ক্ষমতা পাকাপোক্ত করার ধারার অবসান ঘটাতে হবে
Published: 22nd, February 2025 GMT
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান হয়েছিল দেশের ক্ষমতার পালাবদলসহ বড় ধরনের আমূল পরিবর্তনের প্রত্যাশায়। যেখানে মৌলিক সংস্কার এবং নির্বাচন দুটো বিষয়ই ছিল। সবাই সারাক্ষণ অভ্যুত্থানের সাফল্যের পেছনে ছাত্র-জনতার কথা বললেও উপেক্ষিত থাকছে জনসাধারণ। সাধারণ মানুষই সংখ্যাগরিষ্ঠ, যাঁরা ভোটের মাধ্যমে নিজেদের মতামতের প্রতিফলন ঘটাতে পারেন। দেশের বিপুল এই জনগোষ্ঠীর মতকে বিবেচনায় না নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
গতকাল শনিবার রাজধানীর ব্র্যাক সেন্টার ইনে বাংলাদেশের রাজনৈতিক ব্যবস্থা নির্মাণবিষয়ক এক আলোচনায় বিশেষজ্ঞরা এমন মন্তব্য করেছেন। বেসরকারি গবেষণাপ্রতিষ্ঠান সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিংয়ের (সানেম) অষ্টম বার্ষিক সম্মেলনের ওই প্যানেল আলোচনায় বক্তারা বলেছেন, কোনো কোনো রাজনৈতিক দল এখনই নির্বাচন চায়, সংস্কার চায় না। অথচ গণ-অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা হলো সংস্কার এবং নির্বাচন উভয়ই হতে হবে। কাজেই ক্ষমতা পাকাপোক্ত করে রাখার ধারার অবসান ঘটিয়ে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় পরিবর্তন আনতে হবে।
সিপিডির চেয়ারম্যান অধ্যাপক রেহমান সোবহান বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বলেন, প্রধান দুই দলই এককভাবে শক্তিশালী নেতা দ্বারা পরিচালিত হয়েছে। প্রধান দলগুলোর অগণতান্ত্রিক রাজনৈতিক চর্চার মূল উৎস খুঁজতে গেলে দেখবেন, প্রত্যেকেরই ছিল শক্তিশালী পরিবারতান্ত্রিক নেতৃত্ব। পরিবারতান্ত্রিক নেতারা তাঁদের ক্ষমতার চর্চার বিষয়ে শক্তিশালী ছিলেন। এবং তাঁরা তাঁদের দলের অগণতান্ত্রিক চর্চায় অবদান রেখেছেন। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মধ্যে থেকেই দলগুলোর অগণতান্ত্রিক চর্চার সংস্কৃতির বিকাশ ঘটেছে। দলগুলোর নেতারা নিরঙ্কুশ ক্ষমতার চর্চা করেছেন। প্রধান দলগুলোকে কীভাবে গণতান্ত্রিক করা যাবে, সেটাই এখন মূল প্রশ্ন।
রেহমান সোবহান বলেন, দাবি আদায় করতে লোক জড়ো করা আর সহিংসতা এখন রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এখান থেকে বের হওয়ার পথ খুঁজতে পারে।
ছাত্রদের প্রতি ইঙ্গিত করে অধ্যাপক রেহমান সোবহান বলেন, ‘আপনারা নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করতে যাচ্ছেন। আপনারাই প্রথমবারের মতো তৃতীয় কোনো দল গঠন করার উদ্যোগ নিচ্ছেন। এখন আপনাদের দল গণতান্ত্রিক হয় কি না, সেটা দেখতে হবে। যখন নির্বাচনের মাধ্যমে প্রধান দলগুলোকে তাদের আসনগুলোতে চ্যালেঞ্জ জানাতে পারবেন, তখনই আপনারা শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হবেন।’
সিপিডির চেয়ারম্যান বলেন, রাজনীতি এখন টাকার ক্ষমতার কাছে কুক্ষিগত হয়ে গেছে। ফলে রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়ীর মাঝে বিভাজনরেখার বাস্তবে কোনো অস্তিত্ব নেই। অনেক বছর ধরেই রাজনীতিতে অংশগ্রহণ আর আদর্শিক নেই। আর্থিক সুবিধা পেতে হলে রাজনীতিতে যুক্ত হওয়াটা সবচেয়ে সহজ পথ। এই সমস্যা শুধু জাতীয় সংসদের প্রধান পদে নয়। এটা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য পর্যন্ত বিস্তৃত। সবারই ব্যবসায়িক স্বার্থ ছিল। আওয়ামী লীগ এখন মাঠে নেই। কিন্তু তাদের সেই শূন্যতা পূরণ হয়ে গেছে।
দাবি আদায় করতে লোক জড়ো করা আর সহিংসতা এখন রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এখান থেকে বের হওয়ার পথ খুঁজতে হবে।অধ্যাপক রেহমান সোবহান, চেয়ারম্যান, সিপিডি‘গণ-অভ্যুত্থান পরবর্তী গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক বন্দোবস্ত নির্মাণ: জনগণকে চালকের আসনে রাখা’ শীর্ষক প্যানেল আলোচনাটি সঞ্চালনা করেন গবেষণাপ্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মাননীয় ফেলো অধ্যাপক রওনক জাহান। আলোচনায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন গবেষণাপ্রতিষ্ঠান ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্ন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (বিআইজিডি) জ্যেষ্ঠ গবেষণা ফেলো মির্জা এম হাসান।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনের পর আলোচনার সূত্রপাত করতে গিয়ে অধ্যাপক রওনক জাহান বলেন, ‘আমরা সারাক্ষণই এখন বলছি ছাত্র-জনতা। কিন্তু তার বাইরে আরেকটা ক্যাটাগরি (শ্রেণি) রয়েছে। সেটা হলো জনসাধারণ। ছাত্ররা কী, তা আমরা বুঝি। আর জনতা বলতে রাজপথের রাজনীতিতে যারা থাকে। কিন্তু আমাদের দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ হচ্ছে জনসাধারণ। তারা সাইলেন্ট মেজরিটি। তারা অপেক্ষায় থাকে সেই নির্বাচনের দিনটার জন্য। গোপন ব্যালটের মারফতে তারা তাদের মতের প্রতিফলন ঘটাবে।’
জুলাই-আগস্টের পর মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করে রওনক জাহান বলেন, ‘এখন সবাই কথা বলতে পারছে। ভয়ের সংস্কৃতি নেই। আমাদের এটা বুঝতে হবে যে সবাই কথা বলছে, কেউ শুনছে না। কোনটা সত্যি আসলে? এত রকম ন্যারেটিভ বের হয়ে যাচ্ছে যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের যুগে আমরা চাচ্ছি যে সবারই স্বাধীনতা থাকুক এবং ভয়ের সংস্কৃতি না থাকুক। কিন্তু আমি শুনেছি যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ট্যাগিং আর এই সেই নানা কারণে লোকজন আসলে স্বাধীনভাবে কথা বলতে পারছে না। তাহলে আমরা সত্য কীভাবে প্রতিষ্ঠা করব। নানা কারণে নানা জিনিস সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এটা আমাকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখতে হবে।’
জুলাই অভ্যুত্থানকে অনেকেই বিপ্লব হিসেবে অভিহিত করে থাকেন।এটা যদি বিপ্লব হতো, তাহলে সংস্কার কমিশনের কোনো প্রয়োজন হতো না
অধ্যাপক আলী রীয়াজ, প্রধান, সংবিধান সংস্কার কমিশন।
সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, ‘আমরা এলিট রাজনৈতিক বন্দোবস্তের পরিবর্তন চাই। সংবিধান সংস্কার কমিশনের বিষয়ে যে সমালোচনা এসেছে, তার জবাবে বলতে চাই যে বিদ্যমান এলিট রাজনৈতিক বন্দোবস্তের বদলে নতুন একটি উদার গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া গড়ে তুলতে হবে এবং আমরা সেটাই করার চেষ্টা করছি। এর চেয়ে ভালো কী হতে পারত? হয়তো পারত। বিদ্যমান রাজনৈতিক ব্যবস্থাকে বিবেচনায় রেখে আমরা মনে করেছি এর চেয়ে ভালো কোনো সমাধান হতে পারে না।’
আলী রীয়াজ বলেন, ‘জুলাই অভ্যুত্থানকে অনেকেই বিপ্লব হিসেবে অভিহিত করে থাকেন। আমি তা মনে করি না। এটা যদি বিপ্লব হতো, তাহলে এসব সংস্কার কমিশনের কোনো প্রয়োজন হতো না। কাজেই আমরা পুরোনো রাজনৈতিক বন্দোবস্তের অধীনেই আছি। এ জন্যই বিএনপি গুরুত্বপূর্ণ। জামায়াত গুরুত্বপূর্ণ। এ জন্যই তাদের সঙ্গে আলোচনা হতে হবে। আলোচনা তাঁদের সঙ্গেও চালাতে হবে, যাঁরা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে আবির্ভূত হয়েছেন অর্থাৎ ছাত্ররা, যাঁরা নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করতে যাচ্ছেন।’
আইনজীবী ও মানবাধিকারকর্মী সারা হোসেন বলেন, ‘সংবিধান সংস্কার করতে হলে মৌলিক অধিকার কীভাবে যুগোপযোগী করা যায়, সেটা ভেবে দেখতে হবে। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় জনসাধারণের অংশগ্রহণের বিষয়ে, বিচার পাওয়ার বিষয়ে আমরা কতটা সোচ্চার হতে পেরেছি। যাঁরা হত্যার শিকার হয়েছেন, আহত হয়েছেন, তাঁদের ব্যাপারে কতটা সোচ্চার হতে পারছি। এ মুহূর্তেও আমরা দেখছি যে এই ইস্যুতে এক হওয়া যাচ্ছে না। এমনকি জাতিসংঘের প্রতিবেদন প্রকাশের পরও আমরা দেখছি যে এটা অস্বীকার করার নানা চেষ্টা হচ্ছে। এখানে জনগণের কণ্ঠ কতটা উচ্চকিত হবে, সেটা একটা পরীক্ষা আমাদের জন্য।’
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, ‘গণ-অভ্যুত্থানের সাড়ে ছয় মাস পর আমাদের সবার কি খোলামনে কথা বলার পরিবেশ আছে? নেই। ছাত্র-জনতার কথা বলছি। অনেক আলোচনা, এত গণতন্ত্রের কথা, সুদিনের কথা, কিছু একটা করলেই সমাধান আসবে। এসবের সঙ্গে কি আমরা জনসাধারণকে যুক্ত করছি?’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজের অধ্যাপক আসিফ এম শাহান আলোচনায় অংশ নিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোর কার্যক্রমকে জবাবদিহির আওতায় আনার প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন।
জাতীয় নাগরিক কমিটির সহ-আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার বলেন, অতীতের সরকারব্যবস্থায় মানুষের কথা শোনার কোনো ব্যবস্থা ছিল না। প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় এসেছিল, তারা সে প্রতিশ্রুতি রাখেনি। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের আগে সুষ্ঠু নির্বাচনই ছিল মানুষের প্রধান আকাঙ্ক্ষা। কিন্তু অভ্যুত্থানের পর মানুষের আকাঙ্ক্ষা শুধু নির্বাচনে আটকে নেই। কেবল ক্ষমতার পালাবদলের জন্য এ অভ্যুত্থান হয়নি।
বিএনপিসহ প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর দ্রুত নির্বাচন আয়োজনের দাবির বিষয়ে সারোয়ার তুষার বলেন, ‘আমরাও নির্বাচন চাই, তবে তারা সংস্কার চায় না। জনগণের মতামতকে গুরুত্ব দিতে হলে স্থানীয় সরকারব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এখন স্থানীয় সরকারব্যবস্থার নামে আছে স্থানীয় প্রশাসনব্যবস্থা। এর বদল করতে হবে।’
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র জন ত ক ব ছ ত র জনত হ ন বল ন ব যবস থ ক ষমত র দলগ ল র আম দ র মত র প সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
এস আলম দম্পতির বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
এক হাজার ৫৩৯ কোটি টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাইফুল আলম ও তাঁর স্ত্রী ফারজানা পারভীনের নামে আলাদা মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
গতকাল মঙ্গলবার দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ দুদকের সহকারী পরিচালক মাহমুদুল হাসান মামলা দুটি করেন। পরে কমিশনের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) আক্তার হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘সুনির্দিষ্ট তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে মামলা দুটি করা হয়েছে।’
গত বছরের ৫ আগস্ট ক্ষমতার পট পরিবর্তনের পর ২৪ আগস্ট ব্যবসায়ী সাইফুল আলমের অবৈধ সম্পদের অভিযোগ নিয়ে অনুসন্ধানে নামে দুদক।
মামলায় সাইফুল আলমের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়, ৭৯৬ কোটি ২৮ লাখ ৪৪ হাজার ৪২৪ টাকা মূল্যের সম্পদ অবৈধভাবে অর্জন করে ভোগদখল করে আসছেন তিনি। এজাহারে আরও বলা হয়, সাইফুল আলম ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান ছিলেন। ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১ অনুযায়ী কোনো ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান একজন পাবলিক সার্ভেন্ট। আয়কর নথি অনুযায়ী করবর্ষ ২০১০-১২ এর রিটার্ন দাখিলের আগ পর্যন্ত তাঁর আগের সঞ্চয় ছিল ৯৭ কোটি ৩৯ লাখ ৮৯ হাজার ৭ টাকা।
২০১১-১২ থেকে ২০২৩-২০২৪ করবর্ষ পর্যন্ত অতীত সঞ্চয়সহ সাইফুল ইসলামের গ্রহণযোগ্য আয় ২৫৬ কোটি ৩৫ লাখ ৫৬ হাজার ৯৭৫ টাকা। এ সময় তাঁর মোট ব্যয় ৯৭ কোটি ৩২ লাখ ৭ হাজার ৯৪০ টাকা।
অনুসন্ধানে দুদক দেখতে পেয়েছে, সাইফুল আলম ৯৫৫ কোটি ৩১ লাখ ৯৩ হাজার ৪৫৯ টাকার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ অর্জন করেছেন। ব্যয়সহ তাঁর মোট সম্পদের পরিমাণ ১ হাজার ৫২ কোটি ৬৪ লাখ ১ হাজার ৩৯৯ টাকা। গ্রহণযোগ্য আয় বাদ দিলে তাঁর জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদের পরিমাণ ৭৯৬ কোটি ২৮ লাখ ৪৪ হাজার ৪২৪ টাকা।
অন্যদিকে, সাইফুল আলমের স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলায় অভিযোগ, তিনি ৭৪৩ কোটি ৫৭ লাখ ১ হাজার ৪৫৩ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন। দুদকের অনুসন্ধানে দেখা যায়, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের পরিচালক ফারজানার স্থাবর-অস্থাবর, ব্যয়সহ মোট সম্পদের পরিমাণ ৭৫৯ কোটি ৮৭ লাখ ৭৭ হাজার ১৩ টাকা। তাঁর অতীত সঞ্চয়সহ গ্রহণযোগ্য আয় ১৬ কোটি ৩০ লাখ ৭৫ হাজার ৫৬৫ টাকা। বাকি ৭৪৩ কোটি ৫৭ লাখ ১ হাজার ৪৫৩ টাকার সম্পদের বৈধ কোনো উৎস নেই, যা তাঁর জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।
এজাহারে আরও বলা হয়, সাইফুল আলম ও তাঁর স্ত্রীর নামে ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় সম্পদ রয়েছে। সিঙ্গাপুর, সাইপ্রাস, ব্রিটিশ ভার্জিনিয়া আইল্যান্ডসহ অন্যান্য দেশেও স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের তথ্য পাওয়া গেছে। তবে আয়কর নথিতে তা অন্তর্ভুক্ত না থাকায় এ সম্পদকে পাচার বলছে দুদক। বিদেশে সম্পদের বিস্তারিত তথ্য পাওয়ার ওপর নির্ভর করে মামলার তদন্তে তা যুক্ত করা হবে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।