চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ইতিহাসে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড গড়েও জয় পেল না ইংল্যান্ড। বেন ডাকেটের দুর্দান্ত সেঞ্চুরির ওপর ভর করে ৩৫১ রানের বিশাল সংগ্রহ দাঁড় করিয়েছিল ইংলিশরা। কিন্তু জস ইংলিশের সেঞ্চুরিতে রেকর্ড গড়ে ৫ উইকেটের জয় তুলে নেয় অস্ট্রেলিয়া। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ইতিহাসে এটিই রান তাড়া করা সবচেয়ে বড় জয়। এর আগে ২০১৭ সালে ভারতের দেওয়া ৩২২ রানের জবাব দিতে নেমে জয় তুলে নিয়েছিল শ্রীলঙ্কা।

শনিবার লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নামে ইংল্যান্ড। শুরুতেই ফিল সল্ট (১০) ও জেমি স্মিথের (১৩) উইকেট হারালেও দলের হাল ধরেন বেন ডাকেট ও জো রুট। তৃতীয় উইকেটে ১৫৮ রানের দুর্দান্ত জুটি গড়েন তারা। রুট ৬৮ রান করে এলবিডব্লিউর শিকার হন, কিন্তু ডাকেট ছিলেন আরও ভয়ংকর। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ইতিহাসে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ইনিংস খেলে ১৬৫ রান করে ফেরেন তিনি। শেষ দিকে জোফরা আর্চারের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে ৩৫১ রান করে ইংল্যান্ড। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে বেন ডোয়ারশুইস, অ্যাডাম জ্যাম্পা ও মারনাস লাবুশেন ২টি করে উইকেট নেন।

বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই বিপদে পড়ে অস্ট্রেলিয়া। মাত্র ৬ রান করে ফেরেন ট্রাভিস হেড, আর ৫ রান করেন অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথ। তবে এরপর ম্যাথিউ শর্ট ও লাবুশেনের ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ায় দল। শর্ট ৬৩ রান করে আউট হলেও লাবুশেন (৪৭) ও অ্যালেক্স ক্যারি (৬৯) দলের ভিত গড়ে দেন।

এরপর আসল কাজটা করেন জস ইংলিশ। ৭৭ বলে দুর্দান্ত সেঞ্চুরি তুলে নেন তিনি। শেষ দিকে গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের ঝড়ো ১৫ বলে ৩২ রান আর ইংলিশের ৮৬ বলে অপরাজিত ১২০ রানের ইনিংসে ভর করে ৪৭.

৩ ওভারে ৫ উইকেট হাতে রেখেই জয় তুলে নেয় অস্ট্রেলিয়া। ইংল্যান্ডের হয়ে উইকেট শিকার করেন মার্ক উড, জোফরা আর্চার, ব্রাইডন কার্স, আদিল রশিদ ও লাইম লিভিংস্টোন।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: র ন কর উইক ট

এছাড়াও পড়ুন:

আইসিসির মঞ্চে অভিষেক সেঞ্চুরিতে ভাস্বর রিকেলটন

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ২০২৩ সালের মার্চে ওয়ানডেতে অভিষেক হয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকার টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান রায়ান রিকেলটনের। এরপর তিনি প্রোটিয়াদের জার্সি গায়ে ছয়টি ম্যাচ খেলেছেন। সর্বোচ্চ স্কোর ছিল ৯১। যেটা তিনি ২০২৪ সালের ২ অক্টোবর আবুধাবিতে করেছিলেন আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে।

আজ শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫) আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে নিজেদের প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে মাঠে নামেন তিনি। আর আইসিসির মঞ্চে তুলে নেন ক্যারিয়ারের মেইডেন সেঞ্চুরি। এর মধ্য দিয়ে গড়েন ইতিহাসও। দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম কোনো ক্রিকেটার হিসেবে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে প্রথমবার খেলতে নেমেই সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন। তার আগে আর কেউ এমন কীর্তি গড়তে পারেননি।

করাচিতে প্রোটিয়ারা টস জিতে আগে ব্যাট করতে নামে। ২৮ রানেই টনি ডি জর্জির উইকেট হারায় তারা। সেখান থেকে রিকেলটন ও টেম্বা বাভুমা ১২৯ রানের জুটি গড়ে দলকে বড় সংগ্রহের ভিত পাইয়ে দেন। বাভুমা ৫ চারে ৫৮ রান করে আউট হলেও রিকেলটন তুলে নেন ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি।

আরো পড়ুন:

আমরা কেবল অংশ নিতে আসিনি, শিরোপা জিততে চাই: শাহিদি

শান্ত জানালেন যেসব কারণে হেরেছে বাংলাদেশ

৪৮ বলে ৫টি চার ও ১ ছক্কায় ফিফটি করেন। এরপর ১০১ বলে ৭টি চার ও ১ ছক্কায় পূর্ণ করেন ক্যারিয়ারের প্রথম তিন অঙ্ক। অবশ্য সেঞ্চুরির পর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি তিনি। ১০৬ বলে ১০৩ রান করে রান আউটে কাটা পড়েন ২৮ বছর বয়সী এই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান।

ঢাকা/আমিনুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • শেরপুরে মাইক্রোবাস চাপায় নিহত ২
  • ইংলিস-ঝড়ে ৪ ঘণ্টাও টিকল না ইংলিশদের রেকর্ড
  • ‘বড় ভাই আমি পাঁচ মিনিটের মধ্যে আসছি...’
  • ৫ হত্যার ১৫ বছর পর একই স্থানে ৩ জনকে গুলি করে হত্যা 
  • আদালতের ভেতরে ঢুকে গ্যাংস্টারকে গুলি করে হত্যা
  • আশির দশকের বিয়ে ‘তেলাই থেকে ঘুরানি’
  • কুয়েতে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত
  • আফগানিস্তানকে ৩১৬ রানের টার্গেট দিলো দ. আফ্রিকা
  • আইসিসির মঞ্চে অভিষেক সেঞ্চুরিতে ভাস্বর রিকেলটন