আজকের দিনের সবচেয়ে বড় খবর, মাহমুদউল্লাহ অনুশীলনে ব্যাটিং করেছেন। দুবাইয়ে প্রথম দিন অনুশীলন করেই পায়ের মাংসপেশিতে চোট, খেলা হয়নি ভারত ম্যাচে। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ইসলামাবাদে কি আগামী পরশু খেলবেন? প্রশ্নটার উত্তর নিশ্চিত করে দেওয়া যায়নি আজ বিকেল পর্যন্তও। তবে দলের অভিজ্ঞ এই ক্রিকেটারের পুরোদমে অনুশীলনে ফেরা স্বস্তির সুবাতাস তো দেয়ই।

রাওয়ালপিন্ডি স্টেডিয়ামে আগামী পরশু ম্যাচের আগে বাংলাদেশ, নিউজিল্যান্ড দুই দলের অবস্থা দুই রকম। দুবাইয়ে ভারতের কাছে ৬ উইকেটে হারা প্রথম ম্যাচ বাংলাদেশের ব্যাটিং নিয়ে দুশ্চিন্তা বাড়িয়েছে। টুর্নামেন্টে টিকে থাকতে হলে পরের ম্যাচে মাহমুদউল্লাহকে পাওয়াটা গুরুত্বপূর্ণ। সমান্তরালে এই প্রশ্নটাও আসে—তিনি ফিরলে দলের বাইরে যাবেন কে?

অন্যদিকে করাচির ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে নিজেদের প্রথম ম্যাচে স্বাগতিক পাকিস্তানকে ৬০ রানে হারিয়ে আত্মবিশ্বাস বাড়ানো শুরু পেয়েছে নিউজিল্যান্ড। ওপেনার উইল ইয়ং আর মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান টম ল্যাথামের সেঞ্চুরির সঙ্গে মাইকেল ব্রেসওয়েলের ৩৯ বলে ৬১ রানের ইনিংসে মোটামুটি পরিষ্কার—যথেষ্ট সময় পেয়ে পাকিস্তানের কন্ডিশনের সঙ্গে ভালোভাবেই মানিয়ে নিয়েছেন তাদের ব্যাটসম্যানরা।

বাংলাদেশ দলের প্রধান কোচ ফিল সিমন্স.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

ট্রাম্পের এই শুল্ক আরোপ বাংলাদেশসহ উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য বড় চ্যালেঞ্জ

আজ বিশ্ব দেখেছে ট্রাম্প প্রশাসনের পক্ষ থেকে পাল্টা (রেসিপ্রোকাল) শুল্ক আরোপের মাধ্যমে বৈশ্বিক বাণিজ্য ব্যবস্থায় এক অভূতপূর্ব পরিবর্তন, যা দীর্ঘ দিন ধরে GATT/WTO কাঠামোর মূল স্তম্ভ হিসেবে থাকা ‘সর্বাধিক অনুকূল দেশ’ (MFN) নীতির সমাপ্তি বা অন্তত উল্লেখযোগ্য রূপান্তরের সংকেত বহন করছে। এই নীতির ভবিষ্যৎ এখন অন্ধকার, কারণ বিভিন্ন মার্কিন বাণিজ্যিক অংশীদারের ওপর ভিন্ন ভিন্ন পারস্পরিক শুল্ক হার আরোপিত হচ্ছে এবং নির্দিষ্ট পণ্যের ক্যাটেগরির ওপর শুল্কের হারও পরিবর্তিত হচ্ছে। এর ফলে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে রপ্তানিকারক দেশগুলোর মধ্যে বিজয়ী ও পরাজিত দেশ নির্ধারণ করা বেশ কঠিন হয়ে পড়ছে এবং বৈশ্বিক বাণিজ্য পরিবেশ আরও অস্থির ও অনিশ্চিত হয়ে যাচ্ছে।

বাংলাদেশসহ অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য এই পরিবর্তন একটি বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দিচ্ছে, কারণ তারা এমন এক অনিশ্চিত ব্যবস্থায় কঠিন অর্থনৈতিক পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে পারে। এই নতুন পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে, বাংলাদেশকে তার অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য নীতি পুনর্বিবেচনা করতে হবে, বৈশ্বিক বাণিজ্য ব্যবস্থার সংস্কারে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করতে হবে এবং মূল বাণিজ্যিক অংশীদারদের সাথে বাণিজ্যিক সম্পর্ক শক্তিশালী করতে হবে, যাতে বৈশ্বিক বাণিজ্য ব্যবস্থায় তার অবস্থান নিরাপদ থাকে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ