রাজধানীতে পৃথক দুর্ঘটনায় ব্যাংক কর্মকর্তাসহ দুজন নিহত
Published: 22nd, February 2025 GMT
রাজধানীতে পৃথক দুর্ঘটনায় বেসরকারি ব্যাংকের একজন কর্মকর্তাসহ দুজন নিহত হয়েছেন। শনিবার বিকেলে উত্তরা ও সন্ধ্যায় তেজগাঁও এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
উত্তরায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ব্যক্তির নাম ইব্রাহীম (৪০)। তিনি বেসরকারি সিটি ব্যাংকের কর্মকর্তা ছিলেন। ময়নাতদন্তের জন্য তাঁর মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মো.
দুর্ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী আজমান আবদুল্লাহ প্রথম আলোকে বলেন, শনিবার বিকেলে উত্তরার রাজলক্ষ্মী মার্কেটের সামনে রাস্তা পার হচ্ছিলেন ইব্রাহীম। এ সময় একটি পিকআপ ভ্যান তাঁকে ধাক্কা দেয়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ইব্রাহীম সিটি ব্যাংকের তেজগাঁও শাখায় কর্মরত ছিলেন। তাঁর ছোট ভাই রাফিজ খান প্রথম আলোকে বলেন, অফিস ছুটি থাকলেও তাঁর ভাই একটি কাজে বাসা থেকে বের হয়েছিলেন। তাঁদের বাড়ি ভোলা জেলায়। তাঁর দুই মেয়ে রয়েছে।
অপর দিকে রাজধানীর তেজগাঁও এলাকার তেজকুনি পাড়ায় নির্মাণাধীন ভবন থেকে ইট পড়ে আকতার হোসেন (৫২) নামের এক ব্যক্তি নিহত হন। শনিবার সন্ধ্যা ছয়টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। ময়নাতদন্তের জন্য আকতারের মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
নিহতের ভাগনে আফসার হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর মামা নামাজ পড়তে বের হয়েছিলেন। এ সময় নির্মাণাধীন ভবন থেকে তাঁর মাথায় ইট পড়ে। তাঁকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: দ র ঘটন
এছাড়াও পড়ুন:
বড় ভাইয়ের হাতুড়ির আঘাতে ছোট ভাইয়ের মৃত্যু
পাবনার ঈশ্বরদীতে বড় ভাই মনিরুল ইসলাম সরদারের হাতুড়ির আঘাতে ছোট ভাই জিপু সরদারের নিহতের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বৃহস্পতিবার উপজেলার লক্ষীকুন্ডা ইউনিয়নের লক্ষীকুন্ডা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার একদিন পরও এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়নি।
নিহত জিপু সরদার (৩০) ও আহত মনিরুল ইসলাম সরদার (৩৮) ওই গ্রামের রিকাত আলী সরদারের দুই ছেলে।
ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম শহিদ এ ঘটনা নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, পারিবারিক বিভিন্ন বিরোধ, বাড়ির সীমানা ও জমিজমা নিয়ে প্রায়ই দুই ভাইয়ের মধ্যে ঝগড়া বিবাদ লাগতো। আগের ঝগড়ার জের ধরে বৃহস্পতিবার তাদের মধ্যে আবার ঝগড়া বাধে। ঝগড়া থেকে মারামারির এক পর্যায়ে বড় ভাই মনিরুলকে আঘাত করে জিপু, পরে জিপুর মাথায় হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করে মনিরুল। এতে দুজনই গুরুতর আহত হয়। মুমূর্ষু অবস্থায় দুই ভাইকে একই অ্যাম্বুলেন্সে করে রাজশাহীতে নেওয়ার পথে জিপু মারা যায়।
আহত বড় ভাই মনিরুলকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
নিহত ও আহত দুই ভাইয়ের বাবা রিকাত আলী সরদার বলেন, দুজনই আমার সন্তান। দুজনের মধ্যে আগে থেকেই বনিবনা ছিল না। কিন্তু এভাবে একজন আরেক জনকে হত্যা করবে তা আমি মেনে নিতে পারছি না। আমি কী করবো তাও ভেবে পাচ্ছি না। এদিকে আহত বড় ভাই মনিরুল ইসলাম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় থাকাকালে তার ছোট ভাইয়ের মৃত্যুর খবর পেয়ে হাসপাতাল থেকে পালিয়ে গেছেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।
ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম শহিদ এ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, হাসপাতালে খোঁজ নিয়ে তাকে সেখানে পাওয়া যায়নি। ঘটনার পরপরই ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহত জিপুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পোস্টমর্টেম করার পর মরদেহ দাফন করার অনুমতি দেওয়া হয়।
এ ঘটনায় এখনো কেউ অভিযোগ দেয়নি বলে নিশ্চিত করে ওসি বলেন, লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।