শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বিকেল সারে ৫টার দিকে উত্তরা রাজলক্ষ্মী মার্কেটের সামনের রাস্তায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার মৃত ঘোষণা করেন।

তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসা পথচারী মো. আজমান আব্দুল্লাহ বলেন, ‘‘ওই ব্যক্তি রাজলক্ষ্মী মার্কেটের সামনে হেঁটে রাস্তা পার হচ্ছিলেন। এ সময় একটি পিকআপভ্যান তাকে সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে ছিটকে পড়ে গুরুতর আহত হন ওই ব্যক্তি। দেখতে পেয়ে তাকে প্রথমে উত্তরা আধুনিক হাসপাতালে নেওয়া হয়। তবে সেখানকার চিকিৎসকেরা তাকে ঢাকা মেডিকেলে পাঠিয়ে দেন।’’

নিহতের স্ত্রী খাদিজা আজাদ জানান, তাদের বাড়ি ভোলা। তার বাড়ি ভোলা জেলার চরফ্যাশন উপজেলায়। বাবার গোলাম কিবরিয়া। তিনি সিটি ব্যাংকের তেজগাঁও শান্তা টাওয়ার শাখার রিটার্ন ডিপার্টমেন্টের অ্যাসিস্ট্যান্ট অফিসার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। বর্তমানে খিলক্ষেত নিকুঞ্জ-২ এলাকায় থাকেন। অফিসের কাজে বিকেলে বাসা থেকে বের হয়েছিলে গাজীপুর যাওয়ার উদ্দেশ্যে। এরপর কীভাবে দুর্ঘটনা ঘটেছে তা জানেন না।

তার বাড়ি ভোলার চরফ্যাশন উপজেলায়। বাবার গোলাম কিবরিয়া। তিনি সিটি ব্যাংকের তেজগাঁও শান্তা টাওয়ারে সেলস ডিপার্টমেন্টের অ্যাসিস্ট্যান্ট অফিসার হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো.

ফারুক মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘‘উত্তরা এলাকা থেকে মুমূর্ষু অবস্থায় পথচারীরা ওই ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ময়না তদন্তের জন্য মরদেহ মর্গে রাখা হয়েছে।’’

ঢাকা/এনএইচ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

কক্সবাজারে মাতৃভাষা দিবস অনুষ্ঠানে ৭ দেশের কবি

তারা ভিন দেশের নাগরিক। কবিতা পাঠ করলেন নিজ নিজ ভাষায়। জানালেন তাদের অনুভূতিও। আবার সেই কবিতা আর অনুভূতির মর্মার্থ ইংরেজিতে বুঝিয়েও দিলেন সবাই। 

শুক্রবার কক্সবাজারে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ও অমর একুশে ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে ‘সার্ধশততে একুশের দ্রোহ’ শিরোনামে ভিন্নধর্মী এ অনুষ্ঠান হয়। এর আয়োজন করে কক্সবাজার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় (কসউবি) প্রাক্তন ছাত্র পরিষদ।  

কক্সবাজার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে সকাল ১০টায় আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে অংশ নেন জাপান, কলম্বিয়া, ফিলিপাইন, কেনিয়া, নাইজেরিয়া, কাজাখিস্তান ও সিরিয়াসহ বিভিন্ন দেশের নাগরিক। যারা কক্সবাজারে কর্মরত আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে যুক্ত।

বিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের পাদদেশে দাঁড়িয়ে জাপানি নাগরিক মাছিকো ফুকোমারা বলেন, নিজের ভাষায় কথা বলতে পারাটা অনেক আনন্দের। স্কুল দেখে আমি আমার নিজের দেশ, বাড়ি, শৈশব ও নিজের ভাষাকে মনে পড়ছে। তিনি জানান, এবারই প্রথম আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করছেন। 

নাইজেরিয়ান নাগরিক হাওয়া হাসান কসউবি প্রাক্তন ছাত্র পরিষদের এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, এখানে আমরা অনেক ভাষাভাষী মানুষ একসঙ্গে হয়েছি, এটা খুব ভালো লাগছে।

ফিলিপাইনের নাগরিক হেলেন বেশ কয়েক বছর ধরেই আছেন বাংলাদেশে। তিনি বলেন, কথা বলতে পারার স্বাধীনতা অনেক বড় বিষয়। অনেক আনন্দের।

ইসাবেল সুয়োরাজ কলম্বিয়ান নাগরিক। এই আয়োজনে এসে তিনি শিশু বয়সে ফিরে যাওয়ার কথা জানিয়ে বলেন, স্কুলের বাচ্চাদের দেখে আমার স্কুলের সময়ের কথা মনে পড়ছে। 

কসউবি প্রাক্তন ছাত্র পরিষদের আহ্বায়ক বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ এম এম সিরাজুল ইসলাম জানান, বিদ্যালয়ের গৌরবময় ১৫০ বছর পূর্তির ধারাবাহিকতায় এ আয়োজন মাতৃভাষার বৈচিত্র্য ও ঐক্যের প্রতিচ্ছবি হয়ে উঠবে। 

তিনি বলেন, বিদেশিদের উপস্থিতি মাতৃভাষার গুরুত্বকে বিশ্বজনীন পরিসরে তুলে ধরার প্রয়াস থেকেই এমন আয়োজন।

বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মকর্তা কবি জয়নাল আবেদীন মুকুল বলেন, কক্সবাজার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে স্থাপিত শহীদ মিনারটি কক্সবাজার জেলার প্রথম শহীদ মিনার হিসেবে স্বীকৃত। বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনে এই বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র ও শিক্ষকদের অবদান গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায় হিসেবে বিবেচিত। বিশেষ করে খালেদ মোশাররফ, যিনি মহান মুক্তিযুদ্ধে সেক্টর কমান্ডার ছিলেন তার নেতৃত্বে কক্সবাজার হাইস্কুলের ছাত্ররা ৫২ এর ভাষা আন্দোলনে অংশ নেয়। 

বিদ্যালয়ের ১৫০ বছর উপলক্ষে বছরব্যাপী নানা আয়োজনের অংশ হিসেবে ভিন্নধর্মী এ আয়োজনের কথা জানিয়ে ছাত্র পরিষদের সংগঠক ইয়াসির আরাফাত জানান, প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ দিবসেই তাদের কর্মসূচি থাকবে আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ