‘জানি না ওর কাছে ইংলিশ পাসপোর্ট আছে কিনা (হাসি)। তবে সে কোথাও যাচ্ছে না।’ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ইংল্যান্ডের ৩৫১ রান ১৫ বল থাকতে ৫ উইকেটে তাড়া করে সম্প্রচার মাধ্যমকে এমনটাই বলেছেন—অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক স্টিভ স্মিথ।
ক্রিকেট নিয়ে টুকটাক খোঁজ-খবর রাখলে আঁচ করা সহজ যে, জসুয়া ইংলিশকে নিয়ে স্মিথ কথাটা বলেছেন। কারণ এই ইংলিশের জন্ম ইংল্যান্ডের লর্ডসে। ১৪ বছর বয়সে তিনি অস্ট্রেলিয়া পাড়ি জমান। তিনিই ৮৬ বলে ১২০ রানের হার না মানা ইনিংস খেলে অস্ট্রেলিয়াকে জিতিয়েছেন।
তার সঙ্গে ভালো খেলেছেন ম্যাথু শট, অ্যালেক্স কেরি ও গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। অর্ধেক শক্তির অস্ট্রেলিয়া যে কতটা ভয়ংকর তা দেখিয়ে দিয়েছেন। কারণ প্যাট কামিন্স, মিশেল স্টার্ক ও জস হ্যাজলউড না থাকায় অজিরা একেবারেই নতুন এক বোলিং আক্রমণ নিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে গেছে।
লাহোরে দু’দলের প্রথম ম্যাচে টস হেরে ব্যাট করে ওপেনার বেন ডাকেটের ব্যাটে বড় রান তোলে ইংল্যান্ড। ডাকেট ১৪৩ বলে ১৬৫ রানের ইনিংস খেলেন। ১৭ চার ও তিনটি ছক্কা মারেন। এছাড়া জো রুট ৭৮ বলে ৬৮ রান করেন। বাটলার ২৩ ও আর্চার ২১ রান করেন।
জবা দিতে নেমে ২৭ রানে ২ উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া। ম্যাথু শট ও লাবুশানে ৯৫ রানের জুটি গড়েন। শট ফিরে যান ৬৬ বলে ৬৩ রান করে। তার আগে লাবুশানে ৪৭ রান করে ফিরলে ম্যাচে ফেরে ইংলিশরা।
কিন্তু ইংলিশ ও অ্যালেক্স কেরি ম্যাচ বের করে নেন। তারা ১৪৬ রানের জুটি গড়েন। কেরি ৬৩ বলে ৬৯ রান করেন। ইংলিশের ১২০ রানের সঙ্গে ১৫ বলে ৩২ রান করে ম্যাচ জেতান ম্যাক্সওয়েল।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: র ন কর
এছাড়াও পড়ুন:
পাকিস্তানে ভারত নিয়ে চিন্তা নেই
চ্যাম্পিয়নস ট্রফিটা আজকের জন্য শুধুই ভারত–পাকিস্তানের। বিশ্ব ক্রিকেটের দৃষ্টি আজ থাকবে কেবলই দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের ম্যাচটার দিকে। রাজনৈতিক বৈরিতায় চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দুই প্রতিবেশী দেশের ক্রিকেটীয় সম্পর্ক এমনিতেই অম্লাত্মক। ভারত নিজেদের ম্যাচগুলো পাকিস্তানে খেলছে না বলে এবারের চ্যাম্পিয়নস ট্রফি তার ঝাঁজ আরও বাড়িয়েছে। শুধু ভারতের কারণেই টুর্নামেন্টটা হচ্ছে দুই দেশে। যদিও ভারত নিজেরা খেলছে শুধু দুবাইয়ে।
তবে যদি বলা হয়, খোদ চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আয়োজক পাকিস্তানের দৃষ্টিই আজ পুরোপুরি দুবাইয়ের দিকে নেই, খুব বেশি ভুল বলা হবে না বোধহয়। অনেক বছর ধরেই পাকিস্তানে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট মানে দেশটির রাষ্ট্রযন্ত্র থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ পর্যন্ত সবার একটাই চিন্তা—অঘটন এড়িয়ে খেলাটা যেন ঠিকঠাকভাবে হয়, নিরাপদে থাকতে পারে অতিথি দলগুলো। দুবাইয়ের ভারত–পাকিস্তান ম্যাচের চেয়েও তাই তাদের বড় চিন্তা পাকিস্তানে থাকা দলগুলোর নিরাপত্তা ও সুযোগ–সুবিধা নিশ্চিত করা।
পাকিস্তানে আন্তর্জাতিক দলগুলোর নিরাপত্তা শঙ্কা অনেক আগে থেকেই ছিল। সেটি আরও বেড়ে যায় ২০০৯ সালের মার্চে লাহোরে শ্রীলঙ্কা দলের ওপর বন্দুকধারীদের হামলার পর। ওই ঘটনায় পাঁচ বছর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট দূরে সরে ছিল পাকিস্তান থেকে। ২০১৫ সাল থেকে আবার বিদেশি দলগুলো দেশটিতে আসতে শুরু করে এবং তখন থেকে এই দেশে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট মানেই সফরকারী দলগুলোর সবার আগে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার শর্ত জুড়ে দেওয়া।
আরও পড়ুন‘পাকিস্তান যদি ভারতকে হারায়, সেটা হবে অঘটন’১০ ঘণ্টা আগেঅতিথিদের স্বস্তি দিতে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড সে আয়োজনে ত্রুটি রাখে না কখনো। তা এতটাই যে অনেক সময় বাড়তি এ নিরাপত্তাব্যবস্থা কিছু সম্পূরক প্রশ্নও তুলে দেয়। যেখানে সেনা, পুলিশ আর ভারী অস্ত্র দিয়ে ক্রিকেটকে সুরক্ষিত রাখতে হয়, সেখানে খেলা হওয়ার দরকার কী?
এটা তো কোনো খেলার জন্যই স্বাভাবিক পরিস্থিতি হতে পারে না! হোটেল আর মাঠবন্দী জীবন কি একধরণের মানসিক চাপও তৈরি করে না ক্রিকেটারদের ওপর? কাল ইসলামাবাদে পিসিবি–সংশ্লিষ্ট একজনকে প্রশ্নটা করা হলে অবশ্য তিনি পাল্টা যুক্তি দিলেন, ‘বিদেশি দলগুলো চায় বলেই তো তাদের জন্য রাষ্ট্রীয় পর্যায়ের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা। এটা না হলে তারাই পাকিস্তানে আসবে না খেলতে।’
দুবাইয়ে কাল অনুশীলনে ভারতের বিরাট কোহলি