বর্ণে, ছন্দে, আনন্দে দিনভর বর্ণমেলা
Published: 22nd, February 2025 GMT
দিনের শুরুতে ‘মা’ ছিল সাদা রঙের। বেলা শেষে ধানমন্ডির সুলতানা কামাল মহিলা ক্রীড়া কমপ্লেক্স মাঠের মাঝে দাঁড়ানো বিশালাকারের সেই ‘মা’ অগুনতি কচিকাঁচার রংমাখা হাতের ছাপে হয়ে উঠল বর্ণিল। গতকাল শুক্রবার এই ‘মা’ শব্দটির পাশে নিজের মাকে সঙ্গে নিয়ে ছবি তুলতেও ব্যতিব্যস্ত দেখা গেল আদরের সন্তানদের।
অক্ষরের ‘মা’ আর বাস্তবের মা তো ছিলেনই, আরও ছিল আনন্দে মেতে ওঠার হরেক রকম আয়োজন। শুধু তা–ই নয়, নিজেদের সৃজনী প্রতিভা বিকাশের ব্যবস্থাও ছিল বর্ণমেলায়। মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে বর্ণমালাকে কেন্দ্র করে ভাষার প্রতি ভালোবাসা ও দেশাত্মবোধে উদ্ভাসিত দিনভর এ আয়োজন ছিল প্রথম আলোর। বর্ণমেলার পৃষ্ঠপোষক ছিল স্কয়ার টয়লেট্রিজ লিমিটেডের ব্র্যান্ড মেরিল বেবি। সহায়তা দিয়েছে সেপনিল, সুপার মম এবং প্রচার সহযোগী এটিএন বাংলা। মেলার স্লোগান ছিল, ‘মেতে ওঠো দুরন্ত শৈশবে’।
অতিথিদের কাছে হাতেখড়ি হচ্ছে শিশুদের। বাঁ থেকে শিল্পী আনিসুজ্জামান সোহেল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক তারিক মনজুর, অভিনেতা ও শিল্পী আফজাল হোসেন, শিল্পী আবদুল মান্নান ও অভিনেত্রী সাবিলা নূর। পেছনে দাঁড়ানো (বাঁ থেকে) শিল্পী মাসুক হেলাল ও অশোক কর্মকার.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
মিয়ানমারে নিহত বেড়ে ২০৫৬, এক সপ্তাহের শোক ঘোষণা
মিয়ানমারে মৃত মানুষের সংখ্যা বেড়ে ২ হাজার ৫৬ জনে দাঁড়িয়েছে। আহত মানুষের সংখ্যা ৩ হাজার ৯০০। এখনো নিখোঁজ ২৭০ জন। এমন অবস্থায় দেশটিতে এক সপ্তাহের জাতীয় শোক ঘোষণা করা হয়েছে।
গতকাল সোমবার দেশটির জান্তা সরকারের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে। জাতীয় শোকের অংশ হিসেবে দেশটিতে ৬ এপ্রিল পর্যন্ত জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হবে।
গত শুক্রবার মিয়ানমারে ৭ দশমিক ৭ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। ওই কম্পন থাইল্যান্ডসহ প্রতিবেশী আরও সাতটি দেশে অনুভূত হয়েছে। এর মধ্যে থাইল্যান্ডেও বহুতল ভবন ধসে পড়াসহ প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে।
ভূমিকম্পে মিয়ানমারে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার মধ্যে দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মান্দালয় রয়েছে। শহরটিকে ১৭ লাখ লোকের বসবাস। ভূমিকম্পে সেখানে এমন বিপর্যয় নেমে এসেছে যে সেখানে উদ্ধার তৎপরতা ও জরুরি সহায়তার কার্যক্রম থুবড়ে পড়েছে। মূলত সেখানকার এমন পরিস্থিতি সামনে আসার পর সরকারের পক্ষ থেকে এ শোকের ঘোষণা এল। মান্দালয়ের বাসিন্দারা শুক্রবার থেকে টানা দিনরাত সড়কে খোলা আকাশের নিচে অবস্থান করছেন।
জাতিসংঘের আবেদন
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, সাহায্যকারী সংস্থাগুলো বলছে, গৃহযুদ্ধে নাকাল মিয়ানমারের অবস্থা ভূমিকম্পের ঘটনায় আরও খারাপের দিকে যাচ্ছে। সেখানে রাস্তাঘাটে লাশের দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়েছে, হাসপাতালগুলো ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে মিয়ানমারের জন্য জরুরি ভিত্তিতে ৮০ লাখ মার্কিন ডলারের তহবিল সহায়তা চেয়ে আবেদন জানিয়েছে জাতিসংঘ।
৬০ ঘণ্টা পর জীবিত উদ্ধার ৪
মিয়ানমারে ভূমিকম্পের প্রায় ৬০ ঘণ্টার পর ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে চারজনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। রোববার সাগাইং অঞ্চলে ধসে পড়া একটি স্কুল ভবন থেকে তাঁদের উদ্ধার করা হয় বলে জানিয়েছে দেশটির ফায়ার সার্ভিস।