আওয়ামী লীগের তিন মন্ত্রীসহ ২৬ প্রভাবশালী দুদকের জালে
Published: 22nd, February 2025 GMT
আওয়ামী লীগের সাবেক মন্ত্রী হাছান মাহমুদ, সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ ও মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির তদন্ত ও অনুসন্ধানে মাঠে নেমেছে দুদক। এই তালিকায় রয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) সাবেক মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরী, সাবেক হুইপ শামসুল হক চৌধুরী, সাবেক এমপি মাহফুজুল হক মিতা ও আবু রেজা মোহাম্মদ নেজাম উদ্দিন নদভীও। আওয়ামী লীগ সমর্থিত কাউন্সিলরও আটকেছেন দুদকের জালে। এর বাইরে আওয়ামী লীগ শীর্ষ নেতা, চাকরিজীবী, ব্যবসায়ী ও আওয়ামী লীগপন্থি পেশাজীবীসহ দুর্নীতি করে বিপুল অর্থবিত্তের মালিক বনে যাওয়া দুই ডজন প্রভাবশালী দুদকের রাডারের মধ্যে রয়েছে। দুদক চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়ের বাইরেও ঢাকা থেকে সরাসরি আওয়ামী লীগ সরকারের গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকা ২৬ ব্যক্তির বিরুদ্ধে পৃথকভাবে তদন্ত চলছে।
দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১-এর উপপরিচালক মো.
চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়-২-এর উপপরিচালক আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘পটিয়ার সাবেক এমপি, হুইপ শামসুল হক চৌধুরী ও সন্দ্বীপ আসনের সাবেক এমপি মাহফুজুর রহমান মিতার বিরুদ্ধে দুর্নীতির প্রাথমিক অনুসন্ধান শুরু হয়েছে। এ দুজন ছাড়া আওয়ামী লীগের বড় আর কোনো নেতার বিরুদ্ধে আমরা অনুসন্ধান করছি না। কমিশনের নির্দেশ অনুযায়ী কাজ করছি আমরা।’
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নতুন কমিশন গঠনের পর দুদক প্রধান কার্যালয় থেকেই সাবেক মন্ত্রী হাছান মাহমুদ ও তাঁর পরিবার, মহিবুল হাছান চৌধুরী নওফেল, সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদের বিরুদ্ধে সরাসরি তদন্ত চলছে। চট্টগ্রাম অফিস থেকে তথ্যগত সহযোগিতা নেওয়া হচ্ছে। চট্টগ্রামে থাকা দুদকের দুটি কার্যালয় থেকে পটিয়ার সাবেক এমপি ও হুইপ শামসুল হক চৌধুরী, সন্দ্বীপ আসনের সাবেক এমপি মাহফুজুর রহমান মিতা, সাতকানিয়া-লোহাগাড়া আসনের সাবেক এমপি আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুউদ্দিন নদভী, সাবেক সিটি মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ নেতা, পটিয়া উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ডা. তিমির বরণ চৌধুরী, চসিক কাউন্সিলর জিয়াউল হক সুমন, কাউন্সিলর ওয়াসিম উদ্দিন চৌধুরী, কাউন্সিলর আবুল ফজল কবির আহমেদ মানিকের অবৈধ সর্ম্পদ অর্জনের অনুসন্ধান করছে দুদক।
এর বাইরে পোর্টল্যান্ড গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও ছাগলনাইয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মজুমদারের বিরুদ্ধে অবৈধ সর্ম্পদ অর্জন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন উপাচার্য ড. আনোয়ারুল আজিম আরিফ, ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী ও ড. শিরীণ আখতারের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার করে ৫৪০ শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগের অনুসন্ধান করছে দুদক।
‘অকল্পনীয় অবৈধ সম্পদ অর্জন’ হাছান মাহমুদের : আওয়ামী লীগ সরকারের খুবই প্রভাবশালী তিনবারের মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের দুর্নীতি অনুসন্ধানে ৫ সদস্যের উচ্চপর্যায়ের কমিটি মাঠে নেমেছে। দুদকের এক চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, বিগত সরকারের মন্ত্রী হাছান মাহমুদের ‘অকল্পনীয় অবৈধ সম্পদ অর্জন’ এর অভিযোগ অনুসন্ধান চলমান রয়েছে। কমিটি আরও সেসব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান করছে তারা হলেন, সাবেক মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের স্ত্রী নুরান ফাতেমা, মেয়ে নাফিসা জুনাইনা মাহমুদ, ভাই এরশাদ মাহমুদ, খালেদ মাহমুদ, মোরশেদ মাহমুদ, রাসেল মাহমুদ, ড. হাছান মাহমুদের তিন ব্যক্তিগত সহকারী (পিএস) এমরুল করিম রাশেদ, মো. কায়সার ও গিয়াস উদ্দিন স্বপন, ড. হাছান মাহমুদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বিসমিল্লাহ মেরিন সার্ভিস লিমিটেড, একাডেমি অব মেরিন এডুকেশন অ্যান্ড টেকনোলজি লি., বিসমিল্লাহ মেরিন সার্ভিস জেএএস লিমিটেড, মেসার্স বিসমিল্লাহ মেরিন সার্ভিস ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড হোল্ডিংস, অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশ সোলার পাওয়ার লিমিটেড ও সুখী বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন। দুদক তাদের সম্পদ ও আর্থিক তথ্য চেয়ে ইতিমধ্যে চট্টগ্রাম ও ঢাকাসহ সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কাছে তথ্য চেয়ে চিঠি পাঠিয়েছেন।
অনুসন্ধান দলের নেতা দুদকের উপপরিচালক মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘হাছান মাহমুদসহ তার সাথে সম্পৃক্ত ব্যক্তিদের সর্ম্পকে বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানে তথ্য চেয়ে চিঠি পাঠিয়েছি। এছাড়া যেখানে যেখানে তাদের সর্ম্পকে দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনের তথ্য পাওয়া যেতে পারে সেখানে কাজ করছি। এরই মধ্যে চট্টগ্রাম নগরীর দেওয়ান বাজার এলাকায় ১৮ তলা ভবন ছাড়াও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে নগদ অর্থের সন্ধান পেয়েছি।’
তদন্ত দলের এক কর্মকতা জানান, হাছান মাহমুদের ছোট ভাই মোরশেদ মাহমুদ বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে স্থায়ীভাবে বসবাস করেন। হাছান মাহমুদ দেশ থেকে তার কাছে বিপুল পরিমাণ অর্থ পাচার করেছেন। সেসব সম্পদ তার ভাই দেখভাল করছেন। দেশে ভাই খালেদ মাহমুদ ও এরশাদ মাহমুদের নামে সম্পদ ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন।’
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: র স ব ক এমপ র রহম ন মন ত র তদন ত ব যবস আওয় ম সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
শুটিংয়ে আহত বরুণ, কী হয়েছে অভিনেতার
ভারতের হৃষিকেশে শুটিংয়ে আহত হয়েছেন বলিউড অভিনেতা বরুণ ধাওয়ান। বরুণ নিজেই ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডলে চোট পাওয়ার খবর জানিয়েছেন।
২২ মার্চ থেকে উত্তরাখন্ডের হৃষিকেশে নতুন সিনেমা ‘হ্যায় জওয়ানি তো ইশক হোনা হ্যায়’ সিনেমার শুটিং শুরু করেছেন। এ ছবিতে বরুণের সঙ্গে আছেন দক্ষিণি তারকা পূজা হেগড়ে। শুটিং শুরুর পঞ্চম দিনেই এসে জানা গেল, বরুণের আহত হওয়ার খবর।
ইনস্টাগ্রামে বরুণের পোস্টের নিচে তাঁর অনেক ভক্ত চোটের বিস্তারিত জানতে চেয়েছেন। কেউ আবার তাঁর দ্রুত সেরে ওঠার জন্য প্রার্থনা করেছেন। তবে বরুণ এ বিষয়ে আর বিশদে কিছু জানাননি।
এর আগের পূজা হেগড়ের সঙ্গে ছবি দিয়ে অভিনেতা লিখেছেন, ‘হৃষিকেশে দুর্দান্তভাবে শুটিং শুরু হলো।’
শুটিংয়ে বরুণ ও পূজা। বরুণের ইনস্টাগ্রাম থেকে