হোয়াইট হাউসের প্রেস সচিব ক্যারোলিন লেভিট বলেছেন, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার ক্ষমতার ওপর আত্মবিশ্বাসী। তিনি রাশিয়ার সঙ্গে একটি চুক্তিতে পৌঁছাতে পারবেন এবং ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান ঘটাতে পারবেন। তিন বছর ধরে চলমান এই যুদ্ধ এই সপ্তাহেই শেষ হতে পারে বলে শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) তিনি ইঙ্গিত দিয়েছেন।

লেভিট দক্ষিণ লনে সাংবাদিকদের বলেন, প্রেসিডেন্ট এবং তার দল এই যুদ্ধের উভয় পক্ষের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার দিকে অত্যন্ত মনোযোগী।

লেভিট আরও জানান, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ম্যাট ওয়াল্টজ এই সপ্তাহ শেষে একটি চুক্তির জন্য দিনরাত কাজ করছেন। ট্রেজারি সেক্রেটারি স্কট বেসেন্টও ইউক্রেনের সঙ্গে প্রাকৃতিক সম্পদের বিষয়ে একটি প্রস্তাবিত চুক্তি নিয়ে আলোচনা করছেন।

হোয়াইট হাউস প্রেস সচিব বলেন, গুরুত্বপূর্ণ খনিজসম্পদ নিয়ে আলোচনা প্রেসিডেন্টের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি আমেরিকান ট্যাক্সপেয়ারদের অর্থ ফেরত আনবে। এটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউক্রেনীয় জনগণের মধ্যে একটি দুর্দান্ত অর্থনৈতিক অংশীদারিত্বও গড়ে তুলবে কারণ তারা এই যুদ্ধের পর তাদের দেশ পুনর্গঠন করবে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও ঘোষণা করেন, এই উদ্যোগটি ২০০ মিলিয়ন ডলারের তহবিল আনবে এবং ইউক্রেনের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশগ্রহণ তৈরি করবে, যা কংগ্রেসের অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।

স্টেট ডিপার্টমেন্ট জানিয়েছে, যুদ্ধ শুরুর পর থেকে যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে ৬৫.

৯ বিলিয়ন ডলারের সামরিক সহায়তা প্রদান করেছে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ইউক র ন ইউক র ন

এছাড়াও পড়ুন:

এটিআই শিক্ষার্থীদের ৮ দফা দাবি বাস্তবায়নে এগোচ্ছে কৃষি মন্ত্রণালয়

এটিআই (কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট) শিক্ষার্থীদের ৮ দফা দাবি বাস্তবায়নে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে কৃষি মন্ত্রণালয়। বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার মোহাম্মদ জাকির হোসেন স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, চলমান আন্দোলনের প্রেক্ষিতে শিক্ষার্থীদের দাবির আলোকে গত ১৩ এপ্রিল মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে একটি বৈঠক হয়। কৃষি সচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান এতে সভাপতিত্ব করেন। বৈঠকে কৃষি মন্ত্রণালয় ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ছাড়াও আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ৬ জন প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকে যে ৮টি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়, তা বাস্তবায়নে ইতোমধ্যে মন্ত্রণালয় কাজ শুরু করেছে। সিদ্ধান্তগুলো নিম্নরূপ:

১. উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সুপারিশ: কৃষি ডিপ্লোমাধারীদের জন্য একটি স্বতন্ত্র উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপনের সুপারিশ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগে বৃহস্পতিবার পত্র প্রেরণ করা হয়।

২. দ্বিতীয় শ্রেণির মর্যাদার বিষয়: উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের ১০ম গ্রেড বা দ্বিতীয় শ্রেণির গেজেটেড মর্যাদা প্রদান সংক্রান্ত দাবির বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিধান অনুযায়ী প্রজ্ঞাপন জারির সুযোগ নেই। তবে নিয়মিত নিয়োগ প্রক্রিয়া বজায় রাখতে পাবলিক সার্ভিস কমিশনের সঙ্গে সচিব পর্যায়ে যোগাযোগ হয়েছে।

৩. শিক্ষক সংকট নিরসন: বিভিন্ন এটিআইতে ইতোমধ্যে প্রশিক্ষক পদায়ন করা হয়েছে এবং অল্প সময়ের মধ্যে অবশিষ্ট শূন্য পদগুলো পূরণে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

৪. কারিকুলাম সংক্রান্ত সমস্যা: কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সঙ্গে কারিকুলাম সংক্রান্ত কোনো সমস্যা থাকলে তা লিখিত আকারে জানালে প্রয়োজনীয় সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া হবে।

৫. গবেষণা প্রতিষ্ঠানে পদ সংরক্ষণ: কৃষি ডিপ্লোমাধারীদের জন্য কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠানে পদ সংরক্ষণের বিষয়টি আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া হবে।

৬. বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ন্যূনতম বেতন: বেসরকারি চাকরিতে ডিপ্লোমা কৃষিবিদদের ১০ম গ্রেডের সমপরিমাণ বেতন মন্ত্রণালয় প্রত্যাশা করে। তবে বেতন নির্ধারণের বিষয়টি মন্ত্রণালয়ের এখতিয়ারভুক্ত নয়।

৭. মাঠ সংযুক্তিতে ভাতা: ডিপ্লোমা শিক্ষার্থীদের মাঠ সংযুক্তি কার্যক্রমে ভাতা প্রদানের বিষয়ে অন্যান্য পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের অনুরূপ সুবিধা বিশ্লেষণ করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

৮. ফাউন্ডেশন কোর্স চালু: উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের জন্য দুই মাসব্যাপী ফাউন্ডেশন ট্রেনিং কোর্স চালুর বিষয়ে সিদ্ধান্ত ইতোমধ্যে গৃহীত হয়েছে এবং মডিউল প্রস্তুতের কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে।

এর আগে ১১ এপ্রিল আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের দাবির বিষয়ে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ও এটিআইয়ের অধ্যক্ষদের সঙ্গে অনলাইন সভা অনুষ্ঠিত হয়েছিল।

কৃষি মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবিগুলো বাস্তবায়নে সরকার আন্তরিক এবং ধাপে ধাপে সিদ্ধান্তগুলো কার্যকর করা হবে।

ঢাকা/আসাদ/এনএইচ

সম্পর্কিত নিবন্ধ