইনামুল হক সাগর বলেন, পুলিশের রাতের টহল জোরদার হয়েছে। কৌশলগত স্থানে রয়েছে চেকপোস্ট। অপরাধীদের নিয়ন্ত্রণে নানা কৌশল ব্যবহার করা হচ্ছে।

ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (অপরাধ ও অপারেশন্স) এস এন মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম সমকালকে বলেন, চুরি, ছিনতাই, ডাকাতিসহ বিভিন্ন অপরাধ দমনে আমরা বেশ কিছু উদ্যোগ নিয়েছি। সামনে কিছু বিষয় দৃশ্যমান হবে। সব সংস্থা সমন্বিতভাবে অপারেশন চালাচ্ছে। ঢাকার মতো এত বড় শহরে তারপরও দু-চারটি ঘটনা ঘটতে পারে।
গতকাল শনিবার পুলিশ সদরদপ্তর জানায়, সারাদেশে ‘অপারেশন ডেভিল হান্টে’ গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৭৬৯ জন গ্রেপ্তার হয়েছে। এ নিয়ে গত ১৪ দিনে মোট গ্রেপ্তার হলো ৮ হাজার ৭৯ জন। অন্যান্য মামলা ও গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত আসামি গ্রেপ্তার হয়েছে ৫৭২ জন।

পুলিশ সদরদপ্তরের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, জুলাই আন্দোলনের সময় বিভিন্ন থানা ও ফাঁড়ি থেকে সব মিলিয়ে ৫ হাজার ৭৫০টি অস্ত্র লুট হয়। তার মধ্যে এখনও বেহাত ১ হাজার ৩৮৪টি। লুণ্ঠিত অনেক অস্ত্র পেশাদার অপরাধীদের হাতে গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

পুলিশের পরিসংখ্যান বিশ্লেষণে দেখা যায়, গত জানুয়ারিতে সারাদেশে হত্যাকাণ্ডের শিকার হন ২৯৪ জন। এ সময়ে ১৭১টি চুরি, ৭১ ডাকাতি, ১০৫ অপহরণ এবং নারী ও শিশু নিপীড়নের ঘটনা ঘটে ১ হাজার ৪৪০টি। গত বছর একই সময়ে হত্যার শিকার হন ২৩১ জন। ডাকাতি ২৯, চুরি ১৪১, অপহরণ ৪৩ এবং নারী ও শিশু নিপীড়নের ঘটনা ঘটে ১ হাজার ৪৩টি। গত বছরের জানুয়ারির তুলনায় এবার চুরি, ডাকাতি, খুনাখুনি, অপহরণ ও নারী নিপীড়নের ঘটনা বেড়েছে। যদিও অপরাধ বিশেষজ্ঞদের ভাষ্য, পুলিশের অপরাধ পরিসংখ্যান দিয়ে সমাজের প্রকৃত চিত্র বোঝানো কঠিন। কারণ, ঘটনার শিকার হয়ে অনেকে মামলা করতে চান না। আবার মামলা হলেও পুলিশ গড়িমসি করে।

পুলিশের দুই কর্মকর্তা সমকালকে জানান, বিভিন্ন বাহিনীর সঙ্গে আরও কার্যকর সমন্বয় রেখে অভিযান পরিচালনার বিষয়ে কাজ চলছে। এরই অংশ হিসেবে রোববার পুলিশ-র‍্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একাধিক ইউনিটের মধ্যে সমন্বয় সভা হওয়ার কথা।

সংশ্লিষ্টরা জানান, একের পর এক অপরাধমূলক তৎপরতার তথ্য পাওয়া গেলেও পুলিশের কারও কারও মধ্যে রয়েছে আত্মতুষ্টির ছাপ। কেবল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হলে সেটি নিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বেশি তৎপর হচ্ছে। ‘আলোচিত’ হওয়ার আগে ঘটনা ‘আমলে না নেওয়া’ বা ‘হালকা’ করে দেখার প্রবণতা রয়েছে অনেকের মধ্যে। এমনকি রাজধানীর অধিকাংশ থানায় নতুন মুখ হওয়ায় তারা এখনও এলাকাভিত্তিক অপরাধী এবং গোয়েন্দা তথ্য রাখার ক্ষেত্রে কাঙ্ক্ষিত জায়গায় যেতে পারেননি। জেল থেকে ছাড়া পেয়ে আবারও অনেককে বড় অপরাধে জড়াতে দেখা যাচ্ছে।

মুন্সীগঞ্জের সিরাজদীখানে স্বামীর কাছে ফেরার পথে অটোরিকশা থেকে নামিয়ে দলবদ্ধ ধর্ষণ করা হয় পোশাক কর্মীকে। শুক্রবার ওই নারী বাদী হয়ে পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

সম্প্রতি ঢাকা থেকে রাজশাহীগামী চলন্ত বাসে ডাকাতি ও দুই নারীকে শ্লীলতাহানির ঘটনায় তোলপাড় শুরু হয়। বৃহস্পতিবার রাজধানীর মালিবাগে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে আবু রায়হান ইভান নামে শিক্ষার্থী আহত হন। এ সময় তার কাছে থাকা ৪৫ হাজার টাকা ও একটি দামি মোবাইল ফোন নিয়ে যায় ছিনতাইকারীরা।

১৯ ফেব্রুয়ারি সকালে উত্তরায় ভিক্টর পরিবহনের একটি চলন্ত বাসে যাত্রীবেশী ৫-৬ যুবক অস্ত্র ঠেকিয়ে ছিনতাই করে। ১৭ ফেব্রুয়ারি রাতে উত্তরা ৭ নম্বর সেক্টরে এক নারী ও পুরুষকে রামদা দিয়ে কোপানোর ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।

১৮ ফেব্রুয়ারি রামপুরার বনশ্রী এলাকায় কাঁচাবাজার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে শ্রমিক দলের নেতা জুয়েলকে গুলি করে তারই দলের আরেক গ্রুপ। ১৩ ফেব্রুয়ারি ইস্কাটনের দিলু রোড এলাকায় ছিনতাইয়ের শিকার হন দুই রিকশাযাত্রী।

২০ জানুয়ারি বিকেলে পল্লবীর ১২ নম্বর সেকশনের সিরামিক রোডের বঙ্গবন্ধু কলেজের পাশে নতুন রাস্তার মুখে চাপাতি, সুইচ চাকু, ইট দিয়ে থেঁতলে হত্যা করা হয় বাবু নামে একজনকে। ওই এলাকায় দীর্ঘদিন থেকে বাবু ও সন্ত্রাসী মুসার দ্বন্দ্ব চলছিল। তারই জেরে মুসার লোকজন ডেকে নিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে বাবুকে। অভিযুক্ত মুসা সাবেক এমপি আউয়ালের অনুসারী। অবিভক্ত মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম টিপু হত্যা মামলার অন্যতম আসামি মুসা। টিপু হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে ওমানে পালিয়ে যাওয়া মুসাকে ফিরিয়েও আনে ডিবি পুলিশ। তার জবানবন্দিও গ্রহণ করা হয়। সম্প্রতি সে ওই হত্যা মামলায় জামিনে বের হয়ে বাবুকে হত্যা করে।

গত ২০ সেপ্টেম্বর মাদক কারবার ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে মোহাম্মদপুরে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। দুটি অপরাধী চক্রের সংঘর্ষে নাসির বিশ্বাস ও মুন্না হাওলাদার খুন হন। সংঘর্ষে জড়ানো অ্যালেক্স ইমন ও আরমানের অনুসারীরা চুরি-ছিনতাই, মাদক কারবারসহ নানা অপরাধে জড়িত। সম্প্রতি তারা জামিনে বেরিয়ে আবারও একই অপকর্মে জড়িয়েছে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ছ নত ই ন র ঘটন অপর ধ দ এল ক য়

এছাড়াও পড়ুন:

মারধর করে সাগরে ফেলে দেওয়া জেলের মরদেহ উদ্ধার

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার উপকূলে বালু তোলার প্রতিবাদ করায় মারধর করে সাগরে ফেলে দেওয়ার পাঁচ দিন পর রাম দাস নামে এক জেলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার সকালে সীতাকুণ্ড সমুদ্র এলাকা থেকে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করে কোস্টগার্ড। 

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পূর্ব জোন (চট্টগ্রাম) কোস্টগার্ডের কুমিরা ক্যাম্পের কমান্ডার শওকত আকবর। তিনি জানান, শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে সীতাকুণ্ড উপজেলার গুলিয়াখালী সি বিচ-সংলগ্ন সমুদ্র এলাকা থেকে এক জেলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়েছে। 

জানা গেছে, সীতাকুণ্ড উপকূলে অবৈধভাবে বালু তোলার প্রতিবাদ করায় গত ১৬ ফেব্রুয়ারি রাম দাসকে মারধর করে সাগরে ফেলে দেয় বালুদস্যুরা। এ সময় তাঁর ভাই লিটন দাসকে অপহরণ করে তারা। খবর পেয়ে আট ঘণ্টা পর নোয়াখালীর হাতিয়া দ্বীপ এলাকা থেকে লিটন দাসকে উদ্ধার ও ঘটনার সঙ্গে জড়িত ৬ জনকে গ্রেপ্তার করে নৌ-পুলিশ। 
জানা গেছে, চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ চ্যানেলে ৫টি স্থানে অবৈধভাবে ড্রেজার দিয়ে বালু তোলা হচ্ছে। আগে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতারা বালু উত্তোলন করলেও গত ৫ আগস্ট সরকারের পট পরিবর্তনের পর বিএনপি-জামায়াত নেতারা এর নিয়ন্ত্রণ নেয়। সাগর থেকে অবৈধ বালু উত্তোলনের ফলে ভাঙনের কবলে পড়ছে বেড়িবাঁধ। ড্রেজার দিয়ে বালু তোলা ও তা পরিবহনে বাল্কহেডের চলাচলের কারণে আশপাশের এলাকায় জেলেদের জালে তেমন মাছও পড়ছে না। 

সরেজমিন দেখা গেছে, উপজেলার সৈয়দপুর, মুরাদপুরের গুলিয়াখালী, বাড়বকুণ্ডের মাদারীতোলা, বাঁশবাড়িয়ার আকিলপুর, সোনাইছড়ি, কুমিরাসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের সমুদ্র উপকূলীয় এলাকার সন্দ্বীপ চ্যানেলে রাত-দিন ড্রেজার দিয়ে বালু তোলা হচ্ছে। গত কয়েক মাস যাবত টানা বালু উত্তোলন করা হলেও নীরব ভূমিকায় উপজেলা প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। এ নিয়ে ক্ষোভ জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

স্থানীয় জেলেপাড়ার সর্দার প্রদীপ দাস বলেন, চার মাস ধরে সাগর উপকূলে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকারীদের বেপরোয়াভাবে বালু তোলার ফলে জেলেরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। সাগরে বসানো জেলেদের জালগুলো তারা কেটে নিয়ে গেছে। দাদনদারদের কাছ থেকে চড়া সুদে ঋণ নিয়ে কেনা এসব জাল হারিয়ে পথে বসেছেন জেলেরা। হামলার শিকার হওয়া দুই জেলে সহোদরের দেড় লক্ষাধিক টাকার জাল কেটে দিয়েছে এসব বালুখেকো দুর্বৃত্তরা।

উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা কামাল উদ্দিন চৌধুরী বলেন, দীর্ঘদিন ধরে সীতাকুণ্ড উপকূলে সাগর থেকে বালু তোলা হচ্ছে। উপজেলার মাসিক আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় এ নিয়ে অভিযোগও করেছেন তিনি। কিন্তু বালু তোলা বন্ধ হয়নি।

চলতি বছরে এখন পর্যন্ত বাল্কহেড ও ড্রেজার মালিকদের বিরুদ্ধে ২০টি মামলা রুজু হয়েছে জানিয়ে কুমিরা নৌ-পুলিশের ইনচার্জ ওয়ালি উদ্দীন আকবর বলেন, এনভি নাবিল ফারহান নামক একটি বাল্কহেডের লোকজন জেলে লিটন দাসকে অপহরণের ঘটনায় জড়িত ছিল। এ ঘটনায় ৬ জনকে আটক করা হয়েছে। অপর জেলের মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফখরুল ইসলাম বলেন, সাগর থেকে অবৈধভাবে বালু তোলায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • গোপনে নির্বাচনী তৎপরতা, ফাঁস হওয়ায় সমালোচনা
  • চুরি-ছিনতাই-খুন প্রতিরোধে তৎপরতা বাড়িয়েছি: র‍্যাব ডিজি
  • চলন্ত বাসে ডাকাতির ঘটনায় বড়াইগ্রাম থানার ওসিকে প্রত্যাহার
  • অপারেশন ডেভিল হান্ট: আরো গ্রেপ্তার ৪৬১
  • মারধর করে সাগরে ফেলে দেওয়া জেলের মরদেহ উদ্ধার
  • ৫০ বছরের মধ্যে সর্বাধিক কর্মী ছাঁটাইয়ের পরিকল্পনা সিআইএর
  • নৌকাসহ ১৯ মাঝিমাল্লাকে অপহরণ করল আরাকান আর্মি
  • ট্রাম্প কি যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতিতে বদলের ইঙ্গিত দিচ্ছেন
  • নাফ নদী থেকে আবারও ১৯ জেলেকে অপহরণ করল আরাকান আর্মি