Samakal:
2025-02-23@05:54:05 GMT

চাল কিনতে ভিড়, আটা বরাদ্দ দাবি

Published: 22nd, February 2025 GMT

চাল কিনতে ভিড়, আটা বরাদ্দ দাবি

ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা পৌরসভার দুটি ডিলার পয়েন্টে দীর্ঘ সারিতে দাঁড়িয়ে ওএমএসের চাল কিনছেন ক্রেতারা। তারা দীর্ঘদিন ধরে আটার দাবি জানিয়েও না পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
গত বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পৌরসভার বাঁকাইলে ও দুপুরে মিঠাপুর এলাকায় ডিলার পয়েন্ট ঘুরে দেখা যায়, ক্রেতারা চাল কেনার আশায় জটলা পাকিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন। বরাদ্দের থেকে চাহিদা অনেক বেশি বলে জানিয়েছেন ডিলাররা। চালের পাশাপাশি আটা না থাকায় স্থানীয়রা হতাশ ও ক্ষুব্ধ। তারা আটা বরাদ্দর জন্য সরকারের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন।
চাল কিনতে আসা বাঁকাইল গ্রামের রাজমিস্ত্রি কামরুল ইসলাম বলেন, তিনি বেশ কিছু দিন ধরে এখান থেকে ৩০ টাকা কেজি দরে ৫ কেজি করে চাল কেনেন। চালের মান বেশি ভালো না। ভাত খেতে অনেক কষ্ট হয়। তবু তারা নিরুপায়। কেননা মোটা চাল বাজারে ৫০ থেকে ৫৫ টাকা কেজি।
একই গ্রামের বাসিন্দা ভ্যানচালক মনির হোসেনের স্ত্রী রিনিয়া বেগম বলেন, তাঁর স্বামীর আগের মতো উপার্জন নেই। স্থানীয় এনজিওর ঋণের কিস্তি প্রতি সপ্তাহে পরিশোধ করতে হয়।  বেশি টাকায় চাল কিনতে গেলে সংসার চালানোই দায় হয়ে পড়ে। গত বছর আটা পেয়েছিলেন। আটার মান খারাপ হলেও খেতে সমস্যা হয় না। মোটা চালের ভাত খেতে কষ্ট হয়। তিনি সরকারের কাছে চালের পাশাপাশি আটা বরাদ্দের দাবি জানান।
মিঠাপুর গ্রামের দিনমজুর মহব্বত আলী দুপুর পৌনে ২টার দিকে ডিলার পয়েন্টে আসায় খালি হাতে ফিরতে হয়েছে। তিনি আসার আগেই চাল শেষ হয়ে যায়। শুক্র ও শনিবার সরকারি ছুটির দিন চাল দেওয়া হয় না। তাই তাঁকে (আজ) রোববার আসতে বলা হয়েছে। 
পৌরসভার বাসিন্দা নাছির মিয়া, বাশার শেখসহ একাধিক ব্যক্তি জানান, আলফাডাঙ্গা পৌরসভার বাকি ৬টি ইউনিয়নে ওএমএসের চাল বিক্রি না করায় বাইরের লোকও এসব ডিলার পয়েন্ট থেকে চাল সংগ্রহ করেন। ফলে এসব পয়েন্টে অনেককেই চাল না পেয়ে ফিরে যেতে হয়। এসব ডিলার পয়েন্টে একসময় আটা বিক্রি হতো। এক বছর হলো কোনো আটা বরাদ্দ নেই। সব ক’টি ইউনিয়নে ওএমএসের ন্যায্যমূল্যে চাল ও আটা বিক্রয় কার্যক্রম চালুর দাবি জানান তারা।
প্রতিটি ইউনিয়ন ও পৌরসভায় ওএমএসের পাশাপাশি টিসিবির কার্যক্রমের বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিও জানান স্থানীয়রা।
বাঁকাইল এলাকার ডিলার আনন্দ কুমার কুণ্ডু জানান, সরকার থেকে প্রতিদিন দেড় টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়। অল্প সময়ের মধ্যে সেই চাল শেষ হয়ে যায়। অনেকেই খালি হাতে ফিরে যান। প্রায় সবাই আটা চান। বরাদ্দ না থাকায় আটা দিতে পারেন না বলে জানান তিনি। 
আলফাডাঙ্গা খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সানাউল্লাহ সানি জানান, পৌরসভার তিনটি ডিলার পয়েন্ট থাকার কথা থাকলেও একটি বন্ধ রয়েছে। অল্প সময়ের মধ্যে বাকি ডিলার পয়েন্ট চালু করা হবে। এখন ডিলারদের প্রতিদিন দেড় টন চাল সরবরাহ করা হচ্ছে। ইউনিয়নে খাদ্যবান্ধব চাল সরবরাহ করা হয় বছরে পাঁচ মাস। মার্চ-এপ্রিল, সেপ্টেম্বর, অক্টোবর ও নভেম্বর মাসে এর কার্যক্রম চলে। আলফাডাঙ্গা পৌরসভায় প্রায় সাড়ে ৫ হাজার কার্ডধারী উপকারাভোগী রয়েছে। আটা বরাদ্দ নেই। বরাদ্দ এলে সব ডিলার পয়েন্টে আটা সরবরাহ করা হবে বলে জানান তিনি।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ওএমএস র চ ল আলফ ড ঙ গ ওএমএস র প রসভ র বর দ দ সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

ভারত থেকে ৫০ হাজার টন চাল আমদানি করা হচ্ছে

প্রতিবেশী ভারত থেকে ৫০ হাজার টন নন-বাসমতি সেদ্ধ চাল আমদানি করা হচ্ছে। সচিবালয়ে আজ বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে এ চাল আমদানির প্রস্তাব অনুমোদিত হয়েছে। অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।

বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, খাদ্য অধিদপ্তরের ডাকা আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্রে অংশ নিয়ে চাল সরবরাহের কাজটি পেয়েছে ভারতীয় কোম্পানি বাগাদিয়া ব্রাদার্স প্রাইভেট লিমিটেড। প্রতি টন চালের দাম পড়বে ৪৩৪ দশমিক ৫৫ মার্কিন ডলার। শুল্ক-কর ছাড়া বাংলাদেশি মুদ্রায় এই চাল আমদানিতে ব্যয় হবে ২৬৫ কোটি ৮ লাখ টাকা।

চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে রাষ্ট্রীয় জরুরি প্রয়োজনে ও জনস্বার্থে আন্তর্জাতিক উৎস থেকে ৬ লাখ টন চাল আমদানির জন্য অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি যে অনুমোদন দেয় তার অংশ হিসেবেই এ চাল আমদানি হচ্ছে।

ক্রয় কমিটির প্রতিটি বৈঠকেই চাল আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে, দেশের খাদ্য পরিস্থিতি আসলে কেমন, বৈঠক শেষে এমন প্রশ্ন করা হয় অর্থ উপদেষ্টাকে। জবাবে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, এখন খাদ্য পরিস্থিতি খারাপ না। একজন মানুষের বাজেটে অনেক ধরনের খাদ্যপণ্য থাকে। সেখানে একটা কমবে, একটা বাড়বে। মোটাদাগে তা সহনীয় পর্যায়ে আছে।

পাঁচ সপ্তাহ আগের তুলনায় ভারতীয় চালের দাম একটু কমেছে। গত ১৬ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত ক্রয় কমিটির বৈঠকে ৫০ হাজার টন নন-বাসমতি সেদ্ধ চাল আমদানির একটি প্রস্তাব অনুমোদিত হয়েছিল। তখন চাল সরবরাহের কাজ পেয়েছিল ভারতের গুরুদিও এক্সপোর্টস করপোরেশন। প্রতি টনের দাম ছিল ৪৫৪ দশমিক ১৪ মার্কিন ডলার। তাতে ৫০ হাজার টন চাল আমদানিতে ব্যয় ধরা হয়েছিল ২ কোটি ২৭ লাখ ৭ হাজার ডলার, যা বাংলাদেশের প্রায় ২৭৭ কোটি টাকা।

তবে ১১ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত ক্রয় কমিটির বৈঠকে সিঙ্গাপুর থেকে যে ৫০ হাজার টন নন-বাসমতি সেদ্ধ চাল আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছিল, তাতে ব্যয় ধরা হয় ২৬৫ কোটি ২১ লাখ টাকা, যা সরবরাহ করবে সিঙ্গাপুরের অ্যাগ্রো কর্প ইন্টারন্যাশনাল পিটিই, এলটিডি। তখন প্রতি টন চাল ৪৩৪ দশমিক ৭৭ মার্কিন ডলার দরে কেনার প্রস্তাব অনুমোদিত হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • এক টাকায় পাঁচ লিটার বিশুদ্ধ পানি, বর্জ্য থেকে হবে বিদ্যুৎ-সার
  • উচ্চ রক্তচাপ মোকাবিলায় বাজেট বৃদ্ধি জরুরি
  • চাল সংগ্রহে ব্যর্থ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে খাদ্য অধিদপ্তর
  • ‘দুই মাস ধরি টিসিবির ট্রাক আইসে না’
  • আসন্ন রমজানে গ্রাহকদের দুশ্চিন্তা
  • প্রাথমিক ও মাধ্যমিকে সাত কোটি বই এখনো ছাপা হয়নি
  • চিনি, তেল, ছোলাসহ রোজার ৯ পণ্যের আমদানি বেড়েছে
  • বোতলজাত সয়াবিনের সংকট কাটেনি বাজারে
  • ভারত থেকে ৫০ হাজার টন চাল আমদানি করা হচ্ছে