চট্টগ্রামে ইয়ুথ স্টার্টআপ সামিট অনুষ্ঠিত
Published: 22nd, February 2025 GMT
তরুণ উদ্ভাবকদের উৎসাহিত ও সম্পৃক্ত করতে আইসিটি ডিভিশনের আওতাধীন স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেডের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হলো ইয়ুথ স্টার্টআপ সামিট ২০২৫।
দিনব্যাপী এ আয়োজনে আরো ছিলো ইয়ুথ ইনোভেশন চ্যালেঞ্জ ২০২৫ এর চট্টগ্রাম পর্ব, প্রদর্শনী ও সেমিনার।
শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দিনব্যাপী চিটাগং ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি, চট্টগ্রাম (সিআইইউ) এর কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে এই সামিট অনুষ্ঠিত হয়।
ইয়ুথ ইনোভেশন চ্যালেঞ্জ ২০২৫ এর চট্টগ্রাম পর্বের শীর্ষ ৮টি প্রকল্পের প্রতিযোগিরা বিশেষজ্ঞ বিচারক বোর্ডের সামনে ‘পিচিং কম্পিটিশন’-এ অংশ নেন। শীর্ষ ৮টি প্রকল্প হলো লুপব্যাগ, ইজিগো, গ্রোসি, রোডবুক বিডি, খেলবো, ইউনিঅ্যাপ, বিট, টডভোব।
পরে ‘ফ্রম আইডিয়া টু স্কেল: দ্যা স্টার্টআপ জার্নি’ শীর্ষক প্যানেল আলোচনার আয়োজন করা হয়। প্যানেল আলোচনার সঞ্চালনায় ছিলেন আরাফাতুল ইসলাম আকিব, প্রতিষ্ঠাতা, স্টার্টআপ চট্টগ্রাম। প্যানেলিস্ট হিসেবে ছিলেন ফাহাদ ইফাজ, সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও, আইফার্মার; অনায়েত রশিদ, প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও, ট্রাকলাগবে; তাহসিনা আহমেদ, নির্বাহী পরিচালক, বিওয়াইএলসি; নাবিলা নওরিন, সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও, মোয়ার স্পেস লিমিটেড।
‘স্টার্টআপ ফান্ডামেন্টালস: মাস্টারিং দ্যা এসেনশিয়ালস অব বিল্ডিং অ্যান্ড স্কেলিং অ্যা বিজনেস’ শীর্ষক মাস্টারক্লাসে বক্তব্য প্রদান করেন এন্ডুরিংএক্সের প্রতিষ্ঠাতা ও টেন মিনিট স্কুলের সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং সাবেক সিওও মির্জা সালমান হোসেন বেগ। এতে তরুণ অংশগ্রহণকারী সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রের পেশাদার ও স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠাতাদের সাথে সরাসরি নেটওয়ার্কিং-এর সুযোগ পান এবং তাদের মধ্যে স্টার্টআপ সম্পর্কিত ব্যাপক সাড়া পরিলক্ষিত হয়।
ইয়ুথ স্টার্টআপ সামিটের প্রাথমিক লক্ষ্য হলো তরুণ উদ্যোক্তাদের সৃজনশীল এবং কার্যকর সমস্যা সমাধানের দক্ষতা বাড়ানো এবং টেকসই ব্যবসায়িক মডেলগুলিকে উৎসাহিত করা। এরই ধারাবাহিকতায় ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে পাঁচটি প্রধান বিভাগ-রাজশাহী ও রংপুর, সিলেট, খুলনা ও বরিশাল, চট্টগ্রাম, ঢাকা ও ময়মনসিংহে সামিট আয়োজনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়।এরই ধারাবাহিকতায় গত ৬ ফেব্রুয়ারি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজশাহী ও রংপুর পর্ব, ১৩ ফেব্রুয়ারি সিলেট বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) সিলেট পর্ব, ১৭ ফেব্রুয়ারি নর্দান ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজি, খুলনাতে ইয়ুথ ইনোভেশন চ্যালেঞ্জের খুলনা ও বরিশাল পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।
এছাড়া, সর্বশেষ চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে ঢাকায় (ঢাকা ও ময়মনসিংহ পর্ব) ইয়ুথ স্টার্টআপ সামিট ২০২৫ অনুষ্ঠিত হবে। ইয়ুথ স্টার্টআপ সামিটের চট্টগ্রাম পর্বে - চুয়েট ক্যারিয়ার ক্লাব এবং চট্টগ্রাম ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাস পার্টনার, স্টার্টআপ চট্টগ্রাম, কমিউনিটি পার্টনার এবং নলেজ পার্টনার হিসেবে ছিলো লাইটক্যাসল।
ইয়ুথ ইনোভেশন চ্যালেঞ্জের চট্টগ্রাম পর্বে প্রথম স্থান অর্জন করে ‘ইউনিঅ্যাপ’ প্রকল্প, ২য় স্থান অর্জন করে ‘ইজিগো’ প্রকল্প এবং ৩য় স্থান অর্জন করে ‘রোডবুক বিডি’ প্রকল্প। প্রথম, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় স্থান অর্জনকারী প্রকল্পসমূহকে যথাক্রমে ৩ লাখ, ২ লাথ এবং ১ লাখ টাকা পুরস্কার দেওয়া হয়।
বাংলাদেশে বিশ্ববিদ্যালয় আবেদন ব্যবস্থা সহজ করতে স্টার্টআপ ‘ইউনিঅ্যাপ’ প্রকল্প ১ম স্থান অর্জন করে। ভবিষ্যতে পরিবেশবান্ধব গ্রিন ডেলিভারি পরিষেবার স্টার্টআপ ‘ইজিগো’ প্রকল্প ২য় স্থান অর্জন করে। মহিলাদের জন্য নিরাপদ, ঝামেলামুক্ত, দ্রুত এবং সাশ্রয়ী মূল্যে পরিবহন সমাধান বিষয়ক স্টার্টআপ ‘রোডবুক বিডি’ প্রকল্প ৩য় স্থান অর্জন করে।
পুরস্কার বিতরণী ও সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শীষ হায়দার চৌধুরী, এনডিসি, সচিব, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ, ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়। সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ড.
শীষ হায়দার চৌধুরী বলেন, আজকের এই আয়োজনটি বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় শেষ হয়েছে। ইতোমধ্যে রাজশাহী, সিলেট, খুলনা ও সর্বশেষ চট্টগ্রামে ইয়ুথ স্টার্টআপ সামিট অনুষ্ঠিত হলো। ২৮ ফেব্রুয়ারিতে সামিটের চূড়ান্ত পর্ব, ঢাকার বিআইসিসিতে অনুষ্ঠিত হবে।
তিনি আরো বলেন, আমরা আমাদের যুবকদের গতানুগতিক কর্মসংস্থানের পরিবর্তে উদ্ভাবনের প্রতি উৎসাহিত করতে চাই। ডিজিটাল যুগে যে সমস্ত সুযোগ-সুবিধা রয়েছে তা খুঁজে বের করার জন্য আমি তরুণ ও যুবকদের অনুরোধ জানাই। চাকরির জন্য প্রতিযোগিতা নয় বরং চাকরি প্রদানের লক্ষ্যে যুব সমাজকে প্রস্তুত হতে হবে।
তরুণ উদ্যোক্তাদের সামনে নিয়ে আসতে আয়োজিত স্টার্টআপ সামিট কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলেও বক্তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
ঢাকা/হাসান/এসবি
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইউন ভ র স ট অন ষ ঠ ত প রকল প
এছাড়াও পড়ুন:
কানাডা ইমিগ্রেশনে নতুন দিগন্ত: ফ্রেঞ্চ ভাষা জানলেই মিলছে বাড়তি সুযোগ
২০২৫ সালের শুরু থেকে কানাডা সরকারের এক্সপ্রেস এন্ট্রি প্রোগ্রামে ফ্রেঞ্চভাষী আবেদনকারীদের প্রতি অগ্রাধিকার বাড়ানো হয়েছে। সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এ বছরের জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত মোট ৩৫ হাজার ৫৮৮ জন আবেদনকারীকে ITA (Invitation to Apply) প্রদান করা হয়েছে। এর মধ্যে শুধু ফ্রেঞ্চ ভাষায় দক্ষ আবেদনকারীদের জন্য তিনটি পৃথক ড্র অনুষ্ঠিত হয়েছে, যেখানে ১৮ হাজার ৫০০ জন আবেদনকারী আমন্ত্রণ পেয়েছেন।
এতে এটা স্পষ্ট হয় যে কানাডা বর্তমানে দ্বিভাষিক (ইংরেজি ও ফ্রেঞ্চ) সমাজকে আরও শক্তিশালী করতে চাইছে এবং ফ্রেঞ্চ ভাষায় দক্ষ ব্যক্তিদের স্থায়ী বসবাসের ক্ষেত্রে বিশেষ সুবিধা দিচ্ছে।
কেন এই অগ্রাধিকার ফ্রেঞ্চ ভাষাভাষীদের জন্য?
কানাডা একটি দ্বিভাষিক দেশ। ইংরেজির পাশাপাশি ফ্রেঞ্চও সরকারি ভাষা। বিশেষ করে কুইবেক প্রদেশসহ পূর্বাঞ্চলের অনেক এলাকায় ফ্রেঞ্চ হলো প্রথম ভাষা। স্থানীয় অর্থনীতি, শিক্ষা ও সামাজিক খাতে ফ্রেঞ্চভাষীদের চাহিদা প্রতিনিয়ত বাড়ছে। এ কারণে কানাডা সরকার চায় যেন অভিবাসীরা শুধু ইংরেজিভাষী না হয়ে ফ্রেঞ্চ ভাষায়ও দক্ষ হন।
ভাষা জানলে বাংলাদেশিদের জন্য বড় সুযোগ
বাংলাদেশে শিক্ষার্থী ও তরুণ পেশাজীবীদের জন্য এখনই সুবর্ণ সুযোগ—ফ্রেঞ্চ শেখার মাধ্যমে কানাডায় স্থায়ী বসবাসের রাস্তা সহজ করে নেওয়া। তুলনামূলক কম CRS (Comprehensive Ranking System) স্কোরে কানাডায় যাওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন ফ্রেঞ্চ ভাষায় দক্ষরা।
আরও পড়ুনএসএসসি পরীক্ষা ২০২৫-এর রুটিন, কোন পরীক্ষা কবে২০ মার্চ ২০২৫বাংলাদেশে কোথায় শেখা যায় ফ্রেঞ্চ ভাষা?
ফ্রেঞ্চ শেখার জন্য ঢাকাসহ বিভিন্ন শহরে বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানের খোঁজ পাওয়া যায়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হলো:
1. Alliance Française de Dhaka
অবস্থান: ধানমন্ডি ও গুলশান
ওয়েবসাইট: www.afdhaka.org
ফ্রেঞ্চ ভাষা শেখানোর জন্য সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান।
2. Institute of Modern Languages (IML), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
এখানে স্বল্পমেয়াদি ও দীর্ঘমেয়াদি ফ্রেঞ্চ কোর্স রয়েছে।
3. Online Platforms:
Duolingo (বিনা মূল্যে)
Babbel, Coursera, Udemy (সার্টিফিকেটসহ কোর্স)
ফ্রেঞ্চ শেখা কতটা কঠিন সময়সাপেক্ষ?
বাংলাদেশিদের জন্য এই ভাষা শেখা হয়তো একটু কঠিন হতে পারে। সাধারণভাবে, একজন শিক্ষার্থী যদি প্রতিদিন ২-৩ ঘণ্টা সময় দেন, তাহলে ৬ মাসের মধ্যে একটি ভালো বেসিক লেভেল অর্জন করা সম্ভব। উচ্চতর দক্ষতা অর্জনে সময় লাগতে পারে ১ থেকে দেড় বছর, তবে এর বিনিময়ে কানাডার মতো দেশের স্থায়ী বসবাসের সুযোগ এক অনন্য প্রাপ্তি।
শেষ কথা
বর্তমান বিশ্বে শুধু ডিগ্রিই নয়, ভাষাদক্ষতাও হয়ে উঠেছে অভিবাসনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। কানাডার মতো দেশে ফ্রেঞ্চ শেখার মাধ্যমে বাংলাদেশি তরুণ-তরুণীরা সহজেই গড়তে পারেন তাঁদের ভবিষ্যৎ। শুধু দরকার একটু আগ্রহ, নিয়মিত চর্চা এবং সঠিক দিকনির্দেশনা।
আরও পড়ুনমাদ্রাসা ও কারিগরির শিক্ষক-শিক্ষার্থী-কর্মচারীরা পাবেন অনুদান, আবেদনের সময় আরও ১০ দিন১৪ এপ্রিল ২০২৫