হামাসের হাতে আটক অবস্থায় ইসরায়েলের বিমান হামলায় নিহত শিরি বিবাসের মৃতদেহ নিয়ে সৃষ্ট সংকট কেটেছে। যুদ্ধবিরতির অংশ হিসেবে গত সপ্তাহে জিম্মির মরদেহ ফেরত দিলে তেল আবিব জানায়, এটা শিরির মৃতদেহ নয়। তারা যুদ্ধবিরতি ভেঙে হামলার হুঁশিয়ারি দেয়। হামাস জানায়, বিমান হামলার কারণে নিহত শিরিকে শনাক্ত করতে তারা সমস্যায় পড়ে। এ অবস্থায় শুক্রবার রাতে পাঠানো হয় আরেকটি দেহাবশেষ। সেটি যে শিরিরই, তা নিশ্চিত করেছে ইসরায়েল। এতে নতুন করে যুদ্ধ শুরুর শঙ্কা আপাতত কাটল।

গতকাল শনিবার আরও ছয় জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে হামাস। পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে ইসরায়েল তাদের কারাগারে থাকা ৬২০ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেয়। আলজাজিরা জানায়, আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে জিম্মিদের মুক্তি দেওয়া হয়। একটি ছবিতে দেখা যায়, মুক্ত এক ইসরায়েলি জিম্মি মঞ্চে হামাসের এক সদস্যের কপালে ‘কৃতজ্ঞতা’য় চুমু খাচ্ছেন। ছবিটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। জিম্মিদের হাস্যোজ্জ্বল দেখা যায়। আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা রেড ক্রসের কাছে তাদের হস্তান্তর করে হামাস। 

এদিকে অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বাহিনী দুই ফিলিস্তিনি শিশুকে গুলি করে হত্যা করেছে বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও বার্তা সংস্থা ওয়াফা। নিহতদের মধ্যে আয়মান নাসের আল হায়মুনির বয়স ১২ বছর। সে হেবরনের বাসিন্দা। অপরজন রিমাস আল আমুরির বয়স ১৩, তার বাড়ি জেনিনে। 

হেবরনের দক্ষিণে আত্মীয়ের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার সময় ইসরায়েলি বাহিনী আল-হায়মুনিকে পেটে গুলি করে হত্যা করে। জেনিনে আমুরিকে লক্ষ্য করে পাঁচটি গুলি চালায় ইসরায়েলি সেনারা। গুলিগুলো তার পিঠে লাগে। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ইসর য় ল ইসর য় ল

এছাড়াও পড়ুন:

গণঅভ্যুত্থানের সময় নিহত সুমাইয়ার বাড়িতে তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ

ছাত্রজনতার আন্দোলনে গত বছরের ২০ জুলাই নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের পাইনাদিতে ঘরের বারান্দায় দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান গার্মেন্টসকর্মী সুমাইয়ার আক্তার। তার পরিবার ও শিশু সুয়াইবার সঙ্গে ঈদুল ফিতরের দিন (সোমবার) দেখা করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য উপদেষ্টা  মাহফুজ আলম। তার সঙ্গে ছিলেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্যসচিব আব্দুলাহ আল আমিন, তামিম আহমেদ ও দক্ষিণাঞ্চলের সংগঠক শওকত জামিল। এ সময় উপদেষ্টা মাহফুজ আলম শহীদ সুমাইয়ার মায়ের হাতে ঈদ উপহার ও আর্থ সহায়তা করেন।

সিদ্ধিরগঞ্জের পাইনাদিতে গত বছরের জুলাই মাসে ছাত্রজনতার গণআন্দোলনে ঘরের বরান্দায় দাঁড়িয়ে থাকা গার্মেন্টর্কমী সুমাইয়া আক্তার (২০) গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছিলেন। মারা যাওয়ার সময় সুমাইয়া আড়াই মাস বয়সী একটি কন্যা সন্তান রেখে যান। মা হারা সেই সুয়াইবার প্রথম ঈদ কাটলো আজ। এখন সুয়াইবার বয়স প্রায় ১০ মাস।

সুয়াইবার বাবা জাহিদও তার কোনো খোঁজখবর নিচ্ছেন না বলে জানিয়েছেন সুমাইয়ার পরিবার। এজন্যই মা-বাবাহীন সুয়াইবার ঈদ কাটছে নানি-খালা-মামার স্নেহ ভালবাসায়। দেশব্যাপী ছাত্র-জনতা যখন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় কাঁচপুর থেকে সিদ্ধিরগঞ্জের পাইনাদিতে বাবা মায়ের কাছে বেড়াতে এসেছিলেন সুমাইয়া তার শিশু সুয়াইবাকে নিয়ে। আন্দোলনের সময় বাড়ির চার তলায় শিশু সুয়াইবাকে ঘুম পাড়িয়ে ২০ জুলাই বিকেলে বারান্দায় দাঁড়িয়ে আন্দোলনের দৃশ্য দেখছিলেন সুমাইয়া। হেলিকপ্টার থেকে ছোড়া একটি গুলি বারান্দার গ্রিল দিয়ে ঢুকে তার মাথায় বিদ্ধ হয়। এ সময় রক্তাক্ত অবস্থায় মেঝেতে লুটিয়ে পড়েন সুমাইয়া। তাৎক্ষণিক পরিবারের সদস্যরা তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলেও সড়কেই মৃত্যু হয় সুমাইয়ার।

সম্পর্কিত নিবন্ধ