জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আহত ব্যক্তিদের দেখতে গেলেন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর। আজ শনিবার রাত সাড়ে আটটার পর জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট এবং জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (নিটোর) যান তিনি। সেখানে তিনি প্রত্যেক আহত ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলেন।

আন্দোলনের সময় আহত এসব ব্যক্তি কীভাবে গুলিবিদ্ধ হন, কীভাবে গুরুতর জখম হয়েছেন, সেসব কথা তাঁরা বাবরকে বলেন। তিনি তাঁদের মনোবল না হারাতে সাহস জোগান। একই সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের পাশাপাশি তিনিও সব সময় তাঁদের পাশে থাকবেন বলে আশ্বাস দেন।

জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন আহত মিজানুর রহমান সাবেক এই স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীকে বলেন, আন্দোলনের সময় গুলিতে তিনি চোখ হারিয়েছেন। শুধু মিজানুরই নন, তাঁর মতো সেখানে চিকিৎসাধীন বেশ কয়েকজন কিশোর, যাদের চোখে গুলি লেগেছে, তাদের সবার সঙ্গে বেশ কয়েক মিনিট ধরে কথা বলেন লুৎফুজ্জামান বাবর। একজন কিশোর সাবেক এই প্রতিমন্ত্রীকে বলেন, স্বৈরাচার শেখ হাসিনাকে হটাতে জীবন হাতে নিয়ে পুলিশের গুলির মুখে লড়াই করেছেন। তিনি চোখও হারিয়েছেন।

সাবেক এই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে কাছে পেয়ে বেশ কয়েকজন আহত ব্যক্তিকে কাঁদতে দেখা যায়। লুৎফুজ্জামান বাবরের পক্ষ থেকে আহত প্রত্যেককে ফল দেওয়া হয়েছে।

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আহত ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলার পর সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর প্রথম আলোকে বলেন, আহত ব্যক্তিদের জন্য অনেক কিছু করার আছে। তাঁদের কেউ চোখ হারিয়েছেন, কেউ অঙ্গ হারিয়েছেন, যা অনেক বেদনার।

দীর্ঘ ১৭ বছর পর কারাগারে ছিলেন তিনি। গত ১৬ জানুয়ারি তিনি কেরানীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে বের হন।

লুৎফুজ্জামান বাবর ১৯৯১ সালে পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নেত্রকোনা-৪ (মদন-মোহনগঞ্জ-খালিয়াজুরি) আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর ১৯৯৬ ও ২০০১ সালের সপ্তম ও অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য হন। তিনি বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ছিলেন।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

মিয়ানমারের হাসপাতালে বাড়ছে আহতদের ভিড়, সেবা দিতে হিমশিম

মিয়ানমারে শক্তিশালী ভূমিকম্পের পর হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে আহতদের ভিড়। বিপুল সংখ্যক রোগী সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসকরা। খবর এএফপির।

স্থানীয় সময় আজ শুক্রবার দেশটির রাজধানী নেপিদোতে অবস্থিত এক হাজার শয্যার হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে আহতদের লম্বা সারি দেখা গেছে। কিছু আহত ব্যক্তি ব্যথায় ছটফট করছেন, অন্যরা শঙ্কিত অবস্থায় পড়ে আছেন। স্বজনেরা তাদের সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন, কারও কারও হাতে ইনট্রাভেনাস ড্রিপ লাগানো ছিল।

হাসপাতালটিতে বানের জোয়ারের মতো আসছেন আহতরা- কেউ গাড়িতে, কেউ পিকআপে, আবার কাউকে স্ট্রেচারে করে আনা হচ্ছে। তাদের শরীর রক্তাক্ত এবং ধুলোতে আচ্ছাদিত।

হাসপাতালের একজন চিকিৎসক এএফপিকে বলেন, আমরা পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছি। ভীষণ ক্লান্ত।

হাসপাতালের নিরাপত্তা কর্মকর্তারা জানান, শত শত আহত মানুষ আসছে, কিন্তু এখানে জরুরি ভবনও ধসে পড়েছে।

আহতদের দেখতে হাসপাতালে গিয়েছিলেন মিয়ানমারের সামরিক প্রধান মিন অং হ্লাইং।

আজ দুপুরে আঘাত হানে ৭ দশমিক ৭ মাত্রার এই ভূমিকম্প, যার কেন্দ্রস্থল ছিল মিয়ানমারের সাগাইং অঞ্চলে। এর তীব্র প্রভাব অনুভূত হয় প্রতিবেশী বাংলাদেশ, চীন ও থাইল্যান্ডে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ঈদের জামাতে মাইকের যান্ত্রিক ক্রটি নিয়ে দুই পক্ষের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ, আহত ১০
  • প্রধান উপদেষ্টাকে ঈদ-নিরাপত্তার বিষয়ে জানিয়েছেন সেনাপ্রধান
  • গণ-অভ্যুত্থানে আহতদের জন্য ছাত্রদলের ইফতার
  • বন্দরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে ঘরবাড়ি ভাংচুর, লুটপাট : যুবদল নেতাসহ আহত ১০   
  • মিয়ানমারের হাসপাতালে বাড়ছে আহতদের ভিড়, সেবা দিতে হিমশিম